সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

হিমুর সহজ পাঠ

হিমুর সহজ পাঠ

অমল বানায় নতুন বাড়ি, আজিজ গাঁথে ইট
সেই বাড়িতে কে উঁকি দেয়, সুতোয় দিতে গিঁট

আ 
আকাশ বলে হেসে হেসে, শোনরে বোকা আলী
মশলায় রাজা মেশায় জানিস দ্বেষ মেশানো বালি

ইদের সিমাই যখন নিমাই মনের সুখে খায়
বুক ভরে যায় কাসেম শেখের রাজায় আঁড়ে চায়

ঈশ্বর হাসে এসব দেখে মানুষ বেজায় বোকা
বোঝে না সে আমার নামে শয়তানে দেয় ধোঁকা

উড়ে এসে বিভেদ বাড়ায় সব শোষকের ভাই
মানুষ কবে বুঝবি তোদের পৃথক করি নাই

ঊনিশ বিশে ধানের শীষে মোহর ধরায় যারা
ধর্মের ষাঁড় গোলায় ভরে, পায় না খাটে যারা

ঋষি মশাই শোনায় শমন, ধর্মেতে নেই মতি
জাহান্নাম আর নরক তাদের করবে ভীষণ ক্ষতি

এক্কা গাড়ি দেবে ছাড়ি চড়বে হওয়াই গাড়ি
ধর্ম রক্ষায় ক্ষুদ্র জীবন যারাই দেবেন ছাড়ি

ঐ দেখা যায় শত্রু তোমার, খড়গ তুলে ধরো
জীবন যদি যায় তবে যাক ধর্ম রক্ষা করো

ওই দেখা যায় স্বর্গ তোমার বৃথাই খোঁজো সুখ
ধর্ম শত্রুই আসল শত্রু, মারলেই ঘোঁচে দুখ 

ঔষধ পত্র ছেলের শিক্ষা কিম্বা মেয়ের বিয়ে
এসব কিছু তুচ্ছ দেখো ধর্মে জীবন দিয়ে

কমল কাকুর মন ছুটে যায়, গোলাম আলীর গানে
বোঝায় রাজা জাত যাবে তোর ঢুকলে ও সুর কানে

খলিল চাচার দোকান থেকে কিনলে পোশাক জামা
এদেশ তোমার বিদেশ হবে ব্যাজার হবে শ্যামা

গায়ের পোশাক তৈরি ক'রে রহিম চাচার ছেলে
শ্যামল কাকা বেচলে সে সব পূণ্য কেমনে মেলে?

ঘুঁচবে অভাব এমন ভাবলে? প্রশ্ন তুললে খোকা
রাজায় বোঝায় শ্যামের মাথায় ধরেছে ঘুণ পোকা

ঙ- এর পাশে ঞ- এর বাসা বসত বহু যুগ
রাজায় বোঝায় সুখের বেড়া কাড়ছে ঙ-র সুখ

চাওয়া পাওয়ার হিসাব ভুলে ঞ-রা চায় আঁড়ে
হিসাব কষে কে কার আগে কোপ বসাবে ঘাড়ে

ছেলে রাজার বিদেশ বসে শিক্ষাতে দেয় শান
মন্ত্রী বাবায় অংক মেলায় বাড়বে রাজার মান 

জেল খাটলে খাটুক চাষা হাভাতেদের ছেলে
আমার সোনা মন্ত্রী হবে কেমনে যাবে জেলে?

ঝোলায় নিয়ে বিষের বড়ি নেতায় বিলায় জোর
বড়ির ঘোরেই হিমু খোঁজে আঁধার ঘরের দোর

ঞ-র ঘাড়ে ঙর বোঝা চাপায় যখন মন্ত্রী
রাজায় বোঝায় এর পেছনে ঙ-রাই ষড়যন্ত্রী

টহল দেওয়ার নাম করে যেই রাজায় মারে বাণ
হিমু ছোটে চিলের পিছে ভেবে চিল নিয়েছে কান

ঠোঁটে রাজার বিষ মাখানো আমায় ডাকে বুকে
এই দেখে যা গো মাতাকে খাচ্ছে ওরা সুখে

ডালে বসে দোয়েল ভাবে কোকিল খেলে দোষ!
প্যাকেট বন্দী মা যে বিকোয় বিদেশে নন্দ ঘোষ?

ঢাকে পড়লে পুজোর কাঠি ছুটির গন্ধ পায়
রাজ-পিয়াদা এসে তাতেই নুন ছিটিয়ে যায়

নামের সাথে পোশাক মেলাও, স্বজন চিনে নাও
নইলে ছুটি জলেই যাবে, তলিয়ে বিশ বাঁও 

তাতেই হিমু কাঁপিয়ে দেশ হুংকার ছাড়ে রোষে
তাতেই বাধাই মরণ লড়াই আমরা বলদ মোষে

থালায় করে লাড্ডু বিলায়, আনন্দের নেই শেষ
হি আর মু খিদে ভুলে লড়ছে ভীষণ বেশ 

দালান কোঠা গাড়ি বাড়ি এসব চিন্তা বৃথা
রাজার মত ফকির হওয়ার ভাবনা কেন গীতা?

ধনে প্রাণে মারা যাবে, হবে মঙ্গল সূত্র হারা
জেনে বুঝে ভোট দিও না আমার শত্রু যারা

নামে রামের শপথ নিয়ে ভোট দিয়ে যাও মোর
তবেই তোমার মুক্তি হবে শাস্তি পাবে চোর

পায়ের নিচে মাটি না থাক মাথার ওপর ছাদ
তুমি এখন চাইবে কেবল হি-মুর মিলন বাদ

ফলের আশা ফালতু কথা ধর্মের কথা শোন
না খেয়ে থাক, থাকুক তবু ধর্মেতে দাও মন

বলছে এসব ফালতু লোকে মোটেও নয় আর
বলছি আমি কলির কৃষ্ণ এই যুগের অবতার 

ভয় পেয়ো না পোশাক দেখো ওরাই তোমার শত্রু
ওদের জব্দ করতে পারি আমিই অজাতশত্রু

মোল্লায় বলে এসব শুনে গোল্লায় গেলো জাত
মাদ্রাসায় না পড়লে দুঃখ কাটবে না এ রাত

য 
যন্ত্রণায় যখন কাতরায় রাম রক্ত দিতে ছোটে
রহিম চাচার ছোট ছেলের চোখ বোজে না মোটে 

রামের হাতের মুনশিয়ানায় রহিম বাঁচে আশায়
ফিরবে আব্বা অসুখ সেরে নতুন করে বাসায়

লাঙল নিয়ে ফিরবে মাঠে, ফলবে মাঠে সোনা
হি আর মু'র কাঁধে চড়ে বাঁচবে ছানাপোনা

বলো দেখি এসব কথা বলছে কি কেউ মোটে
বললে তাদের সংগে থাকো রায় দিয়ে যাও ভোটে 

শয়তানেদের সঙ্গ ছাড়ো শকুনির হোক বিদায় 
হি আর মু শক্ত হাতে শাবল চালাক ক্ষিদায় 

ষাঁড়ের মতো কেবল যারা অকম্মাদের ঢেকি
না খেটে খায় অনেক তাদের বিদায় করো দেখি

সাহস করে দাঁড়াও ঘুরে, মুষ্টি ওঠাও শিরে
শিরদাঁড়াটা সোজা রাখো, জয়ধ্বনির ঘিরে

হিমেল বাতাস বইবে বুকে বিভেদ বাতাস ভুলে
মানুষকে তুমি টানলে বুকে মিলন মালা তুলে

ড়
ডালে ডালে দুলবে দোয়েল, গাইবে শ্যামা সুরে
শ্যামার গলায় গজল শুনে বিভেদ যাবে দূরে

ঢ়
ঢাকের বাদ্য শুনবে শুকুর নাচবে শ্যামা তালে
বিভেদ বাঁশির সুর ভাঙবে ফেরিওয়ালার গালে

য়
আয় রহিমা আয় শ্যামা মা বিভেদ ভুলে গাই
ভালোবাসা ছাড়া মুক্তির উপায় কোনো নাই

হি-এর ঘরে মু-এর দাওয়াত মিলন মেলার হাট
তোমার আমার মুখে ফুটুক হিমুর সহজ পাঠ।
--------xx--------

মন্তব্যসমূহ

আলী হোসেনের জনপ্রিয় ছড়াগুলো পড়ুন

সাগরের জল

সাগরের জল শুকায় না তাই দিলে কয়েক ফোঁটা তাতেই আঁচল ভরলো মায়ের হল সূর্য শুরু ওঠা সেই জলেতেই ভিজলো কুঁড়ি ফুটলো মুখে কথা সেই কথাতেই লিখি এখন সকাল-সাঁঝের গাথা গাথার পাহাড় তোমায় নিয়ে তুমি প্রাণের নাগর তোমার জলেই সিক্ত মধু সেচেন সিন্ধু সাগর সেই সাগরের মুক্ত এখন জ্বালায় দেখি আলো সেই আলোতে রাঙিয়ে ওঠে মায়ের সিঁথির লালও তোমার জলের জোয়ার যখন গর্জায় বারংবার সেই জোয়ারে গুঁড়িয়ে যে যায় সাদার অহংকার সে অহংকার তোমার সাজে গর্জে ওঠে স্বর মায়ের ডাকে শুকায় দেখি মাতাল দামোদর সাগর জলেই মেশে যেমন ময়লা জলের ধারা তারই বুকে আছড়ে পড়ে হয় সে বাঁধন হারা তেমন করেই তোমার বুকের ঠিকরে এলো আলো তোমার জন্য আঁধার গুলোও আলোয় ধুঁয়ে গেলো সেই আলো আজ নিভুনিভু আঁধার ঢাকছে ঘর সেই আঁধারের গেরুয়া বাতি করছে আপন পর এসব তুমি দেখছো কি আজ বলো উচ্চ করে শির যে-শির তোমার চেনায় আজও তুমি বিদ্যাসাগর বীর ------- দেখুন ফেসবুকে : এখানে ক্লিক করুন

শরৎ গাথা

শরৎগাথা: ছড়াকার আলী হোসেনের দুই বাংলার জনপ্রিয় ছড়া  ্র আকাশ কালো মেঘের ভেলা সকাল কিম্বা সন্ধ্যাবেলা চলছে দেখ বকের পাখায় ভেসে, দিচ্ছে পাড়ি               এদেশ ছাড়ি অচিন দেশে মামার বাড়ি যেই-খানেতে, আকাশ মাটি মেশে। আকাশ মাটির মনের কথা জল করেছে বুকের ব্যথা মুখের কালো দূর করেছে বেশ, ভাদ্র এসে                 ভদ্র বেশে আশ্বিন তার সঙ্গে মেশে শিউলি-কাশে ভরিয়ে দিল দেশ। শরৎ এলো হাওয়ায় ভেসে শিশির তারই সঙ্গে মেশে ঘাসের ডগায় রুপোর নাকের ফুল শরৎ আনে                    নতুন মানে দোয়েল শ্যামার নতুন গানে বাবুই বোনে নতুন কানের দুল কমতে থাকা বিলের জলে ডাকপাখিরা হেঁটে চলে পানকৌড়ি ডুবমারে মাছ ধরতে, এমন মাসে                 দুর্গা আসে লক্ষ্য থাকে অসুর নাশে মুর্খ চোরা মর্তে আসে মরতে। উৎস : বাংলা সাহিত্য উৎস : বাংলা সাহিত্য

চোখ-কান-মন শোনে তিনজন

চোখ-কান-মন শোনে তিনজন : জনপ্রিয় ছড়াকার আলী হোসেনের একটি জনপ্রিয় ছড়া।  দেখছো তুমি, দেখছি আমি, দেখছি সকল সময় দেখছে সবাই, যা হয় তা-ই কেবল, আমিই দেখছি নাই কারণ কী তা খুঁজতে গিয়ে হোঁচট শুধুই খাই কী তার কারণ, অবশেষে বললে খাদেম ভাই চোখের সাথে কান ছিল না সঙ্গে ভোলা মন ছিল না চোখ-কান-মন দেখে তিন-জন মানছি না সব-সময়। শুনছো তুমি, শুনছি আমি,  শুনতে কান তো চাই-ই আমার সাথে শোনে খাদেম সঙ্গে শোনায় ন-ভাই হাতেম সে গজল মাঝে গাইলো খেয়াল খেয়াল করি নাই কারণ কী তা খুঁজতে গিয়ে আবার হোঁচট খাই কী তার কারণ, নেই যে বারণ খাদেম শোনায় গহীন কারণ চোখ-কান-মন শোনে তিন-জন, মোটেও মানো নাই। চোখ ছিল ঠিক, কান ছিল তাও, তবুও বুঝি নাই বোঝার জন্য মন দিয়েছি সঙ্গে শোনার ভান করেছি সবাই বুঝলো, মেঘ করলেও বৃষ্টি কেন নাই আমি কেন বুঝতে  কেবল শুধুই হোঁচট খাই খাদেম বলে শুনতে চাও মনের সাথে কানকে নাও চোখ-কান-মন বোঝে তিনজন, মোটেও ভুলতে নাই। ---------x---------- 📖 এবিষয়ে আরও পড়ুন : চোখ কান মন দেখে তিনজন পাঠকের প্রতিক্রিয়া ফেসবুকে দেখুন 👉👉দুই বাংলার জনপ্রিয় ছড়াকার আলী হোসেনের আরও ছড়া পড়ার জন্য নিচের লিঙ্কে ক্লিক করুন। ১)  প্রকৃ

চকলেট ও খোকা

চকোলেট খেলেই জেনো, দাঁতে ধরবে পোকা শুনে কথা মনের ব্যথা ভীষণ গেল বেড়ে মায়ের উপর ভীষণ রেগে কাঁদলো গলা ছেড়ে ভাবলো খোকন বোঝেনা মা, এক্কেবারে বোকা। চকলেটে মা কী আছে গুন, বোঝেনা কেউ যেন সেকেলে সব ভাবনা ভেবে শুধুই চলে বকে গুণের খবর রাখেনা তাই মরছি আমি শোকে মায়ের প্রশ্ন বোঝাই তবু, বোঝেনা খোকা কেন? উৎস : ড্রাইভ , YourQuote 24/10/2017

মজার মানুষ

মজার মানুষ :  ছড়াকার আলী হোসেনের একটি অনবদ্য রাজনৈতিক ছড়া।  মজার দেশে আছি আমি ভাবতে মজা লাগে হাভাতেরা ফসল ফলায় লুটেরা নিয়ে ভাগে ফলায় যারা পায়না তারা পেট ভরেনা তাদের আমরা খেয়ে উদর ভরি যোগ্যতা নেই যাদের  ওদের আছে গতর কিন্তু বুদ্ধি ভীষণ মোটা ভাই ভাইয়ের মাথা ফাটায় নিয়ে লাঠিসোটা আমি যখন হেঁকে বলি, কান নিয়ে গেল চিলে কানে হাত না দিয়েই বেটা ভাইটাকে খায় গিলে  মধু খাবো বলে যখন ঢিল ছুড়ি মৌচাকে বোকার বেটা লাফ দিয়ে খায় মাছির কামড়টাকে বাজি রেখে বউটাকে সে ধর্ম রক্ষায় ছোটে দুবেলা ভাত জোটেনা কেন ভুলেই খাটে ভোটে ধর্মের নামে যমের দড়ি গলায় পরে তাই আমিই শত্রু ভুলে গিয়ে ভাইকে মারে ভাই  -----------##---------- প্রকাশিত, বাংলাদেশ থেকে। 07/04/2018  4:35 পিএম

নারী

নারী আলী হোসেন নানান রূপে দেখাও দেখি চিনতে তবু পারি রংধনু রং মেখে তুমি স্বপ্ন দেখাও ভারী নানান রূপে সামনে এসে আগলে রাখো যেই ভাবতে পারি মায়ের এরূপ তুলনা যার নেই দুঃখ সুখের ঘরে যখন বিষম বাতাস বায় পালের মত হালের পাশে প্রিয় তোমায় পায় নানান রূপে যখন দেখি মায়ের মত মুখে দু’গাল ভরে সোহাগ ছাপো কন্যা হয়ে বুকে কিশোর কালে কিশোরী হও বন্ধুর বেশে এসে ফাগুন মাসে আগুন হয়ে পোড়াও ভালোবেসে পোড়াও পোড় ভাঙো গড় সঙ্গী যখন আমি দু’য়ের মধ্যে এক'কে বলা যায় না মোটেও দামি দু'হাত ছাড়া কেউ যেহেতু কিচ্ছুটি নাই পারি এক হাত তার পুরুষ হলে অন্যটা ঠিক নারী।

বাবার বাবা

আলী হোসেনের ছড়া - বাবার বাবা এ সবই তার রেশ তোমার কাছে চাইবো কিছু এত সাহস কোথায় তবু তুমি বুঝতে পারতে চেয়ে চোখের তারায় চাইছি আমি কী তোমার বুকে বুক রাখলে বুকটা উঠতো ফুলে সব সংশয় শুকিয়ে যেত ঠোঁটটা ঠোঁটে ছুঁলে ভয়টা আবার কী! ফিরতে তোমার দেরি হলেই, বুকটা হত ভারী এপাশ ওপাশ ফিরেই শুধু নিদ্রা যেতো ছাড়ি বুঝতে পারি আজ তোমার বুকে পা তুলে দে জড়িয়ে তোমার গলা তোমার বুকে মুখটা গুঁজে ভয়কে ঝেড়ে ফেলা কত সহজ কাজ আমি এখন বুঝি সবই বোঝাই তাকে কত ছেলে আমার বলে এসব ছেলে-মানসি যত বুঝতে পারি বেশ আমার যখন বয়স ছিল আমার ছেলের মত এসব শুনে মন বলত দুর, 'আদিখ্যেতা যত' এ সবই তার রেশ ----------xx---------

মণিকানা

মণিকানা : লিখেছেন দুই বাংলার জনপ্রিয় ছড়াকার আলী হোসেন।  ভর-দুপুরে ছোটকা ছুটে বললো এসে, জানিস পুটে পণ করেছেন পরমহংস মরবে মাথাকূটে। ছোটকা বলে ছোট্ট করে ‘শোন কথা তোর মনটি ভরে পাঁচ শতকের দুঃখ এবার যাবেই বুঝি টুটে’ অবাক চোখে তাকায় পুটে কাক ঘুম তার গেল ছুটে প্রশ্ন করে ছোট্ট মুখেঃ ‘মসজিদ নয় মন্দির হলে দুঃখ মোদের যাবে টুটে? কেমন করে হয়? শুনে তোমার এসব কথা লাগছে আমার প্রাণে ব্যাথা এবং একটু ভয়। মন্দির বা মসজিদ হলে চটকল কি যাবে খুলে কাজ পাবেকি আমার ছোটমামা? ফুটপাতের ঐ ছোট্ট ছেলে শিদ কেটে যে গেল জেলে স্কুলে কি পারবে যেতে পরে রঙিন জামা? ছোটকা ফেলে ছোট্ট শ্বাস পালিয়ে যায় কাটিয়ে পাশ উত্তর এর নেই তো কিছু জানা বুঝতে পারে ছোটকা এবার ভুল ছিল তার ভাবায় সেবার চোখ থাকতে ছিলেন মণিকানা। ------------- ০৭/১০/২০০২ # পরমহংস দাস। ইনি রামমন্দির নির্মাণের দাবিতে আন্দোলনকারী তপস্বী ছাউনির মহন্ত। রামমন্দিরের দাবিতে আমরণ অনশনে বসেছিলেন।

কাশির বাঁশি

কাশির বাঁশি - আলী হোসেন কাশির শব্দ হাঁচির মত বাজছে সকাল সন্ধ্যা দক্ষিণ হওয়ায় ঠান্ডা ফেঁসে হঠাৎ হল বন্ধ্যা ঠান্ডা ছুটছে এলোমেলো ফেলছে গরম শ্বাস উচ্চ গলায় বলছে হেঁকে  লোভেই সর্বনাশ  মাথা এখন কাজ করেনা এদিক ওদিক চাই ডাইনে যেতে যেতেই আবার বাঁদিক চলে যাই  বন্ধু আমার বৃক্ষ দাদার শাসন ছিল চড়া যখন তখন বার হওয়াতে নিষেধ ছিল কড়া কিন্তু দেখো একটু ভেবে আমার কী দোষ ছিল নরবানর দাঁত খিঁচিয়ে ঘাড়টা মটকে দিল বৃক্ষ দাদার মাথায় ফেলে উন্নয়নের বাজ আমায় পঙ্গু করে দিল কঠিন হল কাজ ঠান্ডা আমি গরম হওয়ায়  পান পেয়ালা সাজাই আর হঠাৎ আমি গরম হলে কাশির বাঁশি বাজাই ------X------- পাঠকের মতামত দেখুন ফেসবুকে : এখানে ক্লিক করুন  👁️‍🗨️ লেখাটি প্রকাশিত হয়েছে (২৯/০১/২০২৩) দীনদর্পণ দৈনিকের সাহিত্যের পাতা ‘সাহিত্য দর্পণ’- এ। সরাসরি পত্রিকা পড়তে এখানে ক্লিক করুন

একলা হলে

একলা হলে - আলী হোসেন একলা হলে : আলী হোসেন  তুমি কি দেখবে খুলে ইমেল গেলে তোমার নামে তাতে কী শিশির ভেজা সুবাস আছে পাতায় মুড়ে ভেবো, একটু একলা হলে তুমি কি দেখবে খুলে দুচোখ মেলে তার বুকেতে লুকিয়ে রাখা সোহাগ মাখা টুকরো কথা  বুকটা জুড়ে ভেবো, একটু একলা হলে তুমি কি দেখবে খুলে মনের ভুলে তোমার নামে একমুঠো রোদ পাঠিয়ে ছিলাম সংগোপনে মাখবে বলে ভেবো, একটু একলা হলে তুমি কি অচিনপুরে ভর দুপুরে একলা থাকো আমায় ভেবে আজও কি আগুন রাঙা পলাশ ফোটে মন চাতালে  একলা হলে বোলো, একটু সময় পেলে তুমি কি সেই চাতালে মন মাতালে জলের মত আমায় ভেবে তুমি কি লিখবে ভুলে ইমেল খুলে সে সব কথা সময় পেলে ভেবো, একটু একলা হলে আমি তো বেশ ভাবতে পারি জাগতে পারি তোমায় ভেবে রাত্রি যেই পেখম মেলে নিশুতি হয় আগের মত  একলা হলে ভেবো, তুমিও সময় পেলে আমি তো বেশ থাকতে পারি চোখ ডুবিয়ে তোমার মেলে তুমি ঠিক লিখছো কিছু হাঁটছো পিছু আমায় ভেবে একলা হলে ভেবো, একটু সময় পেলে। ------------xx-----------