খাই খাই আলী হোসেনের ছড়া : খাই খাই খাই খাই খাই করি কেন খাই কেন কেউ জানে? জিভের জালে জড়িয়ে টেপি সে-সব কি আর মানে? টেপায় ভাবে ভীষণ বিপদ মুক্তি কোথায় পাই? টেপাও জানে তিন বেলা তার খাওয়ার অন্ত নাই। ভাজাভুজি, কেক, পেস্ট্রি বার্গার, ফ্রেঞ্চ ফ্রাই নামি দামি খাবারগুলোর আমরা তো সব খাই! তবু কেন সুগার প্রেসার আমারই হয়, হায়! হাভাতেদের জোটে এসব? শাক-পাতাই তো খায়। শাক সবজি বিলের পুঁটি হাপুস হুপুস যায় সন্ধ্যা হলে নাক ডাকে তার ঘুমের পরী পায়। এরাই বাঁচে রাজার মতো প্রজার মতো খেয়ে আমায় ধরে প্রজার মতো রাজার অসুখ ছেয়ে। স্টেথো গলায় ধীরেশ বাবু দেখান কিছু নিদান লেখেন সেসব সেবাপত্রে সহজ সরল বিধান। খাবার সময় খেয়াল রাখুন খাবেন কখন কতটা, সহজ কথায় মাথায় রাখুন মানতে হবে যতটা। সকালে খান রাজার মতো দুপুরটা ঠিক প্রজা, সন্ধ্যা শেষে ভিখারী সেজে বিছানায় যেন সোজা। ------------xx----------- 1️⃣ এই ধীরেশ বাবু আসলে একজন চিকিৎসক। সম্পূর্ণ নাম ডাঃ ধীরেশ কুমার চৌধুরী। 2️⃣ উনি একজন বার্ধক্য পরিষেবা বিশেষজ্ঞ।
শুভ নববর্ষ : আলী হোসেনের ছড়া ছড়া : শুভ নববর্ষ আলী হোসেন নতুন বছর নতুন চোখ, নতুন চোখে স্বপ্ন ভরা এ নতুন সে-নতুন নয়, পুরানোকেই নতুন করা নতুন করে বলি বলে, পুরানো পায় নতুন রূপ নতুন করে পাবো বলে, নতুন করে জ্বালাই ধূপ — বুঝছি কি? এ নতুন কি সে-নতুন, যে নতুন-কিছু ভাবতে বলে? এ নতুন কি সে-নতুন, যে নতুন-পথে চলতে বলে? এ নতুন কি চিনছি গিয়ে, রেষ্টুরেন্ট আর শপিংমলে! এ নতুন যে ভাঙছে বাঁধন, যাচ্ছে সময় রসাতলে! — বুঝছি কি? নতুন কিছু পাবো ভেবে, পাল্টে দিলাম খাবার নাম মাছভাজা হল ফিসফ্রাই আর সঙ্গী হল দ্বিগুণ দাম পাল্টে গেল আলু-ভাজা আজ, নাম কি বাহারি তার! হাওয়ায় ফোলা প্যাকেট এলো, চিপস্ হল নাম যার! — বুঝছি কী? এক টাকার মাল পাঁচে নিলাম স্ট্যাটাস গেলো বেড়ে গিন্নি খুশী হেঁকে বলেন, বাব্বাহ্! বাঁচলাম হাঁফ ছেড়ে খোকাও বেজায় খুশি বটে, মন জুড়ে তার হর্ষ ফোকলা দাঁতের ফাঁক গলে ‘শুভ’ শোনায় ‘নববর্ষ’ — বুঝছি কী? -----------xx---------- 👉 পাঠকের মতামত দেখুন ফেসবুকে