আমার মধ্যে যে জন আছে ঘাপটি মেরে বসে আলোর মধ্যে আঁধার রেখে তাকেই পালি সময় দেখে কুরবানি কি করছি তাকে ভেবে নিজের দোষ এ আমার মধ্যে যেজন আছে জিভটি করে লাল সেজন কি আজ লজ্জা পেয়ে মন যমুনায় সাঁতরে যেয়ে লোভের নোঙ্গর খুলে দিলো উড়িয়ে দিতে পাল আমার মধ্যে যেজন আছে চোখটি করে ‘বড়’ সেজন কি আজ উড়িয়ে ধুলো মনের যত ময়লাগুলো কুরবানি কি দিতে তাকে করলো সেসব জড়ো আমার মধ্যে যেজন আছেন দম্ভ-রঙে রেঙে তার কাছে কি আজকে এসে একটুখানি ভালোবেসে কুরবানি কি দিচ্ছি তাকে দম্ভ-দেওয়াল ভেঙে আমার মধ্যে আছেন যিনি টাটায় ভীষণ চোখ তার কানে কি বলছে বাতাস জাত না দেখে বন্ধু পাতাস কুরবানি দাও বলছে কি সে ভুলে বিভেদ শোক এরাই যদি আমার প্রিয় প্রেমের চেয়ে দম্ভ বড় তবে আমার বৃথাই বড়াই অর্থ দিয়ে দম্ভ ছড়াই কুরবানিতে করছি আমি সোনার-পাথর-বাটি জড় –---------/--------- কুরবানি কুরবানি শব্দটি আরবি কারনুন মূলধাতু হতে এসেছে। এর আভিধানিক অর্থ হচ্ছে : নিকটবর্তী হওয়া। ইমাম রাগিব বলেন- “যে বস্তু দ্বারা আল্লাহর নৈকট্য লাভ করা যায়। চাই তা জবেহকৃত বা অন্যকোন দান খয়রাত হোক।” তাফসিরে মাযহারির বর্ণনা মতে- “আল্লাহর নৈকট্
সাগরের জল শুকায় না তাই দিলে কয়েক ফোঁটা তাতেই আঁচল ভরলো মায়ের হল সূর্য শুরু ওঠা সেই জলেতেই ভিজলো কুঁড়ি ফুটলো মুখে কথা সেই কথাতেই লিখি এখন সকাল-সাঁঝের গাথা গাথার পাহাড় তোমায় নিয়ে তুমি প্রাণের নাগর তোমার জলেই সিক্ত মধু সেচেন সিন্ধু সাগর সেই সাগরের মুক্ত এখন জ্বালায় দেখি আলো সেই আলোতে রাঙিয়ে ওঠে মায়ের সিঁথির লালও তোমার জলের জোয়ার যখন গর্জায় বারংবার সেই জোয়ারে গুঁড়িয়ে যে যায় সাদার অহংকার সে অহংকার তোমার সাজে গর্জে ওঠে স্বর মায়ের ডাকে শুকায় দেখি মাতাল দামোদর সাগর জলেই মেশে যেমন ময়লা জলের ধারা তারই বুকে আছড়ে পড়ে হয় সে বাঁধন হারা তেমন করেই তোমার বুকের ঠিকরে এলো আলো তোমার জন্য আঁধার গুলোও আলোয় ধুঁয়ে গেলো সেই আলো আজ নিভুনিভু আঁধার ঢাকছে ঘর সেই আঁধারের গেরুয়া বাতি করছে আপন পর এসব তুমি দেখছো কি আজ বলো উচ্চ করে শির যে-শির তোমার চেনায় আজও তুমি বিদ্যাসাগর বীর ------- দেখুন ফেসবুকে : এখানে ক্লিক করুন