আঠারো আসে মশাল হাতে তার আলোতে আঁধার রাতে দেখছে যেন কেউ কষ্টে আছেন মা যে আমার মুক্তি দিতে উঠিয়ে হ্যামার জাগছে না-যে কেউ মা তোর জন্য জাগছি আমি মা তোর চেয়ে নেই যে দামি এই জগতের কেউ ভাঙতে তোর পায়ের শিকল করবো রথের চাকা বিকল যতই লাগুক ফেউ আঠারোর প্রাণ কষ্টে আছে কষ্টের অনেক কারণ আছে বলছে না-তো কেউ মা তোর চোখের একটু জল বাড়ায় বুকের অনেক বল বলছে না তো কেউ বলছে নিজের দুচোখ মুদে জাগছে তোমার ছোট্ট ক্ষুদে সে ছাড়া নেই কেউ? দেখছে তোমার ছোট্ট ক্ষুদে বাড়ছে যে ঋণ মূলে সুদে তা মেটাচ্ছে না কেউ যে যার মতই খাচ্ছে করে ভাগছে বিদেশ সুযোগ ধরে বলার যে নেই কেউ দেশের জন্য ফাঁসির ফাঁসে দিচ্ছে না প্রাণ দশের আশে ক্ষুদের মতন কেউ বলছে তারাই হাসির ছলে বার খেয়ে রাম ক্ষুদে হলে দেখবে না তো কেউ ক্ষুদের কাছে ক্ষুদ্র এ প্রাণ তার চে বড় দেশের এ মান বলছে না আর কেউ! একোন স্বপ্ন দেখলে তুমি ভুলছে তোমায় ভারত ভূমি দেখছে না তা কেউ মর্ত লোকের ওপার থেকে একবার এসো ভীষন বেগে তুলতে তুফান ঢেউ -------------
সাগরের জল শুকায় না তাই দিলে কয়েক ফোঁটা তাতেই আঁচল ভরলো মায়ের হল সূর্য শুরু ওঠা সেই জলেতেই ভিজলো কুঁড়ি ফুটলো মুখে কথা সেই কথাতেই লিখি এখন সকাল-সাঁঝের গাথা গাথার পাহাড় তোমায় নিয়ে তুমি প্রাণের নাগর তোমার জলেই সিক্ত মধু সেচেন সিন্ধু সাগর সেই সাগরের মুক্ত এখন জ্বালায় দেখি আলো সেই আলোতে রাঙিয়ে ওঠে মায়ের সিঁথির লালও তোমার জলের জোয়ার যখন গর্জায় বারংবার সেই জোয়ারে গুঁড়িয়ে যে যায় সাদার অহংকার সে অহংকার তোমার সাজে গর্জে ওঠে স্বর মায়ের ডাকে শুকায় দেখি মাতাল দামোদর সাগর জলেই মেশে যেমন ময়লা জলের ধারা তারই বুকে আছড়ে পড়ে হয় সে বাঁধন হারা তেমন করেই তোমার বুকের ঠিকরে এলো আলো তোমার জন্য আঁধার গুলোও আলোয় ধুঁয়ে গেলো সেই আলো আজ নিভুনিভু আঁধার ঢাকছে ঘর সেই আঁধারের গেরুয়া বাতি করছে আপন পর এসব তুমি দেখছো কি আজ বলো উচ্চ করে শির যে-শির তোমার চেনায় আজও তুমি বিদ্যাসাগর বীর ------- দেখুন ফেসবুকে : এখানে ক্লিক করুন