সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

২০২১ লেবেল থাকা পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

প্ৰণমি নজরুল

কবি নজরুল ইসলামকে নিয়ে ছড়া প্রণমি নজরুল - আলী হোসেন শিকল ভাঙার শব্দ শোনাও বজ্রকণ্ঠে তুমি সেই কন্ঠে কন্ঠ মেলায় বন্দি মাতৃভূমি তোমার কণ্ঠে ভীষণ সূর্য ভয় পেয়ে যায় চুমি তাতেই মাথা নোয়ায় দস্যু তোলে ভারতভুমি ঝরছে পাতা ঝরছে ফুল বসন্ত নেই সঙ্গে তুমিই গাইলে মিলন গাথা বাঁধন হারা বঙ্গে আজও বাঁধি ছন্দ-সুরে তোমার অনুষঙ্গে তবুও হয় শিকড় ছেঁড়ার গান তো নানা রঙ্গে তোমার গানে বৃষ্টি নামে মরুর শুকনো বুকে সেই বৃষ্টিই ভাসায় ভেলা ভাসি মনের সুখে মনের অসুখ কাটাই নিয়ে প্রেমের বীণা বুকে সাহস করে সামনে চলি সরিয়ে ভীষণ দুখে প্রেম-সানাই বাজিয়ে তুমি বাঁধলে বিষের বাঁশি বিভেদ ভুলে শুধরে দিলে ভুল যে রাশি রাশি সাম্যের গান গাইলে কেউ হাসলে কুটিল হাসি মিশিয়ে নর এবং নারী বললে ভালোবাসি নর ও নারী পরাগ-রেণু নয় তো অন্য কিছু দু'য়ের মিলন জীবন গড়ে হয় না ভিন্ন কিছু জীবনবীণা বাজিয়ে তুমি গাইলে অনেক কিছু তাই তো তোমায় সামনে নিয়ে হাঁটছি পিছু পিছু রঙ চটেছে ছবির ফ্রেমে নয় সে চোখের ভুল তোমার স্বপ্নে বিভোর দুটো এক বৃন্তের ফুল শিউলি ফোটা সকাল যখন সংগতে বুলবুল গানের বীণায় তোমায় ভাবি প্ৰণমি নজরুল ---------//------- গতকাল লেখা (২৫/০৫/২০২১

চোরকে মোটেই চোর বলতে নাই

হলে, মরণকালে বুদ্ধিনাশ ধানকে বলে দুব্ব ঘাস ভাবছেন                  পটলা কিছুই বোঝে না চোর ধরতে সান্ত্রি এলো কাকের ধন বগায় খেলো ভাবছেন                  পটলা কিছুই জানে না এলো, চোর ধরতে চৌকিদার চোরের মালা গলায় তার ভাবছেন               পটলা কিছুই দেখছে না হঠাৎ পটলা তুললো হাই বলে,এক রত্তি মিথ্যা নাই ভাবুন                সত্যিই কিছু দেখছি না চৌকিদারের চটির তলায় চোরে যদি গলা গলায়  শুনুন              বলছি কিছু সত্যি ভাই সে ধানকে ঘাস বলতে পারে চাইলে পকেট কাটতে পারে চোরকে                 তবু চোর বলতে নাই              -----//-------

ইদের গান - ২

ইদের গান - ২, ছড়াকার আলী হোসেনের করোনা সংক্রান্ত একটি জনপ্রিয় ছড়া।  ইদের খুশি বন্দি ঘরে,  বলছে কোনো উপায় নেই বাঁকা চাঁদের বুকের কোণে কষ্ট গাঁথা গহীন মনে আঁধার জমা সকাল এসে বলছে শোনো ছদ্মবেশে ভয় পেয়ো না তোমার সঙ্গে, আমার কোনো বিরোধ নেই। ইদের খুশি জানলা খুলে, বলছে সময় সুখের নয় আসছে বছর আসবো ফিরে, বসবো ঠিকই তোমায় ঘিরে রঙিন স্বপ্নে মনটা খুলে গাইবো গজল বিভেদ ভুলে,  রাম-রহিমের সাথে সুখে, কাটবে সময় মিছে নয়।                ------//----- ছড়াকার আলী হোসেনের উৎসব বিষয়ক আরও ছড়া পড়তে এখানে ক্লিক করুন । 

ভাবো

ভোট হয়েছে ভোট দিয়েছো, নেতা হলেন যারা তাদের জন্য আর কিছু নয়, মানুষ যাচ্ছে মারা ভুল না? ভাবো তুমিই মারছো তুমিই মরছো মাথায় কিছুই নাই ভেবে দেখো নেতার কথায়, ভাইকে মারছে ভাই ভুল না? ভাবো কেউ বলছে হিন্দু মরছে, কেউ বা মুসলমান কানের জন্য চিলের পিছু ছোটে না বুদ্ধিমান ঠিক না? ভাবো ভোটের পরে মরছে কারা, নেতা মন্ত্রী মোটেই নয় সেফ জোনেতে খেলছে তারা তোমার শিরায় ভয় সত্যি না? ভাবো তোমার মাথায় শূন্য ঘোরে, মগজ ঘোরাও তাতে তোমার মাথায় কাঁঠাল রেখে নেতা না খায় যাতে ভুল কথা? ভাবো ভুল বোঝাতে ব্যস্ত নেতা, মাথায় কিচ্ছু ঢোকে না ধর্ম দিয়ে বিভেদ ছড়ায়,  বুঝতেই তুমি পারো না ঠিক না? ভাবো গণতন্ত্র মানে তোমার শাসন, নেতার শাসন নয় একবারও কি ভাবছো তুমি উল্টো কেন হয়? ভাবো না, তাই গরিব মারছো গরিবকে, ভাবছো হিন্দু মুসলমান এ ভুল যদি শুধরাও তুমি চিল নেবে না কান এছাড়া মুক্তি? নাই

মিডিয়া ভাইরাস

ছড়া : মিডিয়া ভাইরাস লিখেছেন দুই বাংলার জনপ্রিয় ছড়াকার আলী হোসেন করোনায় কাবু গোদি বাবু মুচকি হাসে গোঁফে সবাই ভাবে সবিস্ময়ে প্রাণ দিচ্ছে সোপে              তিনি             দেশের কথা ভেবে তাই না দেখে হঠাৎ ক্ষেপে ছবির মাসি বলে ভেক ধরেছে গোদি বাবু দেশ বেচবে বলে              উনি             সব বিকিয়ে দেবে এসব শুনে আঙ্গুল গুনে সূর্য মামা বলে কারো কথায় কান দিও না সবাই চোরের দলে               দেখো              অর্থশাস্ত্র খুলে আমি বোকা বৃদ্ধ খোকা অবাক হয়ে ভাবি সত্যি কারা বলছে বোঝার কোথায় পাবো চাবি                দেখি                মিডিয়াটা খুলে অর্ন গোসাই বিদ্যে বোঝাই বোঝায় বড় ভালো গোদি বাবুই সাচ্ছা প্রেমিক আর সকলে কালো                তিনি                আলোর দেরিয়াস জবাব খুঁজে মুখটা বুজে নাচছি তা থই আজ যুক্তি এসে মুচকি হেসে বলছে, গণরাজ                ওটা                 মিডিয়া ভাইরাস            ------//------  রচনা ঃ ২৫/০৪/২০২১ ◾খৃষ্টপূর্ব ৬ষ্ঠ শতকের পারস্যরাজ সাইরাজ বা কাইরাজ (আনুমানিক খৃষ্টপূর্ব ৫৫৮-৫৩০) ও দরায়ুস বা ডেরিয়াস (আনুঃ খৃঃ পূর্ব ৫৫২-৪৮৬) ভারত আক্রমণের জন্য সিন্ধু নদের তীর পর্যন

শীতলকুচি

আলী হোসেনের কবিতা : শীতলকুচি  বৈশাখ তুমি আবার ফিরে এলে আমের গন্ধে হাওয়ায় দোলা শীষে হঠাৎ মুকুল কুয়াশায় গেল ঢেকে শীতলকুচির দমকা হাওয়া মিশে দমকা হওয়ায় বাজলো বিষের বাঁশি আনন্দ আর নূর আলমের শিবে কালবৈশাখী হঠাৎ খেলো গিলে আঠারোর তেজ জ্বলেই গেল নিভে নিভলো বাতি আঠারোর উল্লাসে রক্ষক যে, ভক্ষক হল সে-ই শীতলকুচির শীতল হওয়ায় ভেসে ভুলিয়ে দিল ক্ষুধার যে জাত নেই বৈশাখ তুমি এ কোন সকাল দিলে রাম-রহিমের বুকের মধ্যে বুনে সৌহার্দ্যের বৃষ্টি ভেজা সিন্ধু শুকিয়ে গেল বিভেদী সুর শুনে যারা, বিভেদী সুর বাজায় নিত্যদিন বৈশাখ তুমি কাল হয়ে তার ঘাড়ে মরন সে বীন বাজিয়ে দিও এসে যেন, রাত পোহালে বিভেদপন্থী হারে           --------////--------- রচনাকাল ঃ ১৫/০৪/২০২১, সকাল ০৮ : ৫৬ 🔳 শিব’ শব্দের বর্ণ অনুসারে ব্যাখা শিবপুরানের একস্থানে দৃষ্ট হয়। শ+ই+ব= শিব। ‘শ’ কার শব্দের অর্থ নিত্য সুখ ও আনন্দ । ‘ই’ কার শব্দের অর্থ পুরুষ এবং ‘ব’ কার শব্দের অর্থ অমৃতশক্তি।

শবের শেষে ফিরুক বরাত

শবেবরাত সবের বরাত ভুলিয়ে উঁচু-নিচু আজ সারা রাত জাগুক তারা  হাঁটুক পিছু পিছু এ রাত আসুক মুক্তি নিয়ে ভাত-কাপড়ের দিশা জাত-ধর্ম ভুলিয়ে ঘোচাক জাত-বেজাতের নিশা শবেবরাত সবার আসুক হোক তা অনন্তর যার সাথে মিল হয় না মতের কিংবা মনান্তর আজ বাংলার ঘরে ফিরুক  জাগুক শবেবরাত জাত-বেজাতের ভাঙুক বেড়া ফিরুক সবের বরাত মানুষ হয়েও মারছে মানুষ বিভেদ দিবা-রাত শবের শেষে আসুক বরাত বিভেদী নিপাত যাক ---------xxxx-------- 📒 শবেবরাত শব্দটি ফারসি। শব অর্থ রাত, বরাত অর্থ মুক্তি; শবেবরাত অর্থ মুক্তির রাত। এর আরবি হলো ‘লাইলাতুল বরাত’। হাদিসে শবেবরাতকে ‘লাইলাতুন নিসফি মিন শাবান’ বা শাবান মাসের মধ্যরাত বলা হয়েছে। আমাদের দেশে এ রাতটি শবেবরাত নামে অধিক পরিচিত।

ভাওতাবাজি

ভাওতা বাজি শুনতে রাজি বলবো তবু তাই, এসব আমার নাকের নস্যি কানে শুনতে নাই।😀 এমন মিথ্যা বলি সদাই দোষ ধরে সব হ্যাংলা মিথ্যা দিয়েই ত্রিপুরা দখল এখন বাকি বাংলা। প্রসঙ্গ দেখুন এখানে ক্লিক করে

একুশের মা

একুশের মা - আলী হোসেন একুশ এলে মনটা কাঁদে, শোকে ভাসাই চোখ বাংলায় বলে মনের কথা, লুকিয়ে রাখি শোক দু'দিন বাদে সব ভুলে যাই, ভেবে ভবির কথা মেয়ে আমার বাংলা লিখে, বাড়ায় বুকের ব্যথা আকাশ হয়ে কাঁদি আমি মেঘের ব্যথায় আর বৃষ্টি করে নামাই তাকে, ভেবে ব্যথার ভার মায়ের ভাষা দুগ্ধ ভাবি, কৌটোয় রেখে মুখ একুশ এলেই উথলে ওঠে, ভড়ং ভরা বুক। মায়ের কথা ভুলছি কেন, একবারও না ভাবি একুশ এলেই মায়া দেখাই, বিবেকে দেই চাবি একুশ গিয়ে বাইশ এলেই বাংলাটা যাই ভুলে মায়ের কথা ভুলেই ভেলা ভাসাই হিন্দি কুলে বৈশাখী মেঘ ভাঙে যেমন বর্ষা দোরে এলে আমার আবেগ উথলে ওঠে একুশ এলে চলে সারা বছর হাই-হ্যালোতে হেলিয়ে দিয়ে মাথা একুশ এলেই মনে পড়ে বাংলা মায়ের কথা হিন্দির স্রোতে ভাসাই ভেলা ইংরেজিতে নোঙর বাঁধি লাটাই ওড়াই বেলুন বেঁধে নিজের কোমর সেই কোমরে পড়বে দড়ি, একবারও না ভাবি ভাবতে হবে বলছে বিবেক একুশের মা’র দাবি --------##-------- পাঠকের মতামত দেখুন ফেসবুকে

পরজীবী কিচ্ছা

সকাল-সন্ধ্যা এক করেছি, ফুটবে মুখে হাসি ছোঁয়ায় আমার সূর্য্য হাসে ঘামের শিশির জমলো ঘাসে সেই শিশিরে ভিজিয়ে ভূমি নাটক করে বেচছো তুমি ঘামের ফসল শুষে নিয়ে, বলছো ভালোবাসি। ন্যায্য দাবি করছি এখন, দেশমাতাকে চুমি আমার ছোঁয়ায় রৌদ্র হেসে আসছে কাছে ভালোবেসে পরজীবী বানিয়ে আমায় সাজালে দেশদ্রোহী-জামায় ভীষণ শীতে জাগছি এখন, রোদ পোয়াচ্ছ তুমি।

আলী হোসেনের জনপ্রিয় ছড়াগুলো পড়ুন

সাগরের জল

সাগরের জল শুকায় না তাই দিলে কয়েক ফোঁটা তাতেই আঁচল ভরলো মায়ের হল সূর্য শুরু ওঠা সেই জলেতেই ভিজলো কুঁড়ি ফুটলো মুখে কথা সেই কথাতেই লিখি এখন সকাল-সাঁঝের গাথা গাথার পাহাড় তোমায় নিয়ে তুমি প্রাণের নাগর তোমার জলেই সিক্ত মধু সেচেন সিন্ধু সাগর সেই সাগরের মুক্ত এখন জ্বালায় দেখি আলো সেই আলোতে রাঙিয়ে ওঠে মায়ের সিঁথির লালও তোমার জলের জোয়ার যখন গর্জায় বারংবার সেই জোয়ারে গুঁড়িয়ে যে যায় সাদার অহংকার সে অহংকার তোমার সাজে গর্জে ওঠে স্বর মায়ের ডাকে শুকায় দেখি মাতাল দামোদর সাগর জলেই মেশে যেমন ময়লা জলের ধারা তারই বুকে আছড়ে পড়ে হয় সে বাঁধন হারা তেমন করেই তোমার বুকের ঠিকরে এলো আলো তোমার জন্য আঁধার গুলোও আলোয় ধুঁয়ে গেলো সেই আলো আজ নিভুনিভু আঁধার ঢাকছে ঘর সেই আঁধারের গেরুয়া বাতি করছে আপন পর এসব তুমি দেখছো কি আজ বলো উচ্চ করে শির যে-শির তোমার চেনায় আজও তুমি বিদ্যাসাগর বীর ------- দেখুন ফেসবুকে : এখানে ক্লিক করুন

শরৎ গাথা

শরৎগাথা: ছড়াকার আলী হোসেনের দুই বাংলার জনপ্রিয় ছড়া  ্র আকাশ কালো মেঘের ভেলা সকাল কিম্বা সন্ধ্যাবেলা চলছে দেখ বকের পাখায় ভেসে, দিচ্ছে পাড়ি               এদেশ ছাড়ি অচিন দেশে মামার বাড়ি যেই-খানেতে, আকাশ মাটি মেশে। আকাশ মাটির মনের কথা জল করেছে বুকের ব্যথা মুখের কালো দূর করেছে বেশ, ভাদ্র এসে                 ভদ্র বেশে আশ্বিন তার সঙ্গে মেশে শিউলি-কাশে ভরিয়ে দিল দেশ। শরৎ এলো হাওয়ায় ভেসে শিশির তারই সঙ্গে মেশে ঘাসের ডগায় রুপোর নাকের ফুল শরৎ আনে                    নতুন মানে দোয়েল শ্যামার নতুন গানে বাবুই বোনে নতুন কানের দুল কমতে থাকা বিলের জলে ডাকপাখিরা হেঁটে চলে পানকৌড়ি ডুবমারে মাছ ধরতে, এমন মাসে                 দুর্গা আসে লক্ষ্য থাকে অসুর নাশে মুর্খ চোরা মর্তে আসে মরতে। উৎস : বাংলা সাহিত্য উৎস : বাংলা সাহিত্য

চোখ-কান-মন শোনে তিনজন

চোখ-কান-মন শোনে তিনজন : জনপ্রিয় ছড়াকার আলী হোসেনের একটি জনপ্রিয় ছড়া।  দেখছো তুমি, দেখছি আমি, দেখছি সকল সময় দেখছে সবাই, যা হয় তা-ই কেবল, আমিই দেখছি নাই কারণ কী তা খুঁজতে গিয়ে হোঁচট শুধুই খাই কী তার কারণ, অবশেষে বললে খাদেম ভাই চোখের সাথে কান ছিল না সঙ্গে ভোলা মন ছিল না চোখ-কান-মন দেখে তিন-জন মানছি না সব-সময়। শুনছো তুমি, শুনছি আমি,  শুনতে কান তো চাই-ই আমার সাথে শোনে খাদেম সঙ্গে শোনায় ন-ভাই হাতেম সে গজল মাঝে গাইলো খেয়াল খেয়াল করি নাই কারণ কী তা খুঁজতে গিয়ে আবার হোঁচট খাই কী তার কারণ, নেই যে বারণ খাদেম শোনায় গহীন কারণ চোখ-কান-মন শোনে তিন-জন, মোটেও মানো নাই। চোখ ছিল ঠিক, কান ছিল তাও, তবুও বুঝি নাই বোঝার জন্য মন দিয়েছি সঙ্গে শোনার ভান করেছি সবাই বুঝলো, মেঘ করলেও বৃষ্টি কেন নাই আমি কেন বুঝতে  কেবল শুধুই হোঁচট খাই খাদেম বলে শুনতে চাও মনের সাথে কানকে নাও চোখ-কান-মন বোঝে তিনজন, মোটেও ভুলতে নাই। ---------x---------- 📖 এবিষয়ে আরও পড়ুন : চোখ কান মন দেখে তিনজন পাঠকের প্রতিক্রিয়া ফেসবুকে দেখুন 👉👉দুই বাংলার জনপ্রিয় ছড়াকার আলী হোসেনের আরও ছড়া পড়ার জন্য নিচের লিঙ্কে ক্লিক করুন। ১)  প্রকৃ

চকলেট ও খোকা

চকোলেট খেলেই জেনো, দাঁতে ধরবে পোকা শুনে কথা মনের ব্যথা ভীষণ গেল বেড়ে মায়ের উপর ভীষণ রেগে কাঁদলো গলা ছেড়ে ভাবলো খোকন বোঝেনা মা, এক্কেবারে বোকা। চকলেটে মা কী আছে গুন, বোঝেনা কেউ যেন সেকেলে সব ভাবনা ভেবে শুধুই চলে বকে গুণের খবর রাখেনা তাই মরছি আমি শোকে মায়ের প্রশ্ন বোঝাই তবু, বোঝেনা খোকা কেন? উৎস : ড্রাইভ , YourQuote 24/10/2017

মজার মানুষ

মজার মানুষ :  ছড়াকার আলী হোসেনের একটি অনবদ্য রাজনৈতিক ছড়া।  মজার দেশে আছি আমি ভাবতে মজা লাগে হাভাতেরা ফসল ফলায় লুটেরা নিয়ে ভাগে ফলায় যারা পায়না তারা পেট ভরেনা তাদের আমরা খেয়ে উদর ভরি যোগ্যতা নেই যাদের  ওদের আছে গতর কিন্তু বুদ্ধি ভীষণ মোটা ভাই ভাইয়ের মাথা ফাটায় নিয়ে লাঠিসোটা আমি যখন হেঁকে বলি, কান নিয়ে গেল চিলে কানে হাত না দিয়েই বেটা ভাইটাকে খায় গিলে  মধু খাবো বলে যখন ঢিল ছুড়ি মৌচাকে বোকার বেটা লাফ দিয়ে খায় মাছির কামড়টাকে বাজি রেখে বউটাকে সে ধর্ম রক্ষায় ছোটে দুবেলা ভাত জোটেনা কেন ভুলেই খাটে ভোটে ধর্মের নামে যমের দড়ি গলায় পরে তাই আমিই শত্রু ভুলে গিয়ে ভাইকে মারে ভাই  -----------##---------- প্রকাশিত, বাংলাদেশ থেকে। 07/04/2018  4:35 পিএম

নারী

নারী আলী হোসেন নানান রূপে দেখাও দেখি চিনতে তবু পারি রংধনু রং মেখে তুমি স্বপ্ন দেখাও ভারী নানান রূপে সামনে এসে আগলে রাখো যেই ভাবতে পারি মায়ের এরূপ তুলনা যার নেই দুঃখ সুখের ঘরে যখন বিষম বাতাস বায় পালের মত হালের পাশে প্রিয় তোমায় পায় নানান রূপে যখন দেখি মায়ের মত মুখে দু’গাল ভরে সোহাগ ছাপো কন্যা হয়ে বুকে কিশোর কালে কিশোরী হও বন্ধুর বেশে এসে ফাগুন মাসে আগুন হয়ে পোড়াও ভালোবেসে পোড়াও পোড় ভাঙো গড় সঙ্গী যখন আমি দু’য়ের মধ্যে এক'কে বলা যায় না মোটেও দামি দু'হাত ছাড়া কেউ যেহেতু কিচ্ছুটি নাই পারি এক হাত তার পুরুষ হলে অন্যটা ঠিক নারী।

বাবার বাবা

আলী হোসেনের ছড়া - বাবার বাবা এ সবই তার রেশ তোমার কাছে চাইবো কিছু এত সাহস কোথায় তবু তুমি বুঝতে পারতে চেয়ে চোখের তারায় চাইছি আমি কী তোমার বুকে বুক রাখলে বুকটা উঠতো ফুলে সব সংশয় শুকিয়ে যেত ঠোঁটটা ঠোঁটে ছুঁলে ভয়টা আবার কী! ফিরতে তোমার দেরি হলেই, বুকটা হত ভারী এপাশ ওপাশ ফিরেই শুধু নিদ্রা যেতো ছাড়ি বুঝতে পারি আজ তোমার বুকে পা তুলে দে জড়িয়ে তোমার গলা তোমার বুকে মুখটা গুঁজে ভয়কে ঝেড়ে ফেলা কত সহজ কাজ আমি এখন বুঝি সবই বোঝাই তাকে কত ছেলে আমার বলে এসব ছেলে-মানসি যত বুঝতে পারি বেশ আমার যখন বয়স ছিল আমার ছেলের মত এসব শুনে মন বলত দুর, 'আদিখ্যেতা যত' এ সবই তার রেশ ----------xx---------

মণিকানা

মণিকানা : লিখেছেন দুই বাংলার জনপ্রিয় ছড়াকার আলী হোসেন।  ভর-দুপুরে ছোটকা ছুটে বললো এসে, জানিস পুটে পণ করেছেন পরমহংস মরবে মাথাকূটে। ছোটকা বলে ছোট্ট করে ‘শোন কথা তোর মনটি ভরে পাঁচ শতকের দুঃখ এবার যাবেই বুঝি টুটে’ অবাক চোখে তাকায় পুটে কাক ঘুম তার গেল ছুটে প্রশ্ন করে ছোট্ট মুখেঃ ‘মসজিদ নয় মন্দির হলে দুঃখ মোদের যাবে টুটে? কেমন করে হয়? শুনে তোমার এসব কথা লাগছে আমার প্রাণে ব্যাথা এবং একটু ভয়। মন্দির বা মসজিদ হলে চটকল কি যাবে খুলে কাজ পাবেকি আমার ছোটমামা? ফুটপাতের ঐ ছোট্ট ছেলে শিদ কেটে যে গেল জেলে স্কুলে কি পারবে যেতে পরে রঙিন জামা? ছোটকা ফেলে ছোট্ট শ্বাস পালিয়ে যায় কাটিয়ে পাশ উত্তর এর নেই তো কিছু জানা বুঝতে পারে ছোটকা এবার ভুল ছিল তার ভাবায় সেবার চোখ থাকতে ছিলেন মণিকানা। ------------- ০৭/১০/২০০২ # পরমহংস দাস। ইনি রামমন্দির নির্মাণের দাবিতে আন্দোলনকারী তপস্বী ছাউনির মহন্ত। রামমন্দিরের দাবিতে আমরণ অনশনে বসেছিলেন।

কাশির বাঁশি

কাশির বাঁশি - আলী হোসেন কাশির শব্দ হাঁচির মত বাজছে সকাল সন্ধ্যা দক্ষিণ হওয়ায় ঠান্ডা ফেঁসে হঠাৎ হল বন্ধ্যা ঠান্ডা ছুটছে এলোমেলো ফেলছে গরম শ্বাস উচ্চ গলায় বলছে হেঁকে  লোভেই সর্বনাশ  মাথা এখন কাজ করেনা এদিক ওদিক চাই ডাইনে যেতে যেতেই আবার বাঁদিক চলে যাই  বন্ধু আমার বৃক্ষ দাদার শাসন ছিল চড়া যখন তখন বার হওয়াতে নিষেধ ছিল কড়া কিন্তু দেখো একটু ভেবে আমার কী দোষ ছিল নরবানর দাঁত খিঁচিয়ে ঘাড়টা মটকে দিল বৃক্ষ দাদার মাথায় ফেলে উন্নয়নের বাজ আমায় পঙ্গু করে দিল কঠিন হল কাজ ঠান্ডা আমি গরম হওয়ায়  পান পেয়ালা সাজাই আর হঠাৎ আমি গরম হলে কাশির বাঁশি বাজাই ------X------- পাঠকের মতামত দেখুন ফেসবুকে : এখানে ক্লিক করুন  👁️‍🗨️ লেখাটি প্রকাশিত হয়েছে (২৯/০১/২০২৩) দীনদর্পণ দৈনিকের সাহিত্যের পাতা ‘সাহিত্য দর্পণ’- এ। সরাসরি পত্রিকা পড়তে এখানে ক্লিক করুন

একলা হলে

একলা হলে - আলী হোসেন একলা হলে : আলী হোসেন  তুমি কি দেখবে খুলে ইমেল গেলে তোমার নামে তাতে কী শিশির ভেজা সুবাস আছে পাতায় মুড়ে ভেবো, একটু একলা হলে তুমি কি দেখবে খুলে দুচোখ মেলে তার বুকেতে লুকিয়ে রাখা সোহাগ মাখা টুকরো কথা  বুকটা জুড়ে ভেবো, একটু একলা হলে তুমি কি দেখবে খুলে মনের ভুলে তোমার নামে একমুঠো রোদ পাঠিয়ে ছিলাম সংগোপনে মাখবে বলে ভেবো, একটু একলা হলে তুমি কি অচিনপুরে ভর দুপুরে একলা থাকো আমায় ভেবে আজও কি আগুন রাঙা পলাশ ফোটে মন চাতালে  একলা হলে বোলো, একটু সময় পেলে তুমি কি সেই চাতালে মন মাতালে জলের মত আমায় ভেবে তুমি কি লিখবে ভুলে ইমেল খুলে সে সব কথা সময় পেলে ভেবো, একটু একলা হলে আমি তো বেশ ভাবতে পারি জাগতে পারি তোমায় ভেবে রাত্রি যেই পেখম মেলে নিশুতি হয় আগের মত  একলা হলে ভেবো, তুমিও সময় পেলে আমি তো বেশ থাকতে পারি চোখ ডুবিয়ে তোমার মেলে তুমি ঠিক লিখছো কিছু হাঁটছো পিছু আমায় ভেবে একলা হলে ভেবো, একটু সময় পেলে। ------------xx-----------