ঘামের গাথা : আলী হোসেন একটি রাজনৈতিক ছড়া ঘামের স্রোতে কাটছি সাঁতার সকাল থেকে সন্ধ্যা স্রোতের বাজার মন্দা হলেই সভ্যতা হয় বন্ধ্যা সেই বাজারে খাটছি আমি খাটায় তোমার মানা তবু, তোমার চেয়ে দামি আমি মানতে তোমার মানা এমন কেন দেশের আইন বলতে পারো কেউ এর প্রতিবাদ করলে কেন পিছনে পায় ফেউ ফেউয়ের ডাকে শোষক জাগে শ্রমের সর্বনাশ বুক ফেটে যায় ভীষণ গ্রীষ্মে শ্বাস করে হাসফাঁস জানি জানি সবই জানি সবারই সব জানা হলুদ পাতার শিক্ষা শেখায় সত্য বলতে মানা জানাজানি ভালো কিন্তু বুঝতে গেলেই দোষ বুঝলে সঠিক চাইবো পাওনা তাতেই তোমার রোষ ! জানবে বেশি বুঝবে কম সঙ্গে লাগাও গাঁজার দম দুঃখ ভুলে স্বপ্ন সুখে খাটবে বেশি চাইবে কম মনে রেখো তাতেই তোমার পরকালে ঘুচবে দুখ অল্প খেয়ে অসময়ে মরলেই পাবে স্বর্গ-সুখ তাইতো আমরা বেশি খাই স্বর্গ-সুখের চিন্তা নাই তোদের ঘামের গন্ধ শুষে স্বর্গে গিয়ে দুঃখ চাই এবং বলি খাটার সময় ন্যায্য পাওনা ভুলে যাও পয়লা মে'র শপথ ভুলে ঘামের গাথা গুটিয়ে নাও -------------------- দেখুন ফেসবুকের পাতায় এধরনের আরও ছড়া পড়ুন : ঘামের গাথা ঘাম কথা মুষ্টি ওঠাও
সাগরের জল শুকায় না তাই দিলে কয়েক ফোঁটা তাতেই আঁচল ভরলো মায়ের হল সূর্য শুরু ওঠা সেই জলেতেই ভিজলো কুঁড়ি ফুটলো মুখে কথা সেই কথাতেই লিখি এখন সকাল-সাঁঝের গাথা গাথার পাহাড় তোমায় নিয়ে তুমি প্রাণের নাগর তোমার জলেই সিক্ত মধু সেচেন সিন্ধু সাগর সেই সাগরের মুক্ত এখন জ্বালায় দেখি আলো সেই আলোতে রাঙিয়ে ওঠে মায়ের সিঁথির লালও তোমার জলের জোয়ার যখন গর্জায় বারংবার সেই জোয়ারে গুঁড়িয়ে যে যায় সাদার অহংকার সে অহংকার তোমার সাজে গর্জে ওঠে স্বর মায়ের ডাকে শুকায় দেখি মাতাল দামোদর সাগর জলেই মেশে যেমন ময়লা জলের ধারা তারই বুকে আছড়ে পড়ে হয় সে বাঁধন হারা তেমন করেই তোমার বুকের ঠিকরে এলো আলো তোমার জন্য আঁধার গুলোও আলোয় ধুঁয়ে গেলো সেই আলো আজ নিভুনিভু আঁধার ঢাকছে ঘর সেই আঁধারের গেরুয়া বাতি করছে আপন পর এসব তুমি দেখছো কি আজ বলো উচ্চ করে শির যে-শির তোমার চেনায় আজও তুমি বিদ্যাসাগর বীর ------- দেখুন ফেসবুকে : এখানে ক্লিক করুন