আমার মধ্যে যে জন আছে ঘাপটি মেরে বসে
আলোর মধ্যে আঁধার রেখে
তাকেই পালি সময় দেখে
কুরবানি কি করছি তাকে ভেবে নিজের দোষ এ
আমার মধ্যে যেজন আছে জিভটি করে লাল
সেজন কি আজ লজ্জা পেয়ে
মন যমুনায় সাঁতরে যেয়ে
লোভের নোঙ্গর খুলে দিলো উড়িয়ে দিতে পাল
আমার মধ্যে যেজন আছে চোখটি করে ‘বড়’
সেজন কি আজ উড়িয়ে ধুলো
মনের যত ময়লাগুলো
কুরবানি কি দিতে তাকে করলো সেসব জড়ো
আমার মধ্যে যেজন আছেন দম্ভ-রঙে রেঙে
তার কাছে কি আজকে এসে
একটুখানি ভালোবেসে
কুরবানি কি দিচ্ছি তাকে দম্ভ-দেওয়াল ভেঙে
আমার মধ্যে আছেন যিনি টাটায় ভীষণ চোখ
তার কানে কি বলছে বাতাস
জাত না দেখে বন্ধু পাতাস
কুরবানি দাও বলছে কি সে ভুলে বিভেদ শোক
এরাই যদি আমার প্রিয় প্রেমের চেয়ে দম্ভ বড়
তবে আমার বৃথাই বড়াই
অর্থ দিয়ে দম্ভ ছড়াই
কুরবানিতে করছি আমি সোনার-পাথর-বাটি জড়
–---------/---------
কুরবানি
কুরবানি শব্দটি আরবি কারনুন মূলধাতু হতে এসেছে। এর আভিধানিক অর্থ হচ্ছে : নিকটবর্তী হওয়া। ইমাম রাগিব বলেন- “যে বস্তু দ্বারা আল্লাহর নৈকট্য লাভ করা যায়। চাই তা জবেহকৃত বা অন্যকোন দান খয়রাত হোক।” তাফসিরে মাযহারির বর্ণনা মতে- “আল্লাহর নৈকট্য লাভের উদ্দেশ্যে নজর-মানত রূপে যা পেশ করা হয় তাকেই কুরবানি বলে।” ইমাম আবু বকর জাস্সাস বলেন- “আল্লাহর রহমতের নিকটবর্তী হওয়ার জন্য কৃত প্রত্যেক নেক আমলকে কুরবানি বলে।”
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন