একুশের মা - আলী হোসেন একুশ এলে মনটা কাঁদে, শোকে ভাসাই চোখ বাংলায় বলে মনের কথা, লুকিয়ে রাখি শোক দু'দিন বাদে সব ভুলে যাই, ভেবে ভবির কথা মেয়ে আমার বাংলা লিখে, বাড়ায় বুকের ব্যথা আকাশ হয়ে কাঁদি আমি মেঘের ব্যথায় আর বৃষ্টি করে নামাই তাকে, ভেবে ব্যথার ভার মায়ের ভাষা দুগ্ধ ভাবি, কৌটোয় রেখে মুখ একুশ এলেই উথলে ওঠে, ভড়ং ভরা বুক। মায়ের কথা ভুলছি কেন, একবারও না ভাবি একুশ এলেই মায়া দেখাই, বিবেকে দেই চাবি একুশ গিয়ে বাইশ এলেই বাংলাটা যাই ভুলে মায়ের কথা ভুলেই ভেলা ভাসাই হিন্দি কুলে বৈশাখী মেঘ ভাঙে যেমন বর্ষা দোরে এলে আমার আবেগ উথলে ওঠে একুশ এলে চলে সারা বছর হাই-হ্যালোতে হেলিয়ে দিয়ে মাথা একুশ এলেই মনে পড়ে বাংলা মায়ের কথা হিন্দির স্রোতে ভাসাই ভেলা ইংরেজিতে নোঙর বাঁধি লাটাই ওড়াই বেলুন বেঁধে নিজের কোমর সেই কোমরে পড়বে দড়ি, একবারও না ভাবি ভাবতে হবে বলছে বিবেক একুশের মা’র দাবি --------##-------- পাঠকের মতামত দেখুন ফেসবুকে
সাগরের জল শুকায় না তাই দিলে কয়েক ফোঁটা তাতেই আঁচল ভরলো মায়ের হল সূর্য শুরু ওঠা সেই জলেতেই ভিজলো কুঁড়ি ফুটলো মুখে কথা সেই কথাতেই লিখি এখন সকাল-সাঁঝের গাথা গাথার পাহাড় তোমায় নিয়ে তুমি প্রাণের নাগর তোমার জলেই সিক্ত মধু সেচেন সিন্ধু সাগর সেই সাগরের মুক্ত এখন জ্বালায় দেখি আলো সেই আলোতে রাঙিয়ে ওঠে মায়ের সিঁথির লালও তোমার জলের জোয়ার যখন গর্জায় বারংবার সেই জোয়ারে গুঁড়িয়ে যে যায় সাদার অহংকার সে অহংকার তোমার সাজে গর্জে ওঠে স্বর মায়ের ডাকে শুকায় দেখি মাতাল দামোদর সাগর জলেই মেশে যেমন ময়লা জলের ধারা তারই বুকে আছড়ে পড়ে হয় সে বাঁধন হারা তেমন করেই তোমার বুকের ঠিকরে এলো আলো তোমার জন্য আঁধার গুলোও আলোয় ধুঁয়ে গেলো সেই আলো আজ নিভুনিভু আঁধার ঢাকছে ঘর সেই আঁধারের গেরুয়া বাতি করছে আপন পর এসব তুমি দেখছো কি আজ বলো উচ্চ করে শির যে-শির তোমার চেনায় আজও তুমি বিদ্যাসাগর বীর ------- দেখুন ফেসবুকে : এখানে ক্লিক করুন