মুক্তির যুক্তি আলী হোসেন দেশকে আমি মা বলবো? হ্যাঁ, বলতে পারি 'না' বললেই দেশদ্রোহী? না, মানতে পারি জোর করে কেউ মা বলালে, মা বুঝি হয় খাঁটি? জোর করলেই হয় কখনো, সোনার-পাথরবাটি? দেশ যে আমার মায়ের মত ভাবতেও পারি তোমার মত কখন তুমি জানো? তুমিই যদি মায়ের মত আধপেটা খেয়ে অর্ধমৃত একমুঠো ভাত আনো। দেশকে বলো মায়ের মতই, বললেই আমি খাঁটি? তোমার কাছে পাহাড় প্রমাণ কেন পুঁজির আঁটি? দেশের মাটি, মায়ের মত, প্রমাণ কোথায় আছে? মায়ের আঁচল শক্ত করে, কেন বাঁধা তোমার কাছে? তাই কি তোমার দরদ এত, মাকে ক্ষেপাও তুমি দেশ যে সবার মায়ের মতই, সবার জন্মভূমি তবে কেন মা মা করে মায়ায় ভোলাও তুমি তোমার হাতেই বন্দী কেন, আমার মাতৃভূমি যদি ভাবতে পার আমার মত পথের পাশের ঝুপড়ী যত পালটে হবে বাড়ি থাকবে তাতে রাম ও রহিম বীর গৌতম খ্রিষ্ট- মহিম হানা-ও-হানি ছাড়ি। থাকবে তাতে ভেমুলা রহিত থাকবে নানক গুরু থাকবে সুখে হাস্যমুখে আবার গাইবে মারাংগুরু বাতাস গাইবে ভালোবাসার গোলাপ ফুলের গান ভাসবে,শাল পিয়ালের বনের মনে স্বাধীনতার ঘ্রাণ ২৫/৮/২০১৭ ৩:২০ এ এম
সাগরের জল শুকায় না তাই দিলে কয়েক ফোঁটা তাতেই আঁচল ভরলো মায়ের হল সূর্য শুরু ওঠা সেই জলেতেই ভিজলো কুঁড়ি ফুটলো মুখে কথা সেই কথাতেই লিখি এখন সকাল-সাঁঝের গাথা গাথার পাহাড় তোমায় নিয়ে তুমি প্রাণের নাগর তোমার জলেই সিক্ত মধু সেচেন সিন্ধু সাগর সেই সাগরের মুক্ত এখন জ্বালায় দেখি আলো সেই আলোতে রাঙিয়ে ওঠে মায়ের সিঁথির লালও তোমার জলের জোয়ার যখন গর্জায় বারংবার সেই জোয়ারে গুঁড়িয়ে যে যায় সাদার অহংকার সে অহংকার তোমার সাজে গর্জে ওঠে স্বর মায়ের ডাকে শুকায় দেখি মাতাল দামোদর সাগর জলেই মেশে যেমন ময়লা জলের ধারা তারই বুকে আছড়ে পড়ে হয় সে বাঁধন হারা তেমন করেই তোমার বুকের ঠিকরে এলো আলো তোমার জন্য আঁধার গুলোও আলোয় ধুঁয়ে গেলো সেই আলো আজ নিভুনিভু আঁধার ঢাকছে ঘর সেই আঁধারের গেরুয়া বাতি করছে আপন পর এসব তুমি দেখছো কি আজ বলো উচ্চ করে শির যে-শির তোমার চেনায় আজও তুমি বিদ্যাসাগর বীর ------- দেখুন ফেসবুকে : এখানে ক্লিক করুন