সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

মনীষী লেবেল থাকা পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

প্ৰণমি নজরুল

কবি নজরুল ইসলামকে নিয়ে ছড়া প্রণমি নজরুল - আলী হোসেন শিকল ভাঙার শব্দ শোনাও বজ্রকণ্ঠে তুমি সেই কন্ঠে কন্ঠ মেলায় বন্দি মাতৃভূমি তোমার কণ্ঠে ভীষণ সূর্য ভয় পেয়ে যায় চুমি তাতেই মাথা নোয়ায় দস্যু তোলে ভারতভুমি ঝরছে পাতা ঝরছে ফুল বসন্ত নেই সঙ্গে তুমিই গাইলে মিলন গাথা বাঁধন হারা বঙ্গে আজও বাঁধি ছন্দ-সুরে তোমার অনুষঙ্গে তবুও হয় শিকড় ছেঁড়ার গান তো নানা রঙ্গে তোমার গানে বৃষ্টি নামে মরুর শুকনো বুকে সেই বৃষ্টিই ভাসায় ভেলা ভাসি মনের সুখে মনের অসুখ কাটাই নিয়ে প্রেমের বীণা বুকে সাহস করে সামনে চলি সরিয়ে ভীষণ দুখে প্রেম-সানাই বাজিয়ে তুমি বাঁধলে বিষের বাঁশি বিভেদ ভুলে শুধরে দিলে ভুল যে রাশি রাশি সাম্যের গান গাইলে কেউ হাসলে কুটিল হাসি মিশিয়ে নর এবং নারী বললে ভালোবাসি নর ও নারী পরাগ-রেণু নয় তো অন্য কিছু দু'য়ের মিলন জীবন গড়ে হয় না ভিন্ন কিছু জীবনবীণা বাজিয়ে তুমি গাইলে অনেক কিছু তাই তো তোমায় সামনে নিয়ে হাঁটছি পিছু পিছু রঙ চটেছে ছবির ফ্রেমে নয় সে চোখের ভুল তোমার স্বপ্নে বিভোর দুটো এক বৃন্তের ফুল শিউলি ফোটা সকাল যখন সংগতে বুলবুল গানের বীণায় তোমায় ভাবি প্ৰণমি নজরুল ---------//------- গতকাল লেখা (২৫/০৫/২০২১

মানা হলেন মান্না

সুরের রাজা মান্নাবাবু গান ধরেছেন কবেই না-না তা কম দিন নয়, দশক সাতেক হবেই সাত দশকের দাদাগিরি নয় তা শুধু বাংলায় আসমুদ্র-হিমাচল তো তার গানেতে হামলায় প্রথম প্রেমের মনের কথা তার কথাতে আসে তাঁর কথাতেই হাসি আবার কান্নাতে বুক ভাসে তাঁর গানেতে বিরহি হই তার গানে হই জয়ী তাঁর গানেতেই কাঁদছে দেশের বিচিত্র মৃন্ময়ী তাঁর গায়কি তাকেই চেনায় নয় সে অন্য কেউ তাঁর বিদায়ে কাঁদছে মাটি কাঁদছে সাগর ঢেউ কৃষ্ণ কাকায় ডাকেন ‘মানা’ শচীন ডাকেন তা-ই মুম্বাইয়েতে গিয়েই মানা মান্না  হলেন তাই দেখুন 👉 YourQuote দেখুন ফেসবুকের পাতায়

পারের কড়ি

পারের কড়ি লিখেছেন ছড়াকার আলী হোসেন ছড়া : পারের কড়ি। ছড়াকার - আলী হোসেন  রবি মনের আকাশ গাঙে ঠাকুর সবার কাছে রবির কিরণ ছাড়া কি কেউ এক মুহূর্তও বাঁচে? রবির কিরণ ছাড়া যেমন শূন্য জীবন ধারা রবির কলম বিনা তেমন বিশ্ব বাংলা ছাড়া সবার জীবন বোধের গায়ে রবির কিরণ লেগে কাঙাল হল বিশ্ব বাঙাল উঠল জগৎ জেগে সকাল সাঝে নিত্য-কাজে সংশয়ে সংকটে প্রেম বিরহেও ভরসা রবি পারের কড়িও বটে। -------- ৩) পাঠকের মতাম : দেখুন ফেসবুক এ এখানে ক্লিক করুন ২) দেখুন Your Quote -এ এখানে ক্লিক করুন ১) পাঠকের মতামত : দেখুন ফেসবুকের পাতায় রবীন্দ্রনাথ সংক্রান্ত অরও লেখা : 📖 পারের কড়ি 👈 আপনি এখন এখানে 📖  নতুন পথের বাঁকে 📖  বাইশে শ্রাবণ রবীন্দ্রনাথের একশো পঁয়তাল্লিশ-তম জন্ম-উৎসব উপলক্ষ্যে রচনা। 16-Apr-09 Ali Hossain H/O : Asraf Ali Naskar Brahmapur, Battala Bazar, (Near Post Office) Kolkata 700096

নতুন পথের বাঁকে

নতুন পথের বাঁকে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে নিয়ে আলী হোসেনের ছড়া কবিতা  ছড়া কবিতা : নতুন পথের বাঁকে - আলী হোসেন  এ ঠাকুর নয় যে-সে ঠাকুর, রবির সঙ্গে থাকে চলার পথে বলার সাথে সকাল কিংবা সন্ধ্যারাতে তাঁকে নিয়েই আমরা বাঁচি রাম রহিম হয় কাছাকাছি চলতে পথে বলতে কথা নতুন পথের বাঁকে। এ নতুন নয় যে-সে নতুন, কবির কথায় থাকে চলতে পথে চড়তে রথে এগিয়ে যেতে নতুন পথে শেখায় কিংবা শিখতে বলে ভারততীর্থ গড়তে বলে যে তীর্থে থাকতে পারি সঙ্গে রাখলে তাঁকে। --------xx------- রবীন্দ্রনাথ সংক্রান্ত অরও লেখা : 📖 পারের কড়ি   📖 নতুন পথের বাঁকে 👈 আপনি এখন এখানে 📖  বাইশে শ্রাবণ পাঠকের মতামত: দেখুন  ফেসবুকের পাতায় 

নেতার নেতা

নেতাজিকে নিয়ে আলী হোসেনের ছড়া নেতার নেতা  নেতার নেতা নেজাজি, তোমার ফুলের মত নাম দেশের জন্য শপথ নিলে তাঁর জন্য জীবন দিলে নতুন সূর্য দেখবে স্বদেশ স্বদেশ হবে মুক্ত-বিদেশ সেই স্বদেশ-ই বিদেশ হল, তোমার বিধি হল বাম নেতার নেতা নেতাজি, তোমার বজ্রকঠিন নাম এই নামেতই উঠলো কাঁপন ভাঙলো দেশের নিশিজাপন জাগবে বলে শপথ নিলে বুক চিতিয়ে রক্ত দিলে সম্মান পাবে উৎপীড়িত, পাবে মূল্য তাদের ঘাম

বিবেকের প্রতি

তুমি ই স্বামী তুমিই পিতা তুমিই দামাল ছেলে তোমার নামে বিশ্ব এদেশ চিনলো দুচোখ মেলে এদেশ নাকি অসভ্যদের নেটিভ নাকি তারা তুমি তাদের ভাঙালে ভুল পুতলে সবুজ চারা এ চারা গাছ চির সবুজ সবুজ পাতায় ভরা তারই ছায়ায় জাগে জীর্ন জেগে ওঠেন জরা তোমার কথায় জাগে তরুণ বাঁচে নতুন আশায় স্বপ্নপুরী হবেই দেশ আজ চষবে জমি চাষায় স্বপ্ন ছিল তোমার এদেশ হবে তোমার আমার মুচি-মেথর মিলবে সাথে জাগবে চাষী-চামার আরও যেসব স্বপ্ন তোমার ছিল মনের কোনে সেসব এখন শুধুই স্বপ্ন হল, ভস্ম গহীনবনে মুচি ও মেথর ভাত পায়না দলিত শিক্ষার আলো সংখ্যালঘু আর যারা সব দেখছে রাতের কালো লাভকে নাকি জেহাদ বলে বাসলে ভালো মানুষ জীবের প্রতি প্রেম হবেনা উড়বে প্রেমের ফানুস এসব কথা তুমি কি বন্ধু কোথাও বলেছিলে? জানেনা কেউ, তবুও তারা জেহাদ বলে দিলে হিন্দুকে তুমি জাতি বললে এরা বলছে ধর্ম এটা মানলেই বাঁচবে মানুষ এটাই বাঁচার বর্ম তুমি বলেছিলে, ঈশ্বর নেই মানুষ ছাড়া আর তার সেবাতেই ঈশ্বর সেবা আমি তো কোন ছার কিন্তু দেখ দেশজুড়ে আজ করছে হুড়োহুড়ি তোমাকে আজ ঈশ্বর বলে করছে কাড়াকাড়ি জানি আমি তুমিও জানো এসব যারা ক

সাগরের জল

সাগরের জল শুকায় না তাই দিলে কয়েক ফোঁটা তাতেই আঁচল ভরলো মায়ের হল সূর্য শুরু ওঠা সেই জলেতেই ভিজলো কুঁড়ি ফুটলো মুখে কথা সেই কথাতেই লিখি এখন সকাল-সাঁঝের গাথা গাথার পাহাড় তোমায় নিয়ে তুমি প্রাণের নাগর তোমার জলেই সিক্ত মধু সেচেন সিন্ধু সাগর সেই সাগরের মুক্ত এখন জ্বালায় দেখি আলো সেই আলোতে রাঙিয়ে ওঠে মায়ের সিঁথির লালও তোমার জলের জোয়ার যখন গর্জায় বারংবার সেই জোয়ারে গুঁড়িয়ে যে যায় সাদার অহংকার সে অহংকার তোমার সাজে গর্জে ওঠে স্বর মায়ের ডাকে শুকায় দেখি মাতাল দামোদর সাগর জলেই মেশে যেমন ময়লা জলের ধারা তারই বুকে আছড়ে পড়ে হয় সে বাঁধন হারা তেমন করেই তোমার বুকের ঠিকরে এলো আলো তোমার জন্য আঁধার গুলোও আলোয় ধুঁয়ে গেলো সেই আলো আজ নিভুনিভু আঁধার ঢাকছে ঘর সেই আঁধারের গেরুয়া বাতি করছে আপন পর এসব তুমি দেখছো কি আজ বলো উচ্চ করে শির যে-শির তোমার চেনায় আজও তুমি বিদ্যাসাগর বীর ------- দেখুন ফেসবুকে : এখানে ক্লিক করুন

আলী হোসেনের জনপ্রিয় ছড়াগুলো পড়ুন

সাগরের জল

সাগরের জল শুকায় না তাই দিলে কয়েক ফোঁটা তাতেই আঁচল ভরলো মায়ের হল সূর্য শুরু ওঠা সেই জলেতেই ভিজলো কুঁড়ি ফুটলো মুখে কথা সেই কথাতেই লিখি এখন সকাল-সাঁঝের গাথা গাথার পাহাড় তোমায় নিয়ে তুমি প্রাণের নাগর তোমার জলেই সিক্ত মধু সেচেন সিন্ধু সাগর সেই সাগরের মুক্ত এখন জ্বালায় দেখি আলো সেই আলোতে রাঙিয়ে ওঠে মায়ের সিঁথির লালও তোমার জলের জোয়ার যখন গর্জায় বারংবার সেই জোয়ারে গুঁড়িয়ে যে যায় সাদার অহংকার সে অহংকার তোমার সাজে গর্জে ওঠে স্বর মায়ের ডাকে শুকায় দেখি মাতাল দামোদর সাগর জলেই মেশে যেমন ময়লা জলের ধারা তারই বুকে আছড়ে পড়ে হয় সে বাঁধন হারা তেমন করেই তোমার বুকের ঠিকরে এলো আলো তোমার জন্য আঁধার গুলোও আলোয় ধুঁয়ে গেলো সেই আলো আজ নিভুনিভু আঁধার ঢাকছে ঘর সেই আঁধারের গেরুয়া বাতি করছে আপন পর এসব তুমি দেখছো কি আজ বলো উচ্চ করে শির যে-শির তোমার চেনায় আজও তুমি বিদ্যাসাগর বীর ------- দেখুন ফেসবুকে : এখানে ক্লিক করুন

শরৎ গাথা

শরৎগাথা: ছড়াকার আলী হোসেনের দুই বাংলার জনপ্রিয় ছড়া  ্র আকাশ কালো মেঘের ভেলা সকাল কিম্বা সন্ধ্যাবেলা চলছে দেখ বকের পাখায় ভেসে, দিচ্ছে পাড়ি               এদেশ ছাড়ি অচিন দেশে মামার বাড়ি যেই-খানেতে, আকাশ মাটি মেশে। আকাশ মাটির মনের কথা জল করেছে বুকের ব্যথা মুখের কালো দূর করেছে বেশ, ভাদ্র এসে                 ভদ্র বেশে আশ্বিন তার সঙ্গে মেশে শিউলি-কাশে ভরিয়ে দিল দেশ। শরৎ এলো হাওয়ায় ভেসে শিশির তারই সঙ্গে মেশে ঘাসের ডগায় রুপোর নাকের ফুল শরৎ আনে                    নতুন মানে দোয়েল শ্যামার নতুন গানে বাবুই বোনে নতুন কানের দুল কমতে থাকা বিলের জলে ডাকপাখিরা হেঁটে চলে পানকৌড়ি ডুবমারে মাছ ধরতে, এমন মাসে                 দুর্গা আসে লক্ষ্য থাকে অসুর নাশে মুর্খ চোরা মর্তে আসে মরতে। উৎস : বাংলা সাহিত্য উৎস : বাংলা সাহিত্য

চোখ-কান-মন শোনে তিনজন

চোখ-কান-মন শোনে তিনজন : জনপ্রিয় ছড়াকার আলী হোসেনের একটি জনপ্রিয় ছড়া।  দেখছো তুমি, দেখছি আমি, দেখছি সকল সময় দেখছে সবাই, যা হয় তা-ই কেবল, আমিই দেখছি নাই কারণ কী তা খুঁজতে গিয়ে হোঁচট শুধুই খাই কী তার কারণ, অবশেষে বললে খাদেম ভাই চোখের সাথে কান ছিল না সঙ্গে ভোলা মন ছিল না চোখ-কান-মন দেখে তিন-জন মানছি না সব-সময়। শুনছো তুমি, শুনছি আমি,  শুনতে কান তো চাই-ই আমার সাথে শোনে খাদেম সঙ্গে শোনায় ন-ভাই হাতেম সে গজল মাঝে গাইলো খেয়াল খেয়াল করি নাই কারণ কী তা খুঁজতে গিয়ে আবার হোঁচট খাই কী তার কারণ, নেই যে বারণ খাদেম শোনায় গহীন কারণ চোখ-কান-মন শোনে তিন-জন, মোটেও মানো নাই। চোখ ছিল ঠিক, কান ছিল তাও, তবুও বুঝি নাই বোঝার জন্য মন দিয়েছি সঙ্গে শোনার ভান করেছি সবাই বুঝলো, মেঘ করলেও বৃষ্টি কেন নাই আমি কেন বুঝতে  কেবল শুধুই হোঁচট খাই খাদেম বলে শুনতে চাও মনের সাথে কানকে নাও চোখ-কান-মন বোঝে তিনজন, মোটেও ভুলতে নাই। ---------x---------- 📖 এবিষয়ে আরও পড়ুন : চোখ কান মন দেখে তিনজন পাঠকের প্রতিক্রিয়া ফেসবুকে দেখুন 👉👉দুই বাংলার জনপ্রিয় ছড়াকার আলী হোসেনের আরও ছড়া পড়ার জন্য নিচের লিঙ্কে ক্লিক করুন। ১)  প্রকৃ

চকলেট ও খোকা

চকোলেট খেলেই জেনো, দাঁতে ধরবে পোকা শুনে কথা মনের ব্যথা ভীষণ গেল বেড়ে মায়ের উপর ভীষণ রেগে কাঁদলো গলা ছেড়ে ভাবলো খোকন বোঝেনা মা, এক্কেবারে বোকা। চকলেটে মা কী আছে গুন, বোঝেনা কেউ যেন সেকেলে সব ভাবনা ভেবে শুধুই চলে বকে গুণের খবর রাখেনা তাই মরছি আমি শোকে মায়ের প্রশ্ন বোঝাই তবু, বোঝেনা খোকা কেন? উৎস : ড্রাইভ , YourQuote 24/10/2017

মজার মানুষ

মজার মানুষ :  ছড়াকার আলী হোসেনের একটি অনবদ্য রাজনৈতিক ছড়া।  মজার দেশে আছি আমি ভাবতে মজা লাগে হাভাতেরা ফসল ফলায় লুটেরা নিয়ে ভাগে ফলায় যারা পায়না তারা পেট ভরেনা তাদের আমরা খেয়ে উদর ভরি যোগ্যতা নেই যাদের  ওদের আছে গতর কিন্তু বুদ্ধি ভীষণ মোটা ভাই ভাইয়ের মাথা ফাটায় নিয়ে লাঠিসোটা আমি যখন হেঁকে বলি, কান নিয়ে গেল চিলে কানে হাত না দিয়েই বেটা ভাইটাকে খায় গিলে  মধু খাবো বলে যখন ঢিল ছুড়ি মৌচাকে বোকার বেটা লাফ দিয়ে খায় মাছির কামড়টাকে বাজি রেখে বউটাকে সে ধর্ম রক্ষায় ছোটে দুবেলা ভাত জোটেনা কেন ভুলেই খাটে ভোটে ধর্মের নামে যমের দড়ি গলায় পরে তাই আমিই শত্রু ভুলে গিয়ে ভাইকে মারে ভাই  -----------##---------- প্রকাশিত, বাংলাদেশ থেকে। 07/04/2018  4:35 পিএম

নারী

নারী আলী হোসেন নানান রূপে দেখাও দেখি চিনতে তবু পারি রংধনু রং মেখে তুমি স্বপ্ন দেখাও ভারী নানান রূপে সামনে এসে আগলে রাখো যেই ভাবতে পারি মায়ের এরূপ তুলনা যার নেই দুঃখ সুখের ঘরে যখন বিষম বাতাস বায় পালের মত হালের পাশে প্রিয় তোমায় পায় নানান রূপে যখন দেখি মায়ের মত মুখে দু’গাল ভরে সোহাগ ছাপো কন্যা হয়ে বুকে কিশোর কালে কিশোরী হও বন্ধুর বেশে এসে ফাগুন মাসে আগুন হয়ে পোড়াও ভালোবেসে পোড়াও পোড় ভাঙো গড় সঙ্গী যখন আমি দু’য়ের মধ্যে এক'কে বলা যায় না মোটেও দামি দু'হাত ছাড়া কেউ যেহেতু কিচ্ছুটি নাই পারি এক হাত তার পুরুষ হলে অন্যটা ঠিক নারী।

বাবার বাবা

আলী হোসেনের ছড়া - বাবার বাবা এ সবই তার রেশ তোমার কাছে চাইবো কিছু এত সাহস কোথায় তবু তুমি বুঝতে পারতে চেয়ে চোখের তারায় চাইছি আমি কী তোমার বুকে বুক রাখলে বুকটা উঠতো ফুলে সব সংশয় শুকিয়ে যেত ঠোঁটটা ঠোঁটে ছুঁলে ভয়টা আবার কী! ফিরতে তোমার দেরি হলেই, বুকটা হত ভারী এপাশ ওপাশ ফিরেই শুধু নিদ্রা যেতো ছাড়ি বুঝতে পারি আজ তোমার বুকে পা তুলে দে জড়িয়ে তোমার গলা তোমার বুকে মুখটা গুঁজে ভয়কে ঝেড়ে ফেলা কত সহজ কাজ আমি এখন বুঝি সবই বোঝাই তাকে কত ছেলে আমার বলে এসব ছেলে-মানসি যত বুঝতে পারি বেশ আমার যখন বয়স ছিল আমার ছেলের মত এসব শুনে মন বলত দুর, 'আদিখ্যেতা যত' এ সবই তার রেশ ----------xx---------

মণিকানা

মণিকানা : লিখেছেন দুই বাংলার জনপ্রিয় ছড়াকার আলী হোসেন।  ভর-দুপুরে ছোটকা ছুটে বললো এসে, জানিস পুটে পণ করেছেন পরমহংস মরবে মাথাকূটে। ছোটকা বলে ছোট্ট করে ‘শোন কথা তোর মনটি ভরে পাঁচ শতকের দুঃখ এবার যাবেই বুঝি টুটে’ অবাক চোখে তাকায় পুটে কাক ঘুম তার গেল ছুটে প্রশ্ন করে ছোট্ট মুখেঃ ‘মসজিদ নয় মন্দির হলে দুঃখ মোদের যাবে টুটে? কেমন করে হয়? শুনে তোমার এসব কথা লাগছে আমার প্রাণে ব্যাথা এবং একটু ভয়। মন্দির বা মসজিদ হলে চটকল কি যাবে খুলে কাজ পাবেকি আমার ছোটমামা? ফুটপাতের ঐ ছোট্ট ছেলে শিদ কেটে যে গেল জেলে স্কুলে কি পারবে যেতে পরে রঙিন জামা? ছোটকা ফেলে ছোট্ট শ্বাস পালিয়ে যায় কাটিয়ে পাশ উত্তর এর নেই তো কিছু জানা বুঝতে পারে ছোটকা এবার ভুল ছিল তার ভাবায় সেবার চোখ থাকতে ছিলেন মণিকানা। ------------- ০৭/১০/২০০২ # পরমহংস দাস। ইনি রামমন্দির নির্মাণের দাবিতে আন্দোলনকারী তপস্বী ছাউনির মহন্ত। রামমন্দিরের দাবিতে আমরণ অনশনে বসেছিলেন।

কাশির বাঁশি

কাশির বাঁশি - আলী হোসেন কাশির শব্দ হাঁচির মত বাজছে সকাল সন্ধ্যা দক্ষিণ হওয়ায় ঠান্ডা ফেঁসে হঠাৎ হল বন্ধ্যা ঠান্ডা ছুটছে এলোমেলো ফেলছে গরম শ্বাস উচ্চ গলায় বলছে হেঁকে  লোভেই সর্বনাশ  মাথা এখন কাজ করেনা এদিক ওদিক চাই ডাইনে যেতে যেতেই আবার বাঁদিক চলে যাই  বন্ধু আমার বৃক্ষ দাদার শাসন ছিল চড়া যখন তখন বার হওয়াতে নিষেধ ছিল কড়া কিন্তু দেখো একটু ভেবে আমার কী দোষ ছিল নরবানর দাঁত খিঁচিয়ে ঘাড়টা মটকে দিল বৃক্ষ দাদার মাথায় ফেলে উন্নয়নের বাজ আমায় পঙ্গু করে দিল কঠিন হল কাজ ঠান্ডা আমি গরম হওয়ায়  পান পেয়ালা সাজাই আর হঠাৎ আমি গরম হলে কাশির বাঁশি বাজাই ------X------- পাঠকের মতামত দেখুন ফেসবুকে : এখানে ক্লিক করুন  👁️‍🗨️ লেখাটি প্রকাশিত হয়েছে (২৯/০১/২০২৩) দীনদর্পণ দৈনিকের সাহিত্যের পাতা ‘সাহিত্য দর্পণ’- এ। সরাসরি পত্রিকা পড়তে এখানে ক্লিক করুন

একলা হলে

একলা হলে - আলী হোসেন একলা হলে : আলী হোসেন  তুমি কি দেখবে খুলে ইমেল গেলে তোমার নামে তাতে কী শিশির ভেজা সুবাস আছে পাতায় মুড়ে ভেবো, একটু একলা হলে তুমি কি দেখবে খুলে দুচোখ মেলে তার বুকেতে লুকিয়ে রাখা সোহাগ মাখা টুকরো কথা  বুকটা জুড়ে ভেবো, একটু একলা হলে তুমি কি দেখবে খুলে মনের ভুলে তোমার নামে একমুঠো রোদ পাঠিয়ে ছিলাম সংগোপনে মাখবে বলে ভেবো, একটু একলা হলে তুমি কি অচিনপুরে ভর দুপুরে একলা থাকো আমায় ভেবে আজও কি আগুন রাঙা পলাশ ফোটে মন চাতালে  একলা হলে বোলো, একটু সময় পেলে তুমি কি সেই চাতালে মন মাতালে জলের মত আমায় ভেবে তুমি কি লিখবে ভুলে ইমেল খুলে সে সব কথা সময় পেলে ভেবো, একটু একলা হলে আমি তো বেশ ভাবতে পারি জাগতে পারি তোমায় ভেবে রাত্রি যেই পেখম মেলে নিশুতি হয় আগের মত  একলা হলে ভেবো, তুমিও সময় পেলে আমি তো বেশ থাকতে পারি চোখ ডুবিয়ে তোমার মেলে তুমি ঠিক লিখছো কিছু হাঁটছো পিছু আমায় ভেবে একলা হলে ভেবো, একটু সময় পেলে। ------------xx-----------