সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

ছড়াকার আলী হোসেন : সাম্প্রতিকতম ছড়া

যে যায় লঙ্কায় - আলী হোসেন

যে যায় লঙ্কায় আলী হোসেন চ্যাং বলে ব্যাঙকে, কেন ডাকিস ঘ্যাঁঘো কান-মাথা ধরে যায় ডেকে যাস ম্যা-গো ব্যাঙ বলে শোন্ চ্যাঙ চোখ কান খুলে বেশি কথা বলবি তো দেবো কান মুলে এ রাজ্যের রানি আমি, রাজা তাই বর প্রজা হয়ে দোষ ধরিস, তুই তো বর্বর! চ্যাং বলে, সেকি কথা আইন তো জোর ডেসিবেল মেনে চলা উচিৎ না তোর!! ব্যাঙ বলে, আরে বোকা দেখ তুই চোখে অহেতুক মরলি তো শুধু বকে-শোকে যে রাজা করে আইন ভাঙে সেই জন না জানলে জান আগে, শোন দিয়ে মন চ্যাং বলে শোন্ ব্যাঙ আইন তো সবার সেটাই তো মেনে হবে, যা কিছু হবার ব্যাঙ বলে শোন্ চ্যাং বকিস না মেলা চারিদিকে ঘোরে দেখ মোর চেলাবেলা আইন যে করে জানিস তার অধিকার আইনকে মানা কিম্বা তাকে বধিবার চ্যাং বলে, শোন্ ব্যাঙ তুই হ’লি রানি আমরা মানছি বলে তুই হলি মানি রানি বলে চুপ যা, কথা শোনে মা-বোন যে-ই যায় লঙ্কায় সে-ই হয় রাবণ ---------xx--------
সাম্প্রতিক পোস্টগুলি

সত্যের পাঁচালি — আলী হোসেন

সত্যের পাঁচালি আলী হোসেন জানলে পাই তথ্য আর বুঝলে মেলে সত্য না বুঝলে জানার মানে বোঝার মাঝে গর্ত বুঝতে গেলে যুক্তি লাগে  সঙ্গে লাগে তথ্য বুদ্ধি দিয়ে বিশ্লেষণেই বেরিয়ে আসে সত্য। জানা মানেই বোঝা তো নয়, যেমন দুধ ও ঘি দুধ থেকে ঘি পেতে গেলে  জানেন লাগে কী? বিজ্ঞ জনের বুদ্ধি লাগে সঙ্গে বিশেষ ধী চিন্তায় লাগে মুক্ত বাতাস সন্দেহ আছে কি? বিশ্বাসের অনেক বয়স, চাপ গিয়েছে বেড়ে হাতড়ে বেড়ায় চারপাশটা  আসল সত্য ছেড়ে জানলে মেলে তথ্য কেবল  চিন্তায় মাথা গেঁড়ে বুদ্ধি ছোটে তথ্য ঘেঁটে সত্য আনতে পেড়ে -----------xx---------

ঝন্টের ঝামেলা - আলী হোসেন

ঝন্টের ঝামেলা আলী হোসেন ছড়া : ঝন্টের ঝামেলা - আলী হোসেন এই ব্যাটা ঝণ্টে,  তোর স্লেট কোনটে ধর কষে বাগিয়ে লেখ ‘ক’,  খুব মন লাগিয়ে। ‘ক’ লিখতে ‘ব’ লিখে, হল সে হাজির হতভাগা এত বড়, পা-ঝাড়া পাজির। রেগে গিয়ে শিক্ষক,  বলে কেশে খক খক এই তোর ‘ক’! দেখাচ্ছি মজা, এই বেলা চ’। উত্তরে ঝন্টে, বলে বা!  ভুল হল কোনটে? ‘ক’ লিখতে ভুলে গেছি ‘ব’এ দিতে আঁকড়া রাগ যদি না করেন, খেতে দেব কাঁকড়া। রেগে-গিয়ে শিক্ষক,  মাথায় দিল গাঁট্টা চোখ মোটা করে বলে,  মোর সাথে ঠাট্টা! --------xx------ রচনাকাল : ১৭/০৩/১৯৯৪ প্রকাশকাল ও পত্রিকা :   ‘বোধন’ সাহিত্য পত্রিকা ২৭/০২/১৯৯৮

মানব যখন দানব সাজে - আলী হোসেন

মানব যখন দানব সাজে আলী হোসেনের রাজনৈতিক ছড়া ইরাক ২১ মার্চ ২০০৩, বিমান হামলার সময় বিস্ফোরণ মানব যখন দানব সাজে বিবেক ওঠে লাটে মানব শিশু পায় না যিশু মসজিদ কিম্বা মঠে। যিশুর দেশে শিশু কাঁদে বুশের খুশি ঠোঁটে টনির কাঁধের শনি হাসে মরুর মাঠে-ঘাটে। গণতন্ত্রের গায়ক যারা গণহত্যায় মাতে গণের বুকে বুলেট চালায় লজ্জা হয় না তাতে। লজ্জা হল নারীর ভূষণ বীরের নাহি সাজে বুশ ব্লেয়ার বীর ও পুরুষ বিশ্ব বকছে বাজে। মুক্তি দেওয়ার যুক্তি দিয়েই বীরের ঘুষোঘুষি টনির টনক তেলের টানে এখন বেজায় খুশি। ঘুষ দিয়ে বুশ হলেন জয়ী টাকায় কিনে সেনা বেইমানেরই বেইমানিতে ইরাক হল কেনা। ---------xx-------- Ali Hossain H/O : Asraf Ali Nasker Brahmapur, Battala Bazar ( Near Post Office ) Kolkata-7000 96

ছানি

ছানি আলী হোসেন  গণতন্ত্রের মুখোশ পরে ঘুরছে দেশের রাজা রাজ ভিক্ষার আশায় প্রজা খাচ্ছে গরল গাঁজা রাজায় রাজায় পিরিত দেখেও হুশ ফেরেনা তাই রাজ পিরিতে বেহুস হয়ে ভাইকে মারে ভাই। ভাইয়ের রক্তে রাঙাও দু'হাত রাজার প্রেমে পড়ে রাজায় রাজায় দোস্তি ক'রে উলু খাগড়ায় মরে গণতন্ত্রের গাজন শুনে শিরদাঁড়া দাও এলিয়ে স্বপ্ন দেখার সাহস খোঁজো চক্ষু দুটো মেলিয়ে। জ্ঞান চক্ষুতে ছানি তোমার সন্ধ্যায় দেখো সকাল জানলে না কে লিখছে কেন তোমার ভাঙা কপাল। ---------xx--------- ✍️ পাঠকের মতামত 👉 দেখুন ফেসবুকে

আবু শামা

আ বু  শা মা ছড়াকার আলী হোসেনের ছড়া কবিতা  আবু শামা। ছবি : টিভি নাইন বাংলার  আবু তোর বড্ড বেশি জেদ ছেড়া কাঁথায় শুয়ে দেখাস দ্বিতীয় হওয়ার খেদ  আবু তোর সাহস বেজায় ভারি অভাব মাথায় নিয়ে টানিস ব্যর্থতাতে দাঁড়ি আবু তুই স্বপ্ন দেখিস ভারি আধ পেটা ভাত খেয়ে দেখাস মেধার খবরদারি আবু তুই দেখাস বাহাদুরি ভাগ চাষেতে ভাগ্য সপে খেলিস লুকোচুরি আবু তুই বড্ড বেশি ‘বোকা’ ভক্তদের বুক ভেঙে দিলি মস্ত বড় ধোঁকা আবু তুই মাদ্রাসায় না পড়ে ভক্তের ভাগাড় শূন্য করলি শনির বাহন চড়ে আবু তোর সপ্নের নেই ছাঁদ বামন হয়ে ছুঁতে যে চাস ইউপিএসসির চাঁদ আবু তুই আলোর ছবিয়াল দামেস্কেতে ইতিহাস হলি বাংলায় কবিয়াল? আবু তোর স্বপ্ন দেখার ঝোঁক বাঁচিয়ে রাখিস হটিয়ে দিয়ে কষ্ট কেনার লোক ---------------xx-------------- পাঠকের মতামত দেখুন ফেসবুকে ২৬/০৫/২০২৩, রাত্রি ২ : ২৯

নারী

নারী আলী হোসেন নানান রূপে দেখাও দেখি চিনতে তবু পারি রংধনু রং মেখে তুমি স্বপ্ন দেখাও ভারী নানান রূপে সামনে এসে আগলে রাখো যেই ভাবতে পারি মায়ের এরূপ তুলনা যার নেই দুঃখ সুখের ঘরে যখন বিষম বাতাস বায় পালের মত হালের পাশে প্রিয় তোমায় পায় নানান রূপে যখন দেখি মায়ের মত মুখে দু’গাল ভরে সোহাগ ছাপো কন্যা হয়ে বুকে কিশোর কালে কিশোরী হও বন্ধুর বেশে এসে ফাগুন মাসে আগুন হয়ে পোড়াও ভালোবেসে পোড়াও পোড় ভাঙো গড় সঙ্গী যখন আমি দু’য়ের মধ্যে এক'কে বলা যায় না মোটেও দামি দু'হাত ছাড়া কেউ যেহেতু কিচ্ছুটি নাই পারি এক হাত তার পুরুষ হলে অন্যটা ঠিক নারী।

একলা হলে

একলা হলে - আলী হোসেন একলা হলে : আলী হোসেন  তুমি কি দেখবে খুলে ইমেল গেলে তোমার নামে তাতে কী শিশির ভেজা সুবাস আছে পাতায় মুড়ে ভেবো, একটু একলা হলে তুমি কি দেখবে খুলে দুচোখ মেলে তার বুকেতে লুকিয়ে রাখা সোহাগ মাখা টুকরো কথা  বুকটা জুড়ে ভেবো, একটু একলা হলে তুমি কি দেখবে খুলে মনের ভুলে তোমার নামে একমুঠো রোদ পাঠিয়ে ছিলাম সংগোপনে মাখবে বলে ভেবো, একটু একলা হলে তুমি কি অচিনপুরে ভর দুপুরে একলা থাকো আমায় ভেবে আজও কি আগুন রাঙা পলাশ ফোটে মন চাতালে  একলা হলে বোলো, একটু সময় পেলে তুমি কি সেই চাতালে মন মাতালে জলের মত আমায় ভেবে তুমি কি লিখবে ভুলে ইমেল খুলে সে সব কথা সময় পেলে ভেবো, একটু একলা হলে আমি তো বেশ ভাবতে পারি জাগতে পারি তোমায় ভেবে রাত্রি যেই পেখম মেলে নিশুতি হয় আগের মত  একলা হলে ভেবো, তুমিও সময় পেলে আমি তো বেশ থাকতে পারি চোখ ডুবিয়ে তোমার মেলে তুমি ঠিক লিখছো কিছু হাঁটছো পিছু আমায় ভেবে একলা হলে ভেবো, একটু সময় পেলে। ------------xx-----------

কাশির বাঁশি

কাশির বাঁশি - আলী হোসেন কাশির শব্দ হাঁচির মত বাজছে সকাল সন্ধ্যা দক্ষিণ হওয়ায় ঠান্ডা ফেঁসে হঠাৎ হল বন্ধ্যা ঠান্ডা ছুটছে এলোমেলো ফেলছে গরম শ্বাস উচ্চ গলায় বলছে হেঁকে  লোভেই সর্বনাশ  মাথা এখন কাজ করেনা এদিক ওদিক চাই ডাইনে যেতে যেতেই আবার বাঁদিক চলে যাই  বন্ধু আমার বৃক্ষ দাদার শাসন ছিল চড়া যখন তখন বার হওয়াতে নিষেধ ছিল কড়া কিন্তু দেখো একটু ভেবে আমার কী দোষ ছিল নরবানর দাঁত খিঁচিয়ে ঘাড়টা মটকে দিল বৃক্ষ দাদার মাথায় ফেলে উন্নয়নের বাজ আমায় পঙ্গু করে দিল কঠিন হল কাজ ঠান্ডা আমি গরম হওয়ায়  পান পেয়ালা সাজাই আর হঠাৎ আমি গরম হলে কাশির বাঁশি বাজাই ------X------- পাঠকের মতামত দেখুন ফেসবুকে : এখানে ক্লিক করুন  👁️‍🗨️ লেখাটি প্রকাশিত হয়েছে (২৯/০১/২০২৩) দীনদর্পণ দৈনিকের সাহিত্যের পাতা ‘সাহিত্য দর্পণ’- এ। সরাসরি পত্রিকা পড়তে এখানে ক্লিক করুন

রংধনু

কয়েক বছর আগে রংধনুকে নিয়ে লেখা ছড়া। ওর জন্মদিনে লিখেছিলাম। তাই দিয়েই আবার তাকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানালাম। ভালো থেকো সোনামণি.... রঙধনু তুই আকাশ থেকে এলি নানা রঙে রাঙিয়ে দিয়ে বড় হওয়ার স্বপ্ন নিয়ে ছোট্ট মনে রঙ মাখিয়ে দিলি রঙধনু তুই আকাশ থেকে এলি রঙ দিলি তুই ফুলের গায়ে দেখলো সে ফুল আমার মায়ে মায়ের মনে স্বপ্ন এঁকে দিলি রঙধনু তুই আকাশ থেকে এলি মিষ্টি চোখের দৃষ্টিতে কালো মেঘের বৃষ্টিতে মনের কালি সবটা ধুয়ে দিলি রঙধনু তুই মায়ের কোলে এলি মায়ের আঁচল ভরিয়ে দিয়ে বুকের ব্যাথা সরিয়ে দিয়ে নতুন দুটি মনের মাঝে সেতুবন্ধ হলি রঙধনু তুই বাপের মনে এলি ছোট্ট দুটি ঠোটের ফাঁকে কিম্বা কোনো আঁধার বাঁকে হারিয়ে পাওয়া মানিক হয়ে গেলি হারিয়ে পাওয়া মানিক যে মা রঙধনু তোর প্রাণে সাতরঙা ফুল ফুটে উঠুক ভরুক ভুবন ঘ্রাণে। -------#------ ০৯/০৫/২০১২ উৎস জানতে এখানে ক্লিক করুন বাংলাদেশের বিখ্যাত শিশু সাহিত্যিক জুলফিকার শাহাদাৎ এর মেয়ে রংধনুর জন্মদিনে তাকে উদ্দেশ্য করে লেখা ছড়া। 

শুভ নববর্ষ

 নতুন বছর নতুন চোখ, নতুন চোখে স্বপ্ন ভরা এ নতুন সে-নতুন নয়, পুরানোকেই নতুন করা নতুন করে বলি বলেই, পুরানো-ই পায় নতুন রূপ নতুন করে পাবো বলেই, নতুন করে জ্বালাই ধূপ এ নতুন কি সেই নতুন, যে নতুন-কিছু ভাবতে বলে? এ নতুন কি সেই নতুন, যে নতুন-পথে চলতে বলে? এ নতুন কি দেখতে পাচ্ছি রেষ্টুরেন্ট আর শপিংমলে! রূপ পাল্টালে দুষ্টু-প্রদীপ সটান যাবে অস্তাচলে? দুষ্টু-প্রদীপ নিভে যাক, নতুন আলোয় ভরে যাক অন্ধ মানস সেই আলোতেই, নতুন করে ধুয়ে যাক। -------শুভ নববর্ষ

সত্য কী?

সত্য কী? যে সত্য যার বিরুদ্ধে যায় তার কাছে তা-ই অসত্য হয় সত্য অসত্যের তফাৎ খোঁজ? মানুষের ভালোয় সত্য বোঝ বৃথা, সত্য মিথ্যার চিন্তা তাই মানুষের ভালোয় মিথ্যা নাই। * ছড়াটি অসম্পূর্ণ। ১৯/০৮/২০২২, ৮ঃ৩৮ সকাল।

রাজ ভিক্ষা

রাজ ভিক্ষা  ভক্ত বানাও ফ্রীতে - আলী হোসেন যত অন্ধত্ব তত রাজত্ব, খুশির খবর শোনো পেলে শিক্ষা রাজ ভিক্ষা, চাইবে না কেউ কোনো চাইবে যা তা দুর্মূল্য, না চাও যদি দিতে শিক্ষা দীক্ষা লাটে তুলে, ধর্ম শেখাও ফ্রিতে।  ধর্ম তোমার বর্ম হবে চিন্তা কেন করো বিদ্বেষী বিষ মিশিয়ে দিয়ে চুপ্টি করে সরো ভাতের খিদেয় ফোঁসে যদি সেটাও সামলে নিতে শিক্ষা দীক্ষা লাটে তুলে, ভক্ত বানাও ফ্রীতে। --------xx--------- ২৪/০৫/২০২২, ১১ঃ২৪ সকাল

আমায় দেখবে বলে

বৃষ্টি ভেজা সন্ধ্যাতে তোমার খোলা জানলাতে দাড়িয়ে আছো চুপটি করে  আমায় দেখবে বলে, বৃষ্টি হয়ে নামবো যখন একটু ছুঁয়ে দেখবে তখন ভিজবে তুমি দাড়িয়ে খোলা চুলে একটু ছোঁবে বলে তুমি আমায় দেখবে বলে আঁধার ছুঁয়ে যখন তুমি জাগবে সারা আকাশ চুমি আমায় ভেবে চুপটি করে তাকিয়ে থেকো একটু দূরে আঁধার রাতের জোসনা নিয়ে সাত মহাদেশ পাড়ি দিয়ে বাঁধবো গান এক তোমার জন্য একটু শুনবে বলে তুমি আমায় দেখবে বলে নতুন সুরে ভাসবে তুমি জাগবে তাতে এ মন ভূমি ফিরবে এ মন তোমার জন্য স্বপ্ন ফেরি করে সেই স্বপ্নে ভাসিয়ে ভেলা রামধনুতে রাঙিয়ে বেলা আনবো বাতাস তোমার জন্য বইবে সুরে সুরে আসবে তুমি বলে তুমি আমায় দেখবে বলে।

রোদ পোহাচ্ছ তুমি

সকাল-সন্ধ্যা এক করেছি, দেখতে মুখের হাসি তাইতো তো সকাল মুচকি হাসে ঘামের শিশির সঙ্গে আসে সেই শিশিরে ভিজিয়ে ভূমি নাটক করে বেচছো তুমি ঘামের ফসল শুষে নিতে, বলছো ভালোবাসি। যে-ই ফসলের করছি দাবি, দেশমাতাকে চুমি তখনই দেখি আকাশ ভেঙে পড়ছে স্বপ্ন রক্তে রেঙে সেই রক্ত লাগিয়ে জামায় দেশদ্রোহী সাজাও আমায় সেই রক্তেই পুড়ছি যখন, রোদ পোয়াচ্ছ তুমি।

আলী হোসেনের জনপ্রিয় ছড়াগুলো পড়ুন

সাগরের জল

সাগরের জল শুকায় না তাই দিলে কয়েক ফোঁটা তাতেই আঁচল ভরলো মায়ের হল সূর্য শুরু ওঠা সেই জলেতেই ভিজলো কুঁড়ি ফুটলো মুখে কথা সেই কথাতেই লিখি এখন সকাল-সাঁঝের গাথা গাথার পাহাড় তোমায় নিয়ে তুমি প্রাণের নাগর তোমার জলেই সিক্ত মধু সেচেন সিন্ধু সাগর সেই সাগরের মুক্ত এখন জ্বালায় দেখি আলো সেই আলোতে রাঙিয়ে ওঠে মায়ের সিঁথির লালও তোমার জলের জোয়ার যখন গর্জায় বারংবার সেই জোয়ারে গুঁড়িয়ে যে যায় সাদার অহংকার সে অহংকার তোমার সাজে গর্জে ওঠে স্বর মায়ের ডাকে শুকায় দেখি মাতাল দামোদর সাগর জলেই মেশে যেমন ময়লা জলের ধারা তারই বুকে আছড়ে পড়ে হয় সে বাঁধন হারা তেমন করেই তোমার বুকের ঠিকরে এলো আলো তোমার জন্য আঁধার গুলোও আলোয় ধুঁয়ে গেলো সেই আলো আজ নিভুনিভু আঁধার ঢাকছে ঘর সেই আঁধারের গেরুয়া বাতি করছে আপন পর এসব তুমি দেখছো কি আজ বলো উচ্চ করে শির যে-শির তোমার চেনায় আজও তুমি বিদ্যাসাগর বীর ------- দেখুন ফেসবুকে : এখানে ক্লিক করুন

শরৎ গাথা

শরৎগাথা: ছড়াকার আলী হোসেনের দুই বাংলার জনপ্রিয় ছড়া  ্র আকাশ কালো মেঘের ভেলা সকাল কিম্বা সন্ধ্যাবেলা চলছে দেখ বকের পাখায় ভেসে, দিচ্ছে পাড়ি               এদেশ ছাড়ি অচিন দেশে মামার বাড়ি যেই-খানেতে, আকাশ মাটি মেশে। আকাশ মাটির মনের কথা জল করেছে বুকের ব্যথা মুখের কালো দূর করেছে বেশ, ভাদ্র এসে                 ভদ্র বেশে আশ্বিন তার সঙ্গে মেশে শিউলি-কাশে ভরিয়ে দিল দেশ। শরৎ এলো হাওয়ায় ভেসে শিশির তারই সঙ্গে মেশে ঘাসের ডগায় রুপোর নাকের ফুল শরৎ আনে                    নতুন মানে দোয়েল শ্যামার নতুন গানে বাবুই বোনে নতুন কানের দুল কমতে থাকা বিলের জলে ডাকপাখিরা হেঁটে চলে পানকৌড়ি ডুবমারে মাছ ধরতে, এমন মাসে                 দুর্গা আসে লক্ষ্য থাকে অসুর নাশে মুর্খ চোরা মর্তে আসে মরতে। উৎস : বাংলা সাহিত্য উৎস : বাংলা সাহিত্য

চোখ-কান-মন শোনে তিনজন

চোখ-কান-মন শোনে তিনজন : জনপ্রিয় ছড়াকার আলী হোসেনের একটি জনপ্রিয় ছড়া।  দেখছো তুমি, দেখছি আমি, দেখছি সকল সময় দেখছে সবাই, যা হয় তা-ই কেবল, আমিই দেখছি নাই কারণ কী তা খুঁজতে গিয়ে হোঁচট শুধুই খাই কী তার কারণ, অবশেষে বললে খাদেম ভাই চোখের সাথে কান ছিল না সঙ্গে ভোলা মন ছিল না চোখ-কান-মন দেখে তিন-জন মানছি না সব-সময়। শুনছো তুমি, শুনছি আমি,  শুনতে কান তো চাই-ই আমার সাথে শোনে খাদেম সঙ্গে শোনায় ন-ভাই হাতেম সে গজল মাঝে গাইলো খেয়াল খেয়াল করি নাই কারণ কী তা খুঁজতে গিয়ে আবার হোঁচট খাই কী তার কারণ, নেই যে বারণ খাদেম শোনায় গহীন কারণ চোখ-কান-মন শোনে তিন-জন, মোটেও মানো নাই। চোখ ছিল ঠিক, কান ছিল তাও, তবুও বুঝি নাই বোঝার জন্য মন দিয়েছি সঙ্গে শোনার ভান করেছি সবাই বুঝলো, মেঘ করলেও বৃষ্টি কেন নাই আমি কেন বুঝতে  কেবল শুধুই হোঁচট খাই খাদেম বলে শুনতে চাও মনের সাথে কানকে নাও চোখ-কান-মন বোঝে তিনজন, মোটেও ভুলতে নাই। ---------x---------- 📖 এবিষয়ে আরও পড়ুন : চোখ কান মন দেখে তিনজন পাঠকের প্রতিক্রিয়া ফেসবুকে দেখুন 👉👉দুই বাংলার জনপ্রিয় ছড়াকার আলী হোসেনের আরও ছড়া পড়ার জন্য নিচের লিঙ্কে ক্লিক করুন। ১)  প্রকৃ

চকলেট ও খোকা

চকোলেট খেলেই জেনো, দাঁতে ধরবে পোকা শুনে কথা মনের ব্যথা ভীষণ গেল বেড়ে মায়ের উপর ভীষণ রেগে কাঁদলো গলা ছেড়ে ভাবলো খোকন বোঝেনা মা, এক্কেবারে বোকা। চকলেটে মা কী আছে গুন, বোঝেনা কেউ যেন সেকেলে সব ভাবনা ভেবে শুধুই চলে বকে গুণের খবর রাখেনা তাই মরছি আমি শোকে মায়ের প্রশ্ন বোঝাই তবু, বোঝেনা খোকা কেন? উৎস : ড্রাইভ , YourQuote 24/10/2017

মজার মানুষ

মজার মানুষ :  ছড়াকার আলী হোসেনের একটি অনবদ্য রাজনৈতিক ছড়া।  মজার দেশে আছি আমি ভাবতে মজা লাগে হাভাতেরা ফসল ফলায় লুটেরা নিয়ে ভাগে ফলায় যারা পায়না তারা পেট ভরেনা তাদের আমরা খেয়ে উদর ভরি যোগ্যতা নেই যাদের  ওদের আছে গতর কিন্তু বুদ্ধি ভীষণ মোটা ভাই ভাইয়ের মাথা ফাটায় নিয়ে লাঠিসোটা আমি যখন হেঁকে বলি, কান নিয়ে গেল চিলে কানে হাত না দিয়েই বেটা ভাইটাকে খায় গিলে  মধু খাবো বলে যখন ঢিল ছুড়ি মৌচাকে বোকার বেটা লাফ দিয়ে খায় মাছির কামড়টাকে বাজি রেখে বউটাকে সে ধর্ম রক্ষায় ছোটে দুবেলা ভাত জোটেনা কেন ভুলেই খাটে ভোটে ধর্মের নামে যমের দড়ি গলায় পরে তাই আমিই শত্রু ভুলে গিয়ে ভাইকে মারে ভাই  -----------##---------- প্রকাশিত, বাংলাদেশ থেকে। 07/04/2018  4:35 পিএম

নারী

নারী আলী হোসেন নানান রূপে দেখাও দেখি চিনতে তবু পারি রংধনু রং মেখে তুমি স্বপ্ন দেখাও ভারী নানান রূপে সামনে এসে আগলে রাখো যেই ভাবতে পারি মায়ের এরূপ তুলনা যার নেই দুঃখ সুখের ঘরে যখন বিষম বাতাস বায় পালের মত হালের পাশে প্রিয় তোমায় পায় নানান রূপে যখন দেখি মায়ের মত মুখে দু’গাল ভরে সোহাগ ছাপো কন্যা হয়ে বুকে কিশোর কালে কিশোরী হও বন্ধুর বেশে এসে ফাগুন মাসে আগুন হয়ে পোড়াও ভালোবেসে পোড়াও পোড় ভাঙো গড় সঙ্গী যখন আমি দু’য়ের মধ্যে এক'কে বলা যায় না মোটেও দামি দু'হাত ছাড়া কেউ যেহেতু কিচ্ছুটি নাই পারি এক হাত তার পুরুষ হলে অন্যটা ঠিক নারী।

বাবার বাবা

আলী হোসেনের ছড়া - বাবার বাবা তোমার কাছে চাইবো কিছু এত সাহস কোথায় তবু তুমি বুঝতে পারতে চেয়ে চোখের পাতায় চাইছি আমি কী তোমার বুকে বুক রাখলে বুকটা উঠতো ফুলে সব সংশয় শুকিয়ে যেত ঠোঁটটা ঠোঁটে ছুঁলে ভয়টা আবার কী! ফিরতে তোমার দেরি হলেই, বুকটা হত ভারী এপাশ ওপাশ ফিরেই শুধু নিদ্রা যেতো ছাড়ি বুঝতে পারি আজ তোমার বুকে পা তুলে দে জড়িয়ে তোমার গলা তোমার বুকে মুখটা গুঁজে ভয়কে ঝেড়ে ফেলা কত সহজ কাজ আমি এখন বুঝি সবই বোঝাই তাকে কত ছেলে আমার বলে এসব ছেলে-মানুসি যত বুঝতে পারি বেশ আমার যখন বয়স ছিল আমার ছেলের মত এসব শুনে মন বলত দুর, 'আদিখ্যেতা যত' এ সবই তার রেশ

মণিকানা

মণিকানা : লিখেছেন দুই বাংলার জনপ্রিয় ছড়াকার আলী হোসেন।  ভর-দুপুরে ছোটকা ছুটে বললো এসে, জানিস পুটে পণ করেছেন পরমহংস মরবে মাথাকূটে। ছোটকা বলে ছোট্ট করে ‘শোন কথা তোর মনটি ভরে পাঁচ শতকের দুঃখ এবার যাবেই বুঝি টুটে’ অবাক চোখে তাকায় পুটে কাক ঘুম তার গেল ছুটে প্রশ্ন করে ছোট্ট মুখেঃ ‘মসজিদ নয় মন্দির হলে দুঃখ মোদের যাবে টুটে? কেমন করে হয়? শুনে তোমার এসব কথা লাগছে আমার প্রাণে ব্যাথা এবং একটু ভয়। মন্দির বা মসজিদ হলে চটকল কি যাবে খুলে কাজ পাবেকি আমার ছোটমামা? ফুটপাতের ঐ ছোট্ট ছেলে শিদ কেটে যে গেল জেলে স্কুলে কি পারবে যেতে পরে রঙিন জামা? ছোটকা ফেলে ছোট্ট শ্বাস পালিয়ে যায় কাটিয়ে পাশ উত্তর এর নেই তো কিছু জানা বুঝতে পারে ছোটকা এবার ভুল ছিল তার ভাবায় সেবার চোখ থাকতে ছিলেন মণিকানা। ------------- ০৭/১০/২০০২ # পরমহংস দাস। ইনি রামমন্দির নির্মাণের দাবিতে আন্দোলনকারী তপস্বী ছাউনির মহন্ত। রামমন্দিরের দাবিতে আমরণ অনশনে বসেছিলেন।

কাশির বাঁশি

কাশির বাঁশি - আলী হোসেন কাশির শব্দ হাঁচির মত বাজছে সকাল সন্ধ্যা দক্ষিণ হওয়ায় ঠান্ডা ফেঁসে হঠাৎ হল বন্ধ্যা ঠান্ডা ছুটছে এলোমেলো ফেলছে গরম শ্বাস উচ্চ গলায় বলছে হেঁকে  লোভেই সর্বনাশ  মাথা এখন কাজ করেনা এদিক ওদিক চাই ডাইনে যেতে যেতেই আবার বাঁদিক চলে যাই  বন্ধু আমার বৃক্ষ দাদার শাসন ছিল চড়া যখন তখন বার হওয়াতে নিষেধ ছিল কড়া কিন্তু দেখো একটু ভেবে আমার কী দোষ ছিল নরবানর দাঁত খিঁচিয়ে ঘাড়টা মটকে দিল বৃক্ষ দাদার মাথায় ফেলে উন্নয়নের বাজ আমায় পঙ্গু করে দিল কঠিন হল কাজ ঠান্ডা আমি গরম হওয়ায়  পান পেয়ালা সাজাই আর হঠাৎ আমি গরম হলে কাশির বাঁশি বাজাই ------X------- পাঠকের মতামত দেখুন ফেসবুকে : এখানে ক্লিক করুন  👁️‍🗨️ লেখাটি প্রকাশিত হয়েছে (২৯/০১/২০২৩) দীনদর্পণ দৈনিকের সাহিত্যের পাতা ‘সাহিত্য দর্পণ’- এ। সরাসরি পত্রিকা পড়তে এখানে ক্লিক করুন

একলা হলে

একলা হলে - আলী হোসেন একলা হলে : আলী হোসেন  তুমি কি দেখবে খুলে ইমেল গেলে তোমার নামে তাতে কী শিশির ভেজা সুবাস আছে পাতায় মুড়ে ভেবো, একটু একলা হলে তুমি কি দেখবে খুলে দুচোখ মেলে তার বুকেতে লুকিয়ে রাখা সোহাগ মাখা টুকরো কথা  বুকটা জুড়ে ভেবো, একটু একলা হলে তুমি কি দেখবে খুলে মনের ভুলে তোমার নামে একমুঠো রোদ পাঠিয়ে ছিলাম সংগোপনে মাখবে বলে ভেবো, একটু একলা হলে তুমি কি অচিনপুরে ভর দুপুরে একলা থাকো আমায় ভেবে আজও কি আগুন রাঙা পলাশ ফোটে মন চাতালে  একলা হলে বোলো, একটু সময় পেলে তুমি কি সেই চাতালে মন মাতালে জলের মত আমায় ভেবে তুমি কি লিখবে ভুলে ইমেল খুলে সে সব কথা সময় পেলে ভেবো, একটু একলা হলে আমি তো বেশ ভাবতে পারি জাগতে পারি তোমায় ভেবে রাত্রি যেই পেখম মেলে নিশুতি হয় আগের মত  একলা হলে ভেবো, তুমিও সময় পেলে আমি তো বেশ থাকতে পারি চোখ ডুবিয়ে তোমার মেলে তুমি ঠিক লিখছো কিছু হাঁটছো পিছু আমায় ভেবে একলা হলে ভেবো, একটু সময় পেলে। ------------xx-----------