একুশ আমার আলী হোসেন একুশ আমার - আলী হোসেন একুশ আমার একুশ তোমার একুশ বাঙালির, একুশ আমায় কাঁদায় হাসায় একুশ কাঙালির। একুশ আমার ভালোবাসার মায়ের বুকের দুধ, একুশ আমার জীবন-মাসের সোম-মঙ্গল-বুধ...। একুশ আমার স্বপ্ন দেখায় একুশ আমার সুখ, একুশ শেখায় তুলতে মাথা জুড়তে ভাঙা-বুক। একুশ আমার জন্য আনে ভালোবাসার ফুল, একুশ আমার জন্য কাঁদে একুশ ভাঙায় ভুল। একুশ আমার পিঠে-পুলি পান্তা ভাতে নুন, একুশ আমার আপন যেন মায়ের পেটের বুন। একুশ আমার বেড়ে ওঠার মন্ত্রণাতে ভরা, একুশ আমার খুনসুটিতে সন্ধ্যারাতের তারা। একুশ তোমার জন্য কথা বলি রাষ্ট্রসংঘে, একুশ আমার মাকে চেনায় বিশ্ববাসীর সংগে। ----------xx--------- প্রথম প্রকাশ : ছড়াপত্রিকা/১৩০ পাতা, ষোড়শ সংখ্যা, ফেব্রুয়ারি ২০১২, বাংলাদেশ প্রকাশক, মাহবুবুল হাসান পাঠকের মতামত দেখুন ফেসবুকে
সাগরের জল শুকায় না তাই দিলে কয়েক ফোঁটা তাতেই আঁচল ভরলো মায়ের হল সূর্য শুরু ওঠা সেই জলেতেই ভিজলো কুঁড়ি ফুটলো মুখে কথা সেই কথাতেই লিখি এখন সকাল-সাঁঝের গাথা গাথার পাহাড় তোমায় নিয়ে তুমি প্রাণের নাগর তোমার জলেই সিক্ত মধু সেচেন সিন্ধু সাগর সেই সাগরের মুক্ত এখন জ্বালায় দেখি আলো সেই আলোতে রাঙিয়ে ওঠে মায়ের সিঁথির লালও তোমার জলের জোয়ার যখন গর্জায় বারংবার সেই জোয়ারে গুঁড়িয়ে যে যায় সাদার অহংকার সে অহংকার তোমার সাজে গর্জে ওঠে স্বর মায়ের ডাকে শুকায় দেখি মাতাল দামোদর সাগর জলেই মেশে যেমন ময়লা জলের ধারা তারই বুকে আছড়ে পড়ে হয় সে বাঁধন হারা তেমন করেই তোমার বুকের ঠিকরে এলো আলো তোমার জন্য আঁধার গুলোও আলোয় ধুঁয়ে গেলো সেই আলো আজ নিভুনিভু আঁধার ঢাকছে ঘর সেই আঁধারের গেরুয়া বাতি করছে আপন পর এসব তুমি দেখছো কি আজ বলো উচ্চ করে শির যে-শির তোমার চেনায় আজও তুমি বিদ্যাসাগর বীর ------- দেখুন ফেসবুকে : এখানে ক্লিক করুন