আলী হোসেনের কবিতা : শীতলকুচি বৈশাখ তুমি আবার ফিরে এলে আমের গন্ধে হাওয়ায় দোলা শীষে হঠাৎ মুকুল কুয়াশায় গেল ঢেকে শীতলকুচির দমকা হাওয়া মিশে দমকা হওয়ায় বাজলো বিষের বাঁশি আনন্দ আর নূর আলমের শিবে কালবৈশাখী হঠাৎ খেলো গিলে আঠারোর তেজ জ্বলেই গেল নিভে নিভলো বাতি আঠারোর উল্লাসে রক্ষক যে, ভক্ষক হল সে-ই শীতলকুচির শীতল হওয়ায় ভেসে ভুলিয়ে দিল ক্ষুধার যে জাত নেই বৈশাখ তুমি এ কোন সকাল দিলে রাম-রহিমের বুকের মধ্যে বুনে সৌহার্দ্যের বৃষ্টি ভেজা সিন্ধু শুকিয়ে গেল বিভেদী সুর শুনে যারা, বিভেদী সুর বাজায় নিত্যদিন বৈশাখ তুমি কাল হয়ে তার ঘাড়ে মরন সে বীন বাজিয়ে দিও এসে যেন, রাত পোহালে বিভেদপন্থী হারে --------////--------- রচনাকাল ঃ ১৫/০৪/২০২১, সকাল ০৮ : ৫৬ 🔳 শিব’ শব্দের বর্ণ অনুসারে ব্যাখা শিবপুরানের একস্থানে দৃষ্ট হয়। শ+ই+ব= শিব। ‘শ’ কার শব্দের অর্থ নিত্য সুখ ও আনন্দ । ‘ই’ কার শব্দের অর্থ পুরুষ এবং ‘ব’ কার শব্দের অর্থ অমৃতশক্তি।
শুভ নববর্ষ : আলী হোসেনের ছড়া ছড়া : শুভ নববর্ষ আলী হোসেন নতুন বছর নতুন চোখ, নতুন চোখে স্বপ্ন ভরা এ নতুন সে-নতুন নয়, পুরানোকেই নতুন করা নতুন করে বলি বলে, পুরানো পায় নতুন রূপ নতুন করে পাবো বলে, নতুন করে জ্বালাই ধূপ — বুঝছি কি? এ নতুন কি সে-নতুন, যে নতুন-কিছু ভাবতে বলে? এ নতুন কি সে-নতুন, যে নতুন-পথে চলতে বলে? এ নতুন কি চিনছি গিয়ে, রেষ্টুরেন্ট আর শপিংমলে! এ নতুন যে ভাঙছে বাঁধন, যাচ্ছে সময় রসাতলে! — বুঝছি কি? নতুন কিছু পাবো ভেবে, পাল্টে দিলাম খাবার নাম মাছভাজা হল ফিসফ্রাই আর সঙ্গী হল দ্বিগুণ দাম পাল্টে গেল আলু-ভাজা আজ, নাম কি বাহারি তার! হাওয়ায় ফোলা প্যাকেট এলো, চিপস্ হল নাম যার! — বুঝছি কী? এক টাকার মাল পাঁচে নিলাম স্ট্যাটাস গেলো বেড়ে গিন্নি খুশী হেঁকে বলেন, বাব্বাহ্! বাঁচলাম হাঁফ ছেড়ে খোকাও বেজায় খুশি বটে, মন জুড়ে তার হর্ষ ফোকলা দাঁতের ফাঁক গলে ‘শুভ’ শোনায় ‘নববর্ষ’ — বুঝছি কী? -----------xx---------- 👉 পাঠকের মতামত দেখুন ফেসবুকে