সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

ছড়াক্কা লেবেল থাকা পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

ঘামকথা

ঘামকথা : আলী হোসেন আলী হোসেনের কৃষক আন্দোলন বিষয়ক ছড়া খাওয়াও তুমি পাওনা খেতে, এটাই তোমার দেশ তোমার আকাশ তোমার ভুবাস তোমার ঘামের গন্ধ-সুবাস নেয় শুষে যার ঝরে না ঘাম রোদে পোড়ার দেয় না যে দাম রক্ত শুষতে বানায় কানুন, তারা ধরেন ছদ্মবেশ। এই কানুন কী মানবে তুমি, মুষ্টি ওঠাও গুনতে তোমার ঘামের মূল্য যত শুধতে হবে এ ঋণ তত বানিয়ে তোমায় দাবার বোড়ে ভাগ না বসায় পুঁজির ফড়ে বিক্রি হয় না ঘামকথা, তা বাধ্য করো শুনতে। দেখুন ফেসবুকে। এখানে ক্লিক করুন দেখুন YourQute এ। কৃষক আন্দোলন বিষয়ক ছড়া আরও ছড়া : ঘামের গাথা ঘাম কথা মুষ্টি ওঠাও

কোলের গন্ধ

মা-কে নিয়ে ছড়া : কোলের গন্ধ  তুমি যখন ভয় পেয়ে যাও আর বুঝি বাঁচবে না কষ্টে আমার এ মন ভাসে দু'চোখ ভরে শ্রাবণ আসে বুঝতে পারি তোমার বুকের বেড়ে ওঠা সবুজ সুখের কোলের গন্ধে এ মন বুঝি আর কখনো নাচবে না এ মন তোমার প্রাণের কোঠর আগলে রাখো কেন? সাগর মাঝে ঝিনুক যেমন আগলে রাখে মুক্ত তেমন তেমন করে স্মৃতির পাতায় আগলে রাখো হলুদ খাতায় দাগ রেখে যাও ভালোবাসার ক্ষয় ধরে না যেন। হাসো আকাশ গাঙে এ দাগ রেখে হয়ে অণিমা তোমার হাসির অসীম সুরে বাঁচছি আমি অচিনপুরে সুর তুলে যাই তোমার মাঝে স্বপ্ন দেখি সকাল সাঁঝে তোমার কোলের গন্ধ আছে ভয় কী আমার মা?               ------------------ 'অণিমা' কথার অর্থ এখানে

পীরের পীড়া

পীরকে আমরা মানবো কেন পীড়ার কারণ হলে যার সাহায্য নিচ্ছেন তিনি তার বিরুদ্ধেই বোঝান যিনি এমন হলে বলবে সবাই মানবো কেন দোয়া-দাওয়াই যখন, নিজের প্রয়োজনে পড়েন বিজ্ঞানেতে ঢলে উৎস আপনি কি অবাক হচ্ছেন লেখাটা পড়ে? অথবা রেগে যাচ্ছেন? যাই করুন, সঙ্গে একটু ভাবুন। বিশেষ করে, আপনি যদি শিক্ষিত মুসলিম ছাত্র-যুব হন। ভাবুন, আমরা যাদেরকে সমাজের, বিশেষ করে ধর্মীয় জীবনের পরিচালক ও পরামর্শদাতা করে রেখেছি, তারা কি আমাদের সঠিক পথ দেখাচ্ছেন? যদি না দেখান তবে তাদের আমরা মানব কেন? ভাবার সময় এসেছে। অনুগ্রহ করে ভাবুন। একবার নিচের ভিডিওটি দেখুন । এরা কারা? শিক্ষাদীক্ষাহীন অসহায় গরিব বা নিম্নমধ্যবিত্ত মানুষ। বিপদে পড়লে, যারা হাতের কাছে পান সেই মানুষকে, যিনি নিজেকে প্রকৃত ধার্মিক ও আল্লাওয়ালা বলে দাবি করেন। তাই তার কাছেই ছুটে যান পরামর্শ নিতে। এই বিপদে তাদের কি করা উচিত তা জানতে। কিন্তু দুঃখের হলেও এটা জলের মত পরিষ্কার যে, এই অসহায়তার সুযোগ নেন কিছু বকধার্মিক। এখানে পীর হচ্ছেন তিনিই। তিনি (পীর) রোগাক্রান্ত হলেই ভক্তের কষ্টার্জিত পয়সায় (নজরানা) চলে যান বড় বড় ডাক্তারের কাছে। আর একজন ধর্মপ্রাণ মানুষ যখন কোনো উপ...

এই শ্রাবণে। আলী হোসেন

এই শ্রাবণে। ছড়াকার আলী হোসেন: অবশেষে মিষ্টি হেসে বৃষ্টি এলো ঝেঁপে এই শ্রাবণের দিন যাপনে ঘামের সাথে হৃদ কাঁপনে সঙ্গী হয়ে আসলো সে এক ভালোবাসার রাণী সে দেখ আপন ভেবে ভালবেসে হাত ধরেছে চেপে। ফেলছে সে পা গুটিগুটি মরছি ভয়ে ভয়ে ভয় কাটানোর মন্ত্রনাতে দুই হাত তুলি যন্ত্রনাতে কিন্তু ভুলে কুমন্ত্রনাতে জল জমিনের বন্ধুতাতে খুন ঝরাতে সবুজ প্রাণের ছুটছি শয়ে শয়ে। পাঠকের প্রতিক্রিয়া দেখুন এখানে

নতুন পথের বাঁকে

নতুন পথের বাঁকে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে নিয়ে আলী হোসেনের ছড়া কবিতা  ছড়া কবিতা : নতুন পথের বাঁকে - আলী হোসেন  এ ঠাকুর নয় যে-সে ঠাকুর, রবির সঙ্গে থাকে চলার পথে বলার সাথে সকাল কিংবা সন্ধ্যারাতে তাঁকে নিয়েই আমরা বাঁচি রাম রহিম হয় কাছাকাছি চলতে পথে বলতে কথা নতুন পথের বাঁকে। এ নতুন নয় যে-সে নতুন, কবির কথায় থাকে চলতে পথে চড়তে রথে এগিয়ে যেতে নতুন পথে শেখায় কিংবা শিখতে বলে ভারততীর্থ গড়তে বলে যে তীর্থে থাকতে পারি সঙ্গে রাখলে তাঁকে। --------xx------- রবীন্দ্রনাথ সংক্রান্ত অরও লেখা : 📖 পারের কড়ি   📖 নতুন পথের বাঁকে 👈 আপনি এখন এখানে 📖  বাইশে শ্রাবণ পাঠকের মতামত: দেখুন  ফেসবুকের পাতায় 

নেতার নেতা

নেতাজিকে নিয়ে আলী হোসেনের ছড়া নেতার নেতা  নেতার নেতা নেজাজি, তোমার ফুলের মত নাম দেশের জন্য শপথ নিলে তাঁর জন্য জীবন দিলে নতুন সূর্য দেখবে স্বদেশ স্বদেশ হবে মুক্ত-বিদেশ সেই স্বদেশ-ই বিদেশ হল, তোমার বিধি হল বাম নেতার নেতা নেতাজি, তোমার বজ্রকঠিন নাম এই নামেতই উঠলো কাঁপন ভাঙলো দেশের নিশিজাপন জাগবে বলে শপথ নিলে বুক চিতিয়ে রক্ত দিলে সম্মান পাবে উৎপীড়িত, পাবে মূল্য তাদের ঘাম

শীত কথা আলী হোসেন

শীত কথা আলী হোসেনের ছড়া কবিতা  শীত কথা - আলী হোসেন কথায় কথায় বাড়ে কথা কাঁথায় বাড়ে সুখ হিমেল হাওয়ার ছোঁয়ায় হাড়ে যার ছোঁয়াতেই বিকেল বাড়ে তার ছোঁয়াতেই পথের শিশু থাকেন যেমন ক্রুশে যীশু নকশিকাঁথায় মোড়ে তেমন হাজার ভাঙা বুক পাঠকের মতামত দেখুন ফেসবুকে

তুমি আমার আপন

কে-ব-লে-ছে-/তু-মি-দূ-রের-/তু-মি- আ-মার-/ আ-পন-। কে বলেছে তুমি দূরের তুমি আমার আপন আপন মানে কাছে রাখার ভালোবেসে দূরে থাকার শপথ নিয়ে মনের ছন্দে ভালোবাসার গভীর দ্বন্দ্বে পাশে থাকার ই...

সেটাই তোমার নাই

ছোট্ট সোনা চোখটি তোলো বলো তোমার চাই যা চাও সোনা চাঁদের কোনা টেডি বিয়ার? দিচ্ছি সোনা একটু তুমি মুখটি খোলো অফিস ফিরলে আম্মা বোলো এছাড়া তো তোমার কাছে কিচ্ছু চাওয়ার নাই ছোট্...

বাজি - আলী হোসেন

বাজি - আলী হোসেন  দীপাবলি সম্বন্ধে কবিতা। আলী হোসেনের লেখা দীপাবলী সংক্রান্ত ছড়া। আসছে বছর আবার হবে হবেই সেটা জানি কিন্তু যেটা মানি না এবং কেন জানি না বিকট শব্দে যখন বাজে কোলের শিশুর সয়না তা যে জেনেও কেন পোড়াই বাজি স্বাস্থ্য করে হানি। ----------xx-------- পাঠকের মতামত দেখুন এখানে  

গ্রাম - ১, ২

১. জানি, গ্রামকে তুমি মন্দ বল বোকার হদ্দ তুমি গ্রামের মাটি ভীষণ খাঁটি সাজিয়ে বাগান পরিপাটি তোমার মুখের জন্য আনে জানে গোটা বিশ্ব জানে মুখের অন্ন যোগায় যেজন সেজন গ্রামের ভ...

পরিচয়

প্রথম নামে উদার আমি পরে আমি হোসেন বাসা আমার চড়ুইগাছি এখন যেন কোথায় আছি? জানতে আসুন কলকাতাতে উত্তর আছে পরগনাতে সেটাই দেবো ২৪ বার একটুখানি বসেন। কী বলছেন, থানা কোথায় জানতে ...

একটু ভেবে দেখো

আসছি আমি বলছি তোমায় একটু মনে রেখো আকাশ ডিঙ্গায় যাচ্ছি আমি তোমার চেয়ে নেই যে দামি ভাবছি আমি ভাবছো কিনা বাজছে আমার মনের বিনা তার সাথে সুর মিলছে কিনা একটু ভেবে দেখো

তোমার মুখের ছায়ায় দেখি স্বপ্ন বোনা যায়

১ আঁধার রাতে সাতটি তারা আকাশ ডিঙি বায় তাদের একটি আমায় ডেকে আড়চোখেতে একটু দেখে বললো হেসে ভাবছি আমি ফুলের চেয়ে বেশি-ই দামি তোমার মুখের ছায়ায় দেখি স্বপ্ন বোনা যায়। ২ তোমার স...

মাথার মড়ক

জেনো, মাথার ওপর মাথাই নাই মাথা চালাও জোরছে তাই মাথাও হেট করবে না মরার আগে মরবে না মরার চিন্তা বৃথাই তাই মেনো, মাথার মড়ক মানতে নাই      ***** শুক্রবার, 09 মার্চ 2012 20.04.05 উৎস : ফেসবুক ,  YourQuote , 'ছড়াক্কা' পত্রিকা মার্চ 12012

অলীক সুখ

মুখের আড়ালে অন্য মুখ তাতেই দেখাও অলীক সুখ মুখোশ পরে বাসছো ভালো মাখিয়ে মুখে চাঁদের আলো আড়াল থেকে মারছো ছুরি করছো আমার পুকুর চুরি তাতেই নাকি পালটে দেশে আসবে সে এক নতুন যুগ! দেখাও, এযুগেরই নায়ক তুমি স্বপ্নপুরির সোনার মুখ বলছো তুমি রাজার মত সারিয়ে নাকি বুকের ক্ষত রথ ছুটিয়ে আসছো তুমি গড়তে নতুন ভারত ভূমি যাতে, ভোগ করবে এদেশবাসি মর্ত্যে বসেই স্বর্গসুখ! উৎস : YourQuote   দেখুন ফেসবুকে। এখানে ক্লিক করুন

চকলেট ও খোকা

চকোলেট খেলেই জেনো, দাঁতে ধরবে পোকা শুনে কথা মনের ব্যথা ভীষণ গেল বেড়ে মায়ের উপর ভীষণ রেগে কাঁদলো গলা ছেড়ে ভাবলো খোকন বোঝেনা মা, এক্কেবারে বোকা। চকলেটে মা কী আছে গুন, বোঝেনা কেউ যেন সেকেলে সব ভাবনা ভেবে শুধুই চলে বকে গুণের খবর রাখেনা তাই মরছি আমি শোকে মায়ের প্রশ্ন বোঝাই তবু, বোঝেনা খোকা কেন? উৎস : ড্রাইভ , YourQuote 24/10/2017

স্বপ্নপুরীর রাণী

 স্বপ্নপুরীর রাণী / রাত স্বপ্নপুরীর রাণী : আলী হোসেন  আলী হোসেন  আমি যদি রাত্রি হতাম, ঘুমের দেশে এসে তোমার চোখের পাতা ছুঁয়ে মাতাল চাঁদের আলোয় ধুঁয়ে ঘুম পাড়ানি গানের টানে পাল্টে দিতাম ঘুমের মানে স্বপ্নপুরীর রাণীর মতো শুধুই ভালোবেসে উৎস : YourQuote  ,  দেখুন ফেসবুকে

নিত্য মাঝি সাজি

জীবন নদীর জোয়ার-ভাটায়, আমরা হলাম মাঝি জোয়ার আসে রাত্রিদিন ভাটাও দেখি নিত্যদিন ভয় পাওয়া তাই ফালতু তেমন মরুর মরীচিকা যেমন জীবন নদীর নৌকা বাইতে, তাই নিত্য মাঝি সাজি

বই দিয়ে যায় চেনা

বইয়ের আমি বইয়ের তুমি বই দিয়ে যায় চেনা বই না পড়ে কেমন করে জানবে জীবন যাচ্ছে ঝরে? এসব কথা শুনে শুনে গাঁটের পয়সা গুনে গুনে বইয়ের নেশায় পড়ে দেখো বই হয়ে যায় কেনা বই অনেকে কেনে কি...

আলী হোসেনের জনপ্রিয় ছড়াগুলো পড়ুন

একলা হলে

একলা হলে - আলী হোসেন একলা হলে : আলী হোসেন  তুমি কি দেখবে খুলে ইমেল গেলে তোমার নামে তাতে কী শিশির ভেজা সুবাস আছে পাতায় মুড়ে ভেবো, একটু একলা হলে তুমি কি দেখবে খুলে দুচোখ মেলে তার বুকেতে লুকিয়ে রাখা সোহাগ মাখা টুকরো কথা  বুকটা জুড়ে ভেবো, একটু একলা হলে তুমি কি দেখবে খুলে মনের ভুলে তোমার নামে একমুঠো রোদ পাঠিয়ে ছিলাম সংগোপনে মাখবে বলে ভেবো, একটু একলা হলে তুমি কি অচিনপুরে ভর দুপুরে একলা থাকো আমায় ভেবে আজও কি আগুন রাঙা পলাশ ফোটে মন চাতালে  একলা হলে বোলো, একটু সময় পেলে তুমি কি সেই চাতালে মন মাতালে জলের মত আমায় ভেবে তুমি কি লিখবে ভুলে ইমেল খুলে সে সব কথা সময় পেলে ভেবো, একটু একলা হলে আমি তো বেশ ভাবতে পারি জাগতে পারি তোমায় ভেবে রাত্রি যেই পেখম মেলে নিশুতি হয় আগের মত  একলা হলে ভেবো, তুমিও সময় পেলে আমি তো বেশ থাকতে পারি চোখ ডুবিয়ে তোমার মেলে তুমি ঠিক লিখছো কিছু হাঁটছো পিছু আমায় ভেবে একলা হলে ভেবো, একটু সময় পেলে। ------------xx-----------

সাগরের জল

সাগরের জল শুকায় না তাই দিলে কয়েক ফোঁটা তাতেই আঁচল ভরলো মায়ের হল সূর্য শুরু ওঠা সেই জলেতেই ভিজলো কুঁড়ি ফুটলো মুখে কথা সেই কথাতেই লিখি এখন সকাল-সাঁঝের গাথা গাথার পাহাড় তোমায় নিয়ে তুমি প্রাণের নাগর তোমার জলেই সিক্ত মধু সেচেন সিন্ধু সাগর সেই সাগরের মুক্ত এখন জ্বালায় দেখি আলো সেই আলোতে রাঙিয়ে ওঠে মায়ের সিঁথির লালও তোমার জলের জোয়ার যখন গর্জায় বারংবার সেই জোয়ারে গুঁড়িয়ে যে যায় সাদার অহংকার সে অহংকার তোমার সাজে গর্জে ওঠে স্বর মায়ের ডাকে শুকায় দেখি মাতাল দামোদর সাগর জলেই মেশে যেমন ময়লা জলের ধারা তারই বুকে আছড়ে পড়ে হয় সে বাঁধন হারা তেমন করেই তোমার বুকের ঠিকরে এলো আলো তোমার জন্য আঁধার গুলোও আলোয় ধুঁয়ে গেলো সেই আলো আজ নিভুনিভু আঁধার ঢাকছে ঘর সেই আঁধারের গেরুয়া বাতি করছে আপন পর এসব তুমি দেখছো কি আজ বলো উচ্চ করে শির যে-শির তোমার চেনায় আজও তুমি বিদ্যাসাগর বীর ------- দেখুন ফেসবুকে : এখানে ক্লিক করুন

শরৎ গাথা

শরৎগাথা: ছড়াকার আলী হোসেনের দুই বাংলার জনপ্রিয় ছড়া  ্র আকাশ কালো মেঘের ভেলা সকাল কিম্বা সন্ধ্যাবেলা চলছে দেখ বকের পাখায় ভেসে, দিচ্ছে পাড়ি               এদেশ ছাড়ি অচিন দেশে মামার বাড়ি যেই-খানেতে, আকাশ মাটি মেশে। আকাশ মাটির মনের কথা জল করেছে বুকের ব্যথা মুখের কালো দূর করেছে বেশ, ভাদ্র এসে                 ভদ্র বেশে আশ্বিন তার সঙ্গে মেশে শিউলি-কাশে ভরিয়ে দিল দেশ। শরৎ এলো হাওয়ায় ভেসে শিশির তারই সঙ্গে মেশে ঘাসের ডগায় রুপোর নাকের ফুল শরৎ আনে                    নতুন মানে দোয়েল শ্যামার নতুন গানে বাবুই বোনে নতুন কানের দুল কমতে থাকা বিলের জলে ডাকপাখিরা হেঁটে চলে পানকৌড়ি ডুবমারে মাছ ধরতে, এমন মাসে                 দুর্গা আসে লক্ষ্য থাকে অ...

চোখ-কান-মন শোনে তিনজন

চোখ-কান-মন শোনে তিনজন : জনপ্রিয় ছড়াকার আলী হোসেনের একটি জনপ্রিয় ছড়া।  দেখছো তুমি, দেখছি আমি, দেখছি সকল সময় দেখছে সবাই, যা হয় তা-ই কেবল, আমিই দেখছি নাই কারণ কী তা খুঁজতে গিয়ে হোঁচট শুধুই খাই কী তার কারণ, অবশেষে বললে খাদেম ভাই চোখের সাথে কান ছিল না সঙ্গে ভোলা মন ছিল না চোখ-কান-মন দেখে তিন-জন মানছি না সব-সময়। শুনছো তুমি, শুনছি আমি,  শুনতে কান তো চাই-ই আমার সাথে শোনে খাদেম সঙ্গে শোনায় ন-ভাই হাতেম সে গজল মাঝে গাইলো খেয়াল খেয়াল করি নাই কারণ কী তা খুঁজতে গিয়ে আবার হোঁচট খাই কী তার কারণ, নেই যে বারণ খাদেম শোনায় গহীন কারণ চোখ-কান-মন শোনে তিন-জন, মোটেও মানো নাই। চোখ ছিল ঠিক, কান ছিল তাও, তবুও বুঝি নাই বোঝার জন্য মন দিয়েছি সঙ্গে শোনার ভান করেছি সবাই বুঝলো, মেঘ করলেও বৃষ্টি কেন নাই আমি কেন বুঝতে  কেবল শুধুই হোঁচট খাই খাদেম বলে শুনতে চাও মনের সাথে কানকে নাও চোখ-কান-মন বোঝে তিনজন, মোটেও ভুলতে নাই। ---------x---------- 📖 এবিষয়ে আরও পড়ুন : চোখ কান মন দেখে তিনজন পাঠকের প্রতিক্রিয়া ফেসবুকে দেখুন 👉👉দুই বাংলার জনপ্রিয় ছড়াকার আলী হোসেনের আরও ছড়া পড়ার জন্য নিচের লিঙ্কে ক্ল...

শুভ নববর্ষ

শুভ নববর্ষ : আলী হোসেনের ছড়া ছড়া :  শুভ নববর্ষ আলী হোসেন নতুন বছর নতুন চোখ, নতুন চোখে স্বপ্ন ভরা এ নতুন সে-নতুন নয়, পুরানোকেই নতুন করা  নতুন করে বলি বলে, পুরানো পায় নতুন রূপ নতুন করে পাবো বলে, নতুন করে জ্বালাই ধূপ — বুঝছি কি? এ নতুন কি সে-নতুন, যে নতুন-কিছু ভাবতে বলে? এ নতুন কি সে-নতুন, যে নতুন-পথে চলতে বলে? এ নতুন কি চিনছি গিয়ে, রেষ্টুরেন্ট আর শপিংমলে! এ নতুন যে ভাঙছে বাঁধন, যাচ্ছে সময় রসাতলে! — বুঝছি কি? নতুন কিছু পাবো ভেবে, পাল্টে দিলেই খাবার নাম মাছভাজা হয় ফিসফ্রাই আর সঙ্গী হয় দ্বিগুণ দাম পাল্টে গেল আলু-ভাজা আজ নাম কি বাহারি তার! হাওয়ায় ফোলা প্যাকেট ভরে চিপস্ হল নাম যার! — বুঝছি কী? এক টাকার তা-ই পাঁচে কিনে স্ট্যাটাস গেলো বেড়ে গিন্নি খুশী হেঁকে বলেন, বাব্বাহ্! বাঁচলাম হাঁফ ছেড়ে খোকাও বেজায় খুশি বটে, মন জুড়ে তার হর্ষ ফোকলা দাঁতের ফাঁক গলে ‘শুভ’ শোনায় ‘নববর্ষ’ — বুঝছি কী? -----------xx---------- 👉 পাঠকের মতামত দেখুন ফেসবুকে

হিমুর সহজপাঠ

হিমুর সহজপাঠ আলী হোসেনের ছড়া : হিমুর সহজপাঠ  অ  অমল বানায় নতুন বাড়ি, আজিজ গাঁথে ইট সেই বাড়িতে কে উঁকি দেয়, সুতোয় দিতে গিঁট আ  আকাশ বলে হেসে হেসে, শোনরে বোকা আলী মশলায় রাজা মেশায় জানিস দ্বেষ মেশানো বালি ই ইদের সিমাই যখন নিমাই মনের সুখে খায় বুক ভরে যায় কাসেম শেখের রাজায় আঁড়ে চায় ঈ ঈশ্বর হাসে এসব দেখে মানুষ বেজায় বোকা বোঝে না সে আমার নামে শয়তানে দেয় ধোঁকা উ উড়ে এসে বিভেদ বাড়ায় সব শোষকের ভাই মানুষ কবে বুঝবি তোদের পৃথক করি নাই ঊ ঊনিশ বিশে ধানের শীষে মোহর ধরায় যারা ধর্মের ষাঁড় গোলায় ভরে, পায় না খাটে যারা ঋ ঋষি মশাই শোনায় শমন, ধর্মেতে নেই মতি জাহান্নাম আর নরক যে তোর করবে ভীষণ ক্ষতি এ এক্কা গাড়ি দেবে ছাড়ি চড়বে হওয়াই গাড়ি ধর্ম রক্ষায় ক্ষুদ্র জীবন যারাই দেবেন ছাড়ি ঐ ঐ দেখা যায় শত্রু তোমার, খড়গ তুলে ধরো জীবন যদি যায় তবে যাক, ধর্ম রক্ষা করো ও ওই দেখা যায় স্বর্গ তোমার বৃথাই খোঁজো সুখ ধর্ম শত্রুই আসল শত্রু, মারলেই ঘোঁচে দুখ  ঔ ঔষধ পত্র ছেলের শিক্ষা কিম্বা মেয়ের বিয়ে এসব কিছুই তুচ্ছ দেখো ধর্মেতে মন দিয়ে ক কমল কাকুর মন ভরে যায়, গোলাম আলীর গানে ...

চকলেট ও খোকা

চকোলেট খেলেই জেনো, দাঁতে ধরবে পোকা শুনে কথা মনের ব্যথা ভীষণ গেল বেড়ে মায়ের উপর ভীষণ রেগে কাঁদলো গলা ছেড়ে ভাবলো খোকন বোঝেনা মা, এক্কেবারে বোকা। চকলেটে মা কী আছে গুন, বোঝেনা কেউ যেন সেকেলে সব ভাবনা ভেবে শুধুই চলে বকে গুণের খবর রাখেনা তাই মরছি আমি শোকে মায়ের প্রশ্ন বোঝাই তবু, বোঝেনা খোকা কেন? উৎস : ড্রাইভ , YourQuote 24/10/2017

মজার মানুষ

মজার মানুষ :  ছড়াকার আলী হোসেনের একটি অনবদ্য রাজনৈতিক ছড়া।  মজার দেশে আছি আমি ভাবতে মজা লাগে হাভাতেরা ফসল ফলায় লুটেরা নিয়ে ভাগে ফলায় যারা পায়না তারা পেট ভরেনা তাদের আমরা খেয়ে উদর ভরি যোগ্যতা নেই যাদের  ওদের আছে গতর কিন্তু বুদ্ধি ভীষণ মোটা ভাই ভাইয়ের মাথা ফাটায় নিয়ে লাঠিসোটা আমি যখন হেঁকে বলি, কান নিয়ে গেল চিলে কানে হাত না দিয়েই বেটা ভাইটাকে খায় গিলে  মধু খাবো বলে যখন ঢিল ছুড়ি মৌচাকে বোকার বেটা লাফ দিয়ে খায় মাছির কামড়টাকে বাজি রেখে বউটাকে সে ধর্ম রক্ষায় ছোটে দুবেলা ভাত জোটেনা কেন ভুলেই খাটে ভোটে ধর্মের নামে যমের দড়ি গলায় পরে তাই আমিই শত্রু ভুলে গিয়ে ভাইকে মারে ভাই  -----------##---------- প্রকাশিত, বাংলাদেশ থেকে। 07/04/2018  4:35 পিএম

নারী

নারী আলী হোসেন নানান রূপে দেখাও দেখি চিনতে তবু পারি রংধনু রং মেখে তুমি স্বপ্ন দেখাও ভারী নানান রূপে সামনে এসে আগলে রাখো যেই ভাবতে পারি মায়ের এরূপ তুলনা যার নেই দুঃখ সুখের ঘরে যখন বিষম বাতাস বায় পালের মত হালের পাশে প্রিয় তোমায় পায় নানান রূপে যখন দেখি মায়ের মত মুখে দু’গাল ভরে সোহাগ ছাপো কন্যা হয়ে বুকে কিশোর কালে কিশোরী হও বন্ধুর বেশে এসে ফাগুন মাসে আগুন হয়ে পোড়াও ভালোবেসে পোড়াও পোড় ভাঙো গড় সঙ্গী যখন আমি দু’য়ের মধ্যে এক'কে বলা যায় না মোটেও দামি দু'হাত ছাড়া কেউ যেহেতু কিচ্ছুটি নাই পারি এক হাত তার পুরুষ হলে অন্যটা ঠিক নারী।

বাবার বাবা

আলী হোসেনের ছড়া - বাবার বাবা এ সবই তার রেশ তোমার কাছে চাইবো কিছু এত সাহস কোথায় তবু তুমি বুঝতে পারতে চেয়ে চোখের তারায় চাইছি আমি কী তোমার বুকে বুক রাখলে বুকটা উঠতো ফুলে সব সংশয় শুকিয়ে যেত ঠোঁটটা ঠোঁটে ছুঁলে ভয়টা আবার কী! ফিরতে তোমার দেরি হলেই, বুকটা হত ভারী এপাশ ওপাশ ফিরেই শুধু নিদ্রা যেতো ছাড়ি বুঝতে পারি আজ তোমার বুকে পা তুলে দে জড়িয়ে তোমার গলা তোমার বুকে মুখটা গুঁজে ভয়কে ঝেড়ে ফেলা কত সহজ কাজ আমি এখন বুঝি সবই বোঝাই তাকে কত ছেলে আমার বলে এসব ছেলে-মানসি যত বুঝতে পারি বেশ আমার যখন বয়স ছিল আমার ছেলের মত এসব শুনে মন বলত দুর, 'আদিখ্যেতা যত' এ সবই তার রেশ ----------xx---------