স্বাধীনতা তুমি কার আলী হোসেন স্বাধীনতা তুমি কার ক্ষুধার খাঁচায় ভাবছি বসে স্বাধীনতা তুমি কার আজকের সিধু কানুও ভাবছে উত্তর মেলা ভার! কলিজা ছিঁড়ে রক্ত ধারার বহিয়েছে যে গঙ্গা নিজের জীবন বিলিয়ে দিয়ে হারিয়েছে সে সংজ্ঞা সেই রক্ত-গাঙের শুভ্রধারায় সোনার তরী বেয়ে আসলো সে এক স্বাধীনতা যেন আপন ঘরের মেয়ে বিন্দু বিন্দু রক্তে যাঁরা ভরেছে বিষাদ সিন্ধু নয় তো তাঁরা একটি জাতি মুসলিম বা সে হিন্দু ক্ষুদে যতীন শহীদ হল হল শহীদ সে প্রফুল্ল অস্ফাকুল্লার মায়ের দুঃখে হলাম যে উৎফুল্ল স্বাধীনতা তুমি করেছ স্বাধীন দিয়েছো কি সেই মুক্তি আমিই আমার শাসক বানাই এই কি তোমার যুক্তি? স্বধীনতা তুমি করেছ স্বাধীন মুক্ত করেছ বন্ধন! তবু কি থেমেছে মানুষের আজ অনাহারে ক্রন্দন তুমি কি দিয়েছ নিঃস্ব ছেলের মুখে একমুঠো ভাত পেরেছো ঘোঁচাতে বৈষম্যের নিঝুম নিশুতি রাত দেশনেতা যেন বেশনেতা আজ লোক ঠকিয়ে চলে লাখো সন্তান পিষে যায় তার নিষ্ঠুর যাঁতাকলে রক্ত নিয়েছো করে প্রতিজ্ঞা দেবে বলে স্বাধীনতা তবু, এত বছরেও আহত কেন মানুষের মানবতা? --------//------- পাঠকের প্রতিক্রিয়া দেখুন ফেসবুকে মূল ছড়াটি দেখুন এখানে ক্লিক করে ১০/০৫/১৯৮৭ চড়ুইগাছি, গাইঘা...
একলা হলে - আলী হোসেন একলা হলে : আলী হোসেন তুমি কি দেখবে খুলে ইমেল গেলে তোমার নামে তাতে কী শিশির ভেজা সুবাস আছে পাতায় মুড়ে ভেবো, একটু একলা হলে তুমি কি দেখবে খুলে দুচোখ মেলে তার বুকেতে লুকিয়ে রাখা সোহাগ মাখা টুকরো কথা বুকটা জুড়ে ভেবো, একটু একলা হলে তুমি কি দেখবে খুলে মনের ভুলে তোমার নামে একমুঠো রোদ পাঠিয়ে ছিলাম সংগোপনে মাখবে বলে ভেবো, একটু একলা হলে তুমি কি অচিনপুরে ভর দুপুরে একলা থাকো আমায় ভেবে আজও কি আগুন রাঙা পলাশ ফোটে মন চাতালে একলা হলে বোলো, একটু সময় পেলে তুমি কি সেই চাতালে মন মাতালে জলের মত আমায় ভেবে তুমি কি লিখবে ভুলে ইমেল খুলে সে সব কথা সময় পেলে ভেবো, একটু একলা হলে আমি তো বেশ ভাবতে পারি জাগতে পারি তোমায় ভেবে রাত্রি যেই পেখম মেলে নিশুতি হয় আগের মত একলা হলে ভেবো, তুমিও সময় পেলে আমি তো বেশ থাকতে পারি চোখ ডুবিয়ে তোমার মেলে তুমি ঠিক লিখছো কিছু হাঁটছো পিছু আমায় ভেবে একলা হলে ভেবো, একটু সময় পেলে। ------------xx-----------