সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

দোলের দোলা

দোলের দোলায় দুলছে দোদুল অষ্ট থেকে আশি, ভাবের ভাবনায় ভরুক ভুবন বলুক ভালোবাসি। রঙে রঙে রাঙাই রতন, এসো এ রঙ জমুক মনে, মনের রঙে রাঙাই রাখি, এসো পরাই জনে জনে।

নতুন পথের বাঁকে

নতুন পথের বাঁকে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে নিয়ে আলী হোসেনের ছড়া কবিতা  ছড়া কবিতা : নতুন পথের বাঁকে - আলী হোসেন  এ ঠাকুর নয় যে-সে ঠাকুর, রবির সঙ্গে থাকে চলার পথে বলার সাথে সকাল কিংবা সন্ধ্যারাতে তাঁকে নিয়েই আমরা বাঁচি রাম রহিম হয় কাছাকাছি চলতে পথে বলতে কথা নতুন পথের বাঁকে। এ নতুন নয় যে-সে নতুন, কবির কথায় থাকে চলতে পথে চড়তে রথে এগিয়ে যেতে নতুন পথে শেখায় কিংবা শিখতে বলে ভারততীর্থ গড়তে বলে যে তীর্থে থাকতে পারি সঙ্গে রাখলে তাঁকে। --------xx------- রবীন্দ্রনাথ সংক্রান্ত অরও লেখা : 📖 পারের কড়ি   📖 নতুন পথের বাঁকে 👈 আপনি এখন এখানে 📖  বাইশে শ্রাবণ পাঠকের মতামত: দেখুন  ফেসবুকের পাতায় 

আসুক নতুন ভোর

আসুক নতুন ভোর। আলী হোসেনের ছড়া।  চলুক লেখা। বলুক কথা মন যা বলতে চায় মনপবনের দোলায় দুলুক কল্পলোকের নায়। এই নায়েতে ভাসুক ভাবনা উড়ুক নিশান তোর তোর ভাবনায় ভরুক বাতাস আসুক নতুন ভোর ---------x-------- উৎস : এখানে দেখুন

নেতার নেতা

নেতাজিকে নিয়ে আলী হোসেনের ছড়া নেতার নেতা  নেতার নেতা নেজাজি, তোমার ফুলের মত নাম দেশের জন্য শপথ নিলে তাঁর জন্য জীবন দিলে নতুন সূর্য দেখবে স্বদেশ স্বদেশ হবে মুক্ত-বিদেশ সেই স্বদেশ-ই বিদেশ হল, তোমার বিধি হল বাম নেতার নেতা নেতাজি, তোমার বজ্রকঠিন নাম এই নামেতই উঠলো কাঁপন ভাঙলো দেশের নিশিজাপন জাগবে বলে শপথ নিলে বুক চিতিয়ে রক্ত দিলে সম্মান পাবে উৎপীড়িত, পাবে মূল্য তাদের ঘাম

শীত কথা আলী হোসেন

শীত কথা আলী হোসেনের ছড়া কবিতা  শীত কথা - আলী হোসেন কথায় কথায় বাড়ে কথা কাঁথায় বাড়ে সুখ হিমেল হাওয়ার ছোঁয়ায় হাড়ে যার ছোঁয়াতেই বিকেল বাড়ে তার ছোঁয়াতেই পথের শিশু থাকেন যেমন ক্রুশে যীশু নকশিকাঁথায় মোড়ে তেমন হাজার ভাঙা বুক পাঠকের মতামত দেখুন ফেসবুকে

তুমি আমার আপন

কে-ব-লে-ছে-/তু-মি-দূ-রের-/তু-মি- আ-মার-/ আ-পন-। কে বলেছে তুমি দূরের তুমি আমার আপন আপন মানে কাছে রাখার ভালোবেসে দূরে থাকার শপথ নিয়ে মনের ছন্দে ভালোবাসার গভীর দ্বন্দ্বে পাশে থাকার ইচ্ছা নিয়ে করা প্রবাস যাপন পা-শে-থা-কার / ইচ্-ছা নি-য়েও / ক-রা-প্র-বাস / যা-পন (স্বরবৃত্তে/৪মাত্রা) লেখার প্রসঙ্গ : ফেসবুক

সেটাই তোমার নাই

ছোট্ট সোনা চোখটি তোলো বলো তোমার চাই যা চাও সোনা চাঁদের কোনা টেডি বিয়ার? দিচ্ছি সোনা একটু তুমি মুখটি খোলো অফিস ফিরলে আম্মা বোলো এছাড়া তো তোমার কাছে কিচ্ছু চাওয়ার নাই ছোট্ট সোনা চোখটি তুলে এবার বললো, ছাই! সবখানেতে সবাই আছেন, বাবা আছেন, মাও আছেন পিৎজা বার্গার এত্তো আছে চাচ্ছি যেটা তোমার কাছে একটু সময় আমার জন্য সেটাই তোমার নাই।

বাজি - আলী হোসেন

বাজি - আলী হোসেন  দীপাবলি সম্বন্ধে কবিতা। আলী হোসেনের লেখা দীপাবলী সংক্রান্ত ছড়া। আসছে বছর আবার হবে হবেই সেটা জানি কিন্তু যেটা মানি না এবং কেন জানি না বিকট শব্দে যখন বাজে কোলের শিশুর সয়না তা যে জেনেও কেন পোড়াই বাজি স্বাস্থ্য করে হানি। ----------xx-------- পাঠকের মতামত দেখুন এখানে  

গ্রাম - ১, ২

১. জানি, গ্রামকে তুমি মন্দ বল বোকার হদ্দ তুমি গ্রামের মাটি ভীষণ খাঁটি সাজিয়ে বাগান পরিপাটি তোমার মুখের জন্য আনে জানে গোটা বিশ্ব জানে মুখের অন্ন যোগায় যেজন সেজন গ্রামের ভূমি। ২. বুকের মাঝে যেজন সাজে চুপটি করে বসে গ্রামের সবুজ হলেই অবুঝ মন প্রেমিকের হয় না সবুজ সেই কারণে মন কিনারে বল না বাজুক মন বীণারে গ্রামের জন্য একটু সুরে টানুক তারটা কষে।

জোনাকি - আলী হোসেন

জোনাকি আলী হোসেন জোনাকি সম্পর্কে ছড়া। লিখেছেন দুই বাংলার জনপ্রিয় ছড়াকার আলী হোসেন। জোনাকি - আলী হোসেন  জোনাক জোনাক জোনাকি তোর পিছনে সোনা কী? দেখতে লাগে ভালো, তার চেয়ে তুই ভালো হবি জ্বলবি হয়ে সন্ধ্যারবি ঝুপড়ি গুলোয় আলো। জোনাক জোনাক জোনাকি তোর মনেতে আছে কী? ভাবছি বসে তাই, ভাবতে বসে তোর কথাতে মুর্খগুলোর চোখ জ্বালাতে তোর তুলনা নাই জোনাক জোনাক জোনাকি শুনতে আছে মানা কী? একটুখানি থাক, তোর ধর্ম দিয়ে তাদের চোখ থাকতে অন্ধ যাদের একটু ভালো রাখ। পাঠকের মতামত দেখুন ফেসবুক ।

পরিচয়

প্রথম নামে উদার আমি পরে আমি হোসেন বাসা আমার চড়ুইগাছি এখন যেন কোথায় আছি? জানতে আসুন কলকাতাতে উত্তর আছে পরগনাতে সেটাই দেবো ২৪ বার একটুখানি বসেন। কী বলছেন, থানা কোথায় জানতে চান? একটু খানি কাছে আসুন চুপটি করে পাশে বসুন গাইঘাটা সে চোখের মণি তার পাশে আজ বাঁশদ্রোনি করছে বিরাজ বুকের মাঝে যদি মানতে চান।

একটু ভেবে দেখো

আসছি আমি বলছি তোমায় একটু মনে রেখো আকাশ ডিঙ্গায় যাচ্ছি আমি তোমার চেয়ে নেই যে দামি ভাবছি আমি ভাবছো কিনা বাজছে আমার মনের বিনা তার সাথে সুর মিলছে কিনা একটু ভেবে দেখো

শরৎ গাথা

শরৎগাথা: ছড়াকার আলী হোসেনের দুই বাংলার জনপ্রিয় ছড়া  ্র আকাশ কালো মেঘের ভেলা সকাল কিম্বা সন্ধ্যাবেলা চলছে দেখ বকের পাখায় ভেসে, দিচ্ছে পাড়ি               এদেশ ছাড়ি অচিন দেশে মামার বাড়ি যেই-খানেতে, আকাশ মাটি মেশে। আকাশ মাটির মনের কথা জল করেছে বুকের ব্যথা মুখের কালো দূর করেছে বেশ, ভাদ্র এসে                 ভদ্র বেশে আশ্বিন তার সঙ্গে মেশে শিউলি-কাশে ভরিয়ে দিল দেশ। শরৎ এলো হাওয়ায় ভেসে শিশির তারই সঙ্গে মেশে ঘাসের ডগায় রুপোর নাকের ফুল শরৎ আনে                    নতুন মানে দোয়েল শ্যামার নতুন গানে বাবুই বোনে নতুন কানের দুল কমতে থাকা বিলের জলে ডাকপাখিরা হেঁটে চলে পানকৌড়ি ডুবমারে মাছ ধরতে, এমন মাসে                 দুর্গা আসে লক্ষ্য থাকে অসুর নাশে মুর্খ চোরা মর্তে আসে মরতে। উৎস : বাংলা সাহিত্য উৎস : বাংলা সাহিত্য

তোমার মুখের ছায়ায় দেখি স্বপ্ন বোনা যায়

১ আঁধার রাতে সাতটি তারা আকাশ ডিঙি বায় তাদের একটি আমায় ডেকে আড়চোখেতে একটু দেখে বললো হেসে ভাবছি আমি ফুলের চেয়ে বেশি-ই দামি তোমার মুখের ছায়ায় দেখি স্বপ্ন বোনা যায়। ২ তোমার স্বপ্ন আমায় দিও সেটাই আমার হবে সেটা ছুঁয়েই দেখবো আমি ফাগুন রঙা আকাশ নামি আসছে ভোরের আলো নিয়ে আমার স্বপ্ন তাকেই দিয়ে থাকবো আমি অপেক্ষাতেই আসবে তুমি কবে। ** ছড়াক্কায় (সতীশ বিশ্বাস) পাঠানো হয়েছে। 3 আসছি আমি বলছি তোমায় একটু মনে রেখো আকাশ ডিঙ্গায় যাচ্ছি আমি তোমার চেয়ে নেই যে দামি ভাবছি আমি ভাবছো কিনা বাজছে আমার মনের বীণা তার সাথে সুর মিলছে কিনা একটু ভেবে দেখো

পণ করেছি

পণ করেছি পড়তে যাব গড়বো নতুন সমাজ আজ থেকে তাই পড়াই আমার প্রধান হল কাজ সন্ধ্যে হলে বই খাতা আর কলম সাথে নিয়ে দেশ গড়ার ওই মন্ত্র আমি শিখবো নিজে গিয়ে লিখবো পড়বো শিখবো অনেক জানবো দেশের কথা লিখবো চিঠি নিজের হাতে জানিয়ে মনের কথা শিখবো আমি অনেক কিছু আনন্দ তাই মনে অশিক্ষিত বলবে না কেউ দুষ্টু কোন জনে হাল-হকিকত জানবো দেশের করবো কত কী যে কারও কাছে যাব না আর পড়বো চিঠি নিজে এবার তোমায় বুড়ো-আঙুল দেবই দেব ছুটি কেউ যদি কয় টিপ দিতে তার ধরবো টিপে টুঁটি ও মহাজন ঠকিয়ে নেবে ভাবছো কি  তাই খালি? ছল-চাতুরি খাঁটছে না আর সে-গুড়ে আজ বালি বয়স আমার দু’কুড়ি  ভাই লজ্জা পাইনা তাতে শেখার কি আর বয়স আছে শিখবো হাতে-নাতে যোগ বলো আর বিয়োগ বলো গুণ বলো কী ভাগ এক নিমেষে শিখবো আমি সব ধরণের আঁক আঁক শিখবো ভূগোল জানবো জানবো ইতিহাস আজ থেকে তাই রোজ সন্ধ্যার এটাই প্রধান কাজ পণ করেছি আজ থেকে ভাই শিখবো লেখাপড়া চলো-না ভাই একসাথে যাই শিখতে লেখাপড়া 29/10/1991 10:30 AM

আলী হোসেনের জনপ্রিয় ছড়াগুলো পড়ুন

সাগরের জল

সাগরের জল শুকায় না তাই দিলে কয়েক ফোঁটা তাতেই আঁচল ভরলো মায়ের হল সূর্য শুরু ওঠা সেই জলেতেই ভিজলো কুঁড়ি ফুটলো মুখে কথা সেই কথাতেই লিখি এখন সকাল-সাঁঝের গাথা গাথার পাহাড় তোমায় নিয়ে তুমি প্রাণের নাগর তোমার জলেই সিক্ত মধু সেচেন সিন্ধু সাগর সেই সাগরের মুক্ত এখন জ্বালায় দেখি আলো সেই আলোতে রাঙিয়ে ওঠে মায়ের সিঁথির লালও তোমার জলের জোয়ার যখন গর্জায় বারংবার সেই জোয়ারে গুঁড়িয়ে যে যায় সাদার অহংকার সে অহংকার তোমার সাজে গর্জে ওঠে স্বর মায়ের ডাকে শুকায় দেখি মাতাল দামোদর সাগর জলেই মেশে যেমন ময়লা জলের ধারা তারই বুকে আছড়ে পড়ে হয় সে বাঁধন হারা তেমন করেই তোমার বুকের ঠিকরে এলো আলো তোমার জন্য আঁধার গুলোও আলোয় ধুঁয়ে গেলো সেই আলো আজ নিভুনিভু আঁধার ঢাকছে ঘর সেই আঁধারের গেরুয়া বাতি করছে আপন পর এসব তুমি দেখছো কি আজ বলো উচ্চ করে শির যে-শির তোমার চেনায় আজও তুমি বিদ্যাসাগর বীর ------- দেখুন ফেসবুকে : এখানে ক্লিক করুন

শরৎ গাথা

শরৎগাথা: ছড়াকার আলী হোসেনের দুই বাংলার জনপ্রিয় ছড়া  ্র আকাশ কালো মেঘের ভেলা সকাল কিম্বা সন্ধ্যাবেলা চলছে দেখ বকের পাখায় ভেসে, দিচ্ছে পাড়ি               এদেশ ছাড়ি অচিন দেশে মামার বাড়ি যেই-খানেতে, আকাশ মাটি মেশে। আকাশ মাটির মনের কথা জল করেছে বুকের ব্যথা মুখের কালো দূর করেছে বেশ, ভাদ্র এসে                 ভদ্র বেশে আশ্বিন তার সঙ্গে মেশে শিউলি-কাশে ভরিয়ে দিল দেশ। শরৎ এলো হাওয়ায় ভেসে শিশির তারই সঙ্গে মেশে ঘাসের ডগায় রুপোর নাকের ফুল শরৎ আনে                    নতুন মানে দোয়েল শ্যামার নতুন গানে বাবুই বোনে নতুন কানের দুল কমতে থাকা বিলের জলে ডাকপাখিরা হেঁটে চলে পানকৌড়ি ডুবমারে মাছ ধরতে, এমন মাসে                 দুর্গা আসে লক্ষ্য থাকে অসুর নাশে মুর্খ চোরা মর্তে আসে মরতে। উৎস : বাংলা সাহিত্য উৎস : বাংলা সাহিত্য

চোখ-কান-মন শোনে তিনজন

চোখ-কান-মন শোনে তিনজন : জনপ্রিয় ছড়াকার আলী হোসেনের একটি জনপ্রিয় ছড়া।  দেখছো তুমি, দেখছি আমি, দেখছি সকল সময় দেখছে সবাই, যা হয় তা-ই কেবল, আমিই দেখছি নাই কারণ কী তা খুঁজতে গিয়ে হোঁচট শুধুই খাই কী তার কারণ, অবশেষে বললে খাদেম ভাই চোখের সাথে কান ছিল না সঙ্গে ভোলা মন ছিল না চোখ-কান-মন দেখে তিন-জন মানছি না সব-সময়। শুনছো তুমি, শুনছি আমি,  শুনতে কান তো চাই-ই আমার সাথে শোনে খাদেম সঙ্গে শোনায় ন-ভাই হাতেম সে গজল মাঝে গাইলো খেয়াল খেয়াল করি নাই কারণ কী তা খুঁজতে গিয়ে আবার হোঁচট খাই কী তার কারণ, নেই যে বারণ খাদেম শোনায় গহীন কারণ চোখ-কান-মন শোনে তিন-জন, মোটেও মানো নাই। চোখ ছিল ঠিক, কান ছিল তাও, তবুও বুঝি নাই বোঝার জন্য মন দিয়েছি সঙ্গে শোনার ভান করেছি সবাই বুঝলো, মেঘ করলেও বৃষ্টি কেন নাই আমি কেন বুঝতে  কেবল শুধুই হোঁচট খাই খাদেম বলে শুনতে চাও মনের সাথে কানকে নাও চোখ-কান-মন বোঝে তিনজন, মোটেও ভুলতে নাই। ---------x---------- 📖 এবিষয়ে আরও পড়ুন : চোখ কান মন দেখে তিনজন পাঠকের প্রতিক্রিয়া ফেসবুকে দেখুন 👉👉দুই বাংলার জনপ্রিয় ছড়াকার আলী হোসেনের আরও ছড়া পড়ার জন্য নিচের লিঙ্কে ক্লিক করুন। ১)  প্রকৃ

চকলেট ও খোকা

চকোলেট খেলেই জেনো, দাঁতে ধরবে পোকা শুনে কথা মনের ব্যথা ভীষণ গেল বেড়ে মায়ের উপর ভীষণ রেগে কাঁদলো গলা ছেড়ে ভাবলো খোকন বোঝেনা মা, এক্কেবারে বোকা। চকলেটে মা কী আছে গুন, বোঝেনা কেউ যেন সেকেলে সব ভাবনা ভেবে শুধুই চলে বকে গুণের খবর রাখেনা তাই মরছি আমি শোকে মায়ের প্রশ্ন বোঝাই তবু, বোঝেনা খোকা কেন? উৎস : ড্রাইভ , YourQuote 24/10/2017

মজার মানুষ

মজার মানুষ :  ছড়াকার আলী হোসেনের একটি অনবদ্য রাজনৈতিক ছড়া।  মজার দেশে আছি আমি ভাবতে মজা লাগে হাভাতেরা ফসল ফলায় লুটেরা নিয়ে ভাগে ফলায় যারা পায়না তারা পেট ভরেনা তাদের আমরা খেয়ে উদর ভরি যোগ্যতা নেই যাদের  ওদের আছে গতর কিন্তু বুদ্ধি ভীষণ মোটা ভাই ভাইয়ের মাথা ফাটায় নিয়ে লাঠিসোটা আমি যখন হেঁকে বলি, কান নিয়ে গেল চিলে কানে হাত না দিয়েই বেটা ভাইটাকে খায় গিলে  মধু খাবো বলে যখন ঢিল ছুড়ি মৌচাকে বোকার বেটা লাফ দিয়ে খায় মাছির কামড়টাকে বাজি রেখে বউটাকে সে ধর্ম রক্ষায় ছোটে দুবেলা ভাত জোটেনা কেন ভুলেই খাটে ভোটে ধর্মের নামে যমের দড়ি গলায় পরে তাই আমিই শত্রু ভুলে গিয়ে ভাইকে মারে ভাই  -----------##---------- প্রকাশিত, বাংলাদেশ থেকে। 07/04/2018  4:35 পিএম

নারী

নারী আলী হোসেন নানান রূপে দেখাও দেখি চিনতে তবু পারি রংধনু রং মেখে তুমি স্বপ্ন দেখাও ভারী নানান রূপে সামনে এসে আগলে রাখো যেই ভাবতে পারি মায়ের এরূপ তুলনা যার নেই দুঃখ সুখের ঘরে যখন বিষম বাতাস বায় পালের মত হালের পাশে প্রিয় তোমায় পায় নানান রূপে যখন দেখি মায়ের মত মুখে দু’গাল ভরে সোহাগ ছাপো কন্যা হয়ে বুকে কিশোর কালে কিশোরী হও বন্ধুর বেশে এসে ফাগুন মাসে আগুন হয়ে পোড়াও ভালোবেসে পোড়াও পোড় ভাঙো গড় সঙ্গী যখন আমি দু’য়ের মধ্যে এক'কে বলা যায় না মোটেও দামি দু'হাত ছাড়া কেউ যেহেতু কিচ্ছুটি নাই পারি এক হাত তার পুরুষ হলে অন্যটা ঠিক নারী।

বাবার বাবা

আলী হোসেনের ছড়া - বাবার বাবা তোমার কাছে চাইবো কিছু এত সাহস কোথায় তবু তুমি বুঝতে পারতে চেয়ে চোখের পাতায় চাইছি আমি কী তোমার বুকে বুক রাখলে বুকটা উঠতো ফুলে সব সংশয় শুকিয়ে যেত ঠোঁটটা ঠোঁটে ছুঁলে ভয়টা আবার কী! ফিরতে তোমার দেরি হলেই, বুকটা হত ভারী এপাশ ওপাশ ফিরেই শুধু নিদ্রা যেতো ছাড়ি বুঝতে পারি আজ তোমার বুকে পা তুলে দে জড়িয়ে তোমার গলা তোমার বুকে মুখটা গুঁজে ভয়কে ঝেড়ে ফেলা কত সহজ কাজ আমি এখন বুঝি সবই বোঝাই তাকে কত ছেলে আমার বলে এসব ছেলে-মানুসি যত বুঝতে পারি বেশ আমার যখন বয়স ছিল আমার ছেলের মত এসব শুনে মন বলত দুর, 'আদিখ্যেতা যত' এ সবই তার রেশ

কাশির বাঁশি

কাশির বাঁশি - আলী হোসেন কাশির শব্দ হাঁচির মত বাজছে সকাল সন্ধ্যা দক্ষিণ হওয়ায় ঠান্ডা ফেঁসে হঠাৎ হল বন্ধ্যা ঠান্ডা ছুটছে এলোমেলো ফেলছে গরম শ্বাস উচ্চ গলায় বলছে হেঁকে  লোভেই সর্বনাশ  মাথা এখন কাজ করেনা এদিক ওদিক চাই ডাইনে যেতে যেতেই আবার বাঁদিক চলে যাই  বন্ধু আমার বৃক্ষ দাদার শাসন ছিল চড়া যখন তখন বার হওয়াতে নিষেধ ছিল কড়া কিন্তু দেখো একটু ভেবে আমার কী দোষ ছিল নরবানর দাঁত খিঁচিয়ে ঘাড়টা মটকে দিল বৃক্ষ দাদার মাথায় ফেলে উন্নয়নের বাজ আমায় পঙ্গু করে দিল কঠিন হল কাজ ঠান্ডা আমি গরম হওয়ায়  পান পেয়ালা সাজাই আর হঠাৎ আমি গরম হলে কাশির বাঁশি বাজাই ------X------- পাঠকের মতামত দেখুন ফেসবুকে : এখানে ক্লিক করুন  👁️‍🗨️ লেখাটি প্রকাশিত হয়েছে (২৯/০১/২০২৩) দীনদর্পণ দৈনিকের সাহিত্যের পাতা ‘সাহিত্য দর্পণ’- এ। সরাসরি পত্রিকা পড়তে এখানে ক্লিক করুন

মণিকানা

মণিকানা : লিখেছেন দুই বাংলার জনপ্রিয় ছড়াকার আলী হোসেন।  ভর-দুপুরে ছোটকা ছুটে বললো এসে, জানিস পুটে পণ করেছেন পরমহংস মরবে মাথাকূটে। ছোটকা বলে ছোট্ট করে ‘শোন কথা তোর মনটি ভরে পাঁচ শতকের দুঃখ এবার যাবেই বুঝি টুটে’ অবাক চোখে তাকায় পুটে কাক ঘুম তার গেল ছুটে প্রশ্ন করে ছোট্ট মুখেঃ ‘মসজিদ নয় মন্দির হলে দুঃখ মোদের যাবে টুটে? কেমন করে হয়? শুনে তোমার এসব কথা লাগছে আমার প্রাণে ব্যাথা এবং একটু ভয়। মন্দির বা মসজিদ হলে চটকল কি যাবে খুলে কাজ পাবেকি আমার ছোটমামা? ফুটপাতের ঐ ছোট্ট ছেলে শিদ কেটে যে গেল জেলে স্কুলে কি পারবে যেতে পরে রঙিন জামা? ছোটকা ফেলে ছোট্ট শ্বাস পালিয়ে যায় কাটিয়ে পাশ উত্তর এর নেই তো কিছু জানা বুঝতে পারে ছোটকা এবার ভুল ছিল তার ভাবায় সেবার চোখ থাকতে ছিলেন মণিকানা। ------------- ০৭/১০/২০০২ # পরমহংস দাস। ইনি রামমন্দির নির্মাণের দাবিতে আন্দোলনকারী তপস্বী ছাউনির মহন্ত। রামমন্দিরের দাবিতে আমরণ অনশনে বসেছিলেন।

একলা হলে

একলা হলে - আলী হোসেন একলা হলে : আলী হোসেন  তুমি কি দেখবে খুলে ইমেল গেলে তোমার নামে তাতে কী শিশির ভেজা সুবাস আছে পাতায় মুড়ে ভেবো, একটু একলা হলে তুমি কি দেখবে খুলে দুচোখ মেলে তার বুকেতে লুকিয়ে রাখা সোহাগ মাখা টুকরো কথা  বুকটা জুড়ে ভেবো, একটু একলা হলে তুমি কি দেখবে খুলে মনের ভুলে তোমার নামে একমুঠো রোদ পাঠিয়ে ছিলাম সংগোপনে মাখবে বলে ভেবো, একটু একলা হলে তুমি কি অচিনপুরে ভর দুপুরে একলা থাকো আমায় ভেবে আজও কি আগুন রাঙা পলাশ ফোটে মন চাতালে  একলা হলে বোলো, একটু সময় পেলে তুমি কি সেই চাতালে মন মাতালে জলের মত আমায় ভেবে তুমি কি লিখবে ভুলে ইমেল খুলে সে সব কথা সময় পেলে ভেবো, একটু একলা হলে আমি তো বেশ ভাবতে পারি জাগতে পারি তোমায় ভেবে রাত্রি যেই পেখম মেলে নিশুতি হয় আগের মত  একলা হলে ভেবো, তুমিও সময় পেলে আমি তো বেশ থাকতে পারি চোখ ডুবিয়ে তোমার মেলে তুমি ঠিক লিখছো কিছু হাঁটছো পিছু আমায় ভেবে একলা হলে ভেবো, একটু সময় পেলে। ------------xx-----------