সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

2018 থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

শীত কথা আলী হোসেন

শীত কথা আলী হোসেনের ছড়া কবিতা  শীত কথা - আলী হোসেন কথায় কথায় বাড়ে কথা কাঁথায় বাড়ে সুখ হিমেল হাওয়ার ছোঁয়ায় হাড়ে যার ছোঁয়াতেই বিকেল বাড়ে তার ছোঁয়াতেই পথের শিশু থাকেন যেমন ক্রুশে যীশু নকশিকাঁথায় মোড়ে তেমন হাজার ভাঙা বুক পাঠকের মতামত দেখুন ফেসবুকে

তুমি আমার আপন

কে-ব-লে-ছে-/তু-মি-দূ-রের-/তু-মি- আ-মার-/ আ-পন-। কে বলেছে তুমি দূরের তুমি আমার আপন আপন মানে কাছে রাখার ভালোবেসে দূরে থাকার শপথ নিয়ে মনের ছন্দে ভালোবাসার গভীর দ্বন্দ্বে পাশে থাকার ইচ্ছা নিয়ে করা প্রবাস যাপন পা-শে-থা-কার / ইচ্-ছা নি-য়েও / ক-রা-প্র-বাস / যা-পন (স্বরবৃত্তে/৪মাত্রা) লেখার প্রসঙ্গ : ফেসবুক

সেটাই তোমার নাই

ছোট্ট সোনা চোখটি তোলো বলো তোমার চাই যা চাও সোনা চাঁদের কোনা টেডি বিয়ার? দিচ্ছি সোনা একটু তুমি মুখটি খোলো অফিস ফিরলে আম্মা বোলো এছাড়া তো তোমার কাছে কিচ্ছু চাওয়ার নাই ছোট্ট সোনা চোখটি তুলে এবার বললো, ছাই! সবখানেতে সবাই আছেন, বাবা আছেন, মাও আছেন পিৎজা বার্গার এত্তো আছে চাচ্ছি যেটা তোমার কাছে একটু সময় আমার জন্য সেটাই তোমার নাই।

বাজি - আলী হোসেন

বাজি - আলী হোসেন  দীপাবলি সম্বন্ধে কবিতা। আলী হোসেনের লেখা দীপাবলী সংক্রান্ত ছড়া। আসছে বছর আবার হবে হবেই সেটা জানি কিন্তু যেটা মানি না এবং কেন জানি না বিকট শব্দে যখন বাজে কোলের শিশুর সয়না তা যে জেনেও কেন পোড়াই বাজি স্বাস্থ্য করে হানি। ----------xx-------- পাঠকের মতামত দেখুন এখানে  

গ্রাম - ১, ২

১. জানি, গ্রামকে তুমি মন্দ বল বোকার হদ্দ তুমি গ্রামের মাটি ভীষণ খাঁটি সাজিয়ে বাগান পরিপাটি তোমার মুখের জন্য আনে জানে গোটা বিশ্ব জানে মুখের অন্ন যোগায় যেজন সেজন গ্রামের ভূমি। ২. বুকের মাঝে যেজন সাজে চুপটি করে বসে গ্রামের সবুজ হলেই অবুঝ মন প্রেমিকের হয় না সবুজ সেই কারণে মন কিনারে বল না বাজুক মন বীণারে গ্রামের জন্য একটু সুরে টানুক তারটা কষে।

জোনাকি - আলী হোসেন

জোনাকি আলী হোসেন জোনাকি সম্পর্কে ছড়া। লিখেছেন দুই বাংলার জনপ্রিয় ছড়াকার আলী হোসেন। জোনাকি - আলী হোসেন  জোনাক জোনাক জোনাকি তোর পিছনে সোনা কী? দেখতে লাগে ভালো, তার চেয়ে তুই ভালো হবি জ্বলবি হয়ে সন্ধ্যারবি ঝুপড়ি গুলোয় আলো। জোনাক জোনাক জোনাকি তোর মনেতে আছে কী? ভাবছি বসে তাই, ভাবতে বসে তোর কথাতে মুর্খগুলোর চোখ জ্বালাতে তোর তুলনা নাই জোনাক জোনাক জোনাকি শুনতে আছে মানা কী? একটুখানি থাক, তোর ধর্ম দিয়ে তাদের চোখ থাকতে অন্ধ যাদের একটু ভালো রাখ। পাঠকের মতামত দেখুন ফেসবুক ।

পরিচয়

প্রথম নামে উদার আমি পরে আমি হোসেন বাসা আমার চড়ুইগাছি এখন যেন কোথায় আছি? জানতে আসুন কলকাতাতে উত্তর আছে পরগনাতে সেটাই দেবো ২৪ বার একটুখানি বসেন। কী বলছেন, থানা কোথায় জানতে চান? একটু খানি কাছে আসুন চুপটি করে পাশে বসুন গাইঘাটা সে চোখের মণি তার পাশে আজ বাঁশদ্রোনি করছে বিরাজ বুকের মাঝে যদি মানতে চান।

একটু ভেবে দেখো

আসছি আমি বলছি তোমায় একটু মনে রেখো আকাশ ডিঙ্গায় যাচ্ছি আমি তোমার চেয়ে নেই যে দামি ভাবছি আমি ভাবছো কিনা বাজছে আমার মনের বিনা তার সাথে সুর মিলছে কিনা একটু ভেবে দেখো

শরৎ গাথা

শরৎগাথা: ছড়াকার আলী হোসেনের দুই বাংলার জনপ্রিয় ছড়া  ্র আকাশ কালো মেঘের ভেলা সকাল কিম্বা সন্ধ্যাবেলা চলছে দেখ বকের পাখায় ভেসে, দিচ্ছে পাড়ি               এদেশ ছাড়ি অচিন দেশে মামার বাড়ি যেই-খানেতে, আকাশ মাটি মেশে। আকাশ মাটির মনের কথা জল করেছে বুকের ব্যথা মুখের কালো দূর করেছে বেশ, ভাদ্র এসে                 ভদ্র বেশে আশ্বিন তার সঙ্গে মেশে শিউলি-কাশে ভরিয়ে দিল দেশ। শরৎ এলো হাওয়ায় ভেসে শিশির তারই সঙ্গে মেশে ঘাসের ডগায় রুপোর নাকের ফুল শরৎ আনে                    নতুন মানে দোয়েল শ্যামার নতুন গানে বাবুই বোনে নতুন কানের দুল কমতে থাকা বিলের জলে ডাকপাখিরা হেঁটে চলে পানকৌড়ি ডুবমারে মাছ ধরতে, এমন মাসে                 দুর্গা আসে লক্ষ্য থাকে অসুর নাশে মুর্খ চোরা মর্তে আসে মরতে। উৎস : বাংলা সাহিত্য উৎস : বাংলা সাহিত্য

তোমার মুখের ছায়ায় দেখি স্বপ্ন বোনা যায়

১ আঁধার রাতে সাতটি তারা আকাশ ডিঙি বায় তাদের একটি আমায় ডেকে আড়চোখেতে একটু দেখে বললো হেসে ভাবছি আমি ফুলের চেয়ে বেশি-ই দামি তোমার মুখের ছায়ায় দেখি স্বপ্ন বোনা যায়। ২ তোমার স্বপ্ন আমায় দিও সেটাই আমার হবে সেটা ছুঁয়েই দেখবো আমি ফাগুন রঙা আকাশ নামি আসছে ভোরের আলো নিয়ে আমার স্বপ্ন তাকেই দিয়ে থাকবো আমি অপেক্ষাতেই আসবে তুমি কবে। ** ছড়াক্কায় (সতীশ বিশ্বাস) পাঠানো হয়েছে। 3 আসছি আমি বলছি তোমায় একটু মনে রেখো আকাশ ডিঙ্গায় যাচ্ছি আমি তোমার চেয়ে নেই যে দামি ভাবছি আমি ভাবছো কিনা বাজছে আমার মনের বীণা তার সাথে সুর মিলছে কিনা একটু ভেবে দেখো

পণ করেছি

পণ করেছি পড়তে যাব গড়বো নতুন সমাজ আজ থেকে তাই পড়াই আমার প্রধান হল কাজ সন্ধ্যে হলে বই খাতা আর কলম সাথে নিয়ে দেশ গড়ার ওই মন্ত্র আমি শিখবো নিজে গিয়ে লিখবো পড়বো শিখবো অনেক জানবো দেশের কথা লিখবো চিঠি নিজের হাতে জানিয়ে মনের কথা শিখবো আমি অনেক কিছু আনন্দ তাই মনে অশিক্ষিত বলবে না কেউ দুষ্টু কোন জনে হাল-হকিকত জানবো দেশের করবো কত কী যে কারও কাছে যাব না আর পড়বো চিঠি নিজে এবার তোমায় বুড়ো-আঙুল দেবই দেব ছুটি কেউ যদি কয় টিপ দিতে তার ধরবো টিপে টুঁটি ও মহাজন ঠকিয়ে নেবে ভাবছো কি  তাই খালি? ছল-চাতুরি খাঁটছে না আর সে-গুড়ে আজ বালি বয়স আমার দু’কুড়ি  ভাই লজ্জা পাইনা তাতে শেখার কি আর বয়স আছে শিখবো হাতে-নাতে যোগ বলো আর বিয়োগ বলো গুণ বলো কী ভাগ এক নিমেষে শিখবো আমি সব ধরণের আঁক আঁক শিখবো ভূগোল জানবো জানবো ইতিহাস আজ থেকে তাই রোজ সন্ধ্যার এটাই প্রধান কাজ পণ করেছি আজ থেকে ভাই শিখবো লেখাপড়া চলো-না ভাই একসাথে যাই শিখতে লেখাপড়া 29/10/1991 10:30 AM

মাথার মড়ক

জেনো, মাথার ওপর মাথাই নাই মাথা চালাও জোরছে তাই মাথাও হেট করবে না মরার আগে মরবে না মরার চিন্তা বৃথাই তাই মেনো, মাথার মড়ক মানতে নাই      ***** শুক্রবার, 09 মার্চ 2012 20.04.05 উৎস : ফেসবুক ,  YourQuote , 'ছড়াক্কা' পত্রিকা মার্চ 12012

কুরবানি

আমার মধ্যে যে জন আছে ঘাপটি মেরে বসে আলোর মধ্যে আঁধার রেখে তাকেই পালি সময় দেখে কুরবানি কি করছি তাকে ভেবে নিজের দোষ এ আমার মধ্যে যেজন আছে জিভটি করে লাল সেজন কি আজ লজ্জা পেয়ে মন যমুনায় সাঁতরে যেয়ে লোভের নোঙ্গর খুলে দিলো উড়িয়ে দিতে পাল আমার মধ্যে যেজন আছে চোখটি করে ‘বড়’ সেজন কি আজ উড়িয়ে ধুলো মনের যত ময়লাগুলো কুরবানি কি দিতে তাকে করলো সেসব জড়ো আমার মধ্যে যেজন আছেন দম্ভ-রঙে রেঙে তার কাছে কি আজকে এসে একটুখানি ভালোবেসে কুরবানি কি দিচ্ছি তাকে দম্ভ-দেওয়াল ভেঙে আমার মধ্যে আছেন যিনি টাটায় ভীষণ চোখ তার কানে কি বলছে বাতাস জাত না দেখে বন্ধু পাতাস কুরবানি দাও বলছে কি সে ভুলে বিভেদ শোক এরাই যদি আমার প্রিয় প্রেমের চেয়ে দম্ভ বড় তবে আমার বৃথাই বড়াই অর্থ দিয়ে দম্ভ ছড়াই কুরবানিতে করছি আমি সোনার-পাথর-বাটি জড়                 –---------/--------- কুরবানি কুরবানি শব্দটি আরবি কারনুন মূলধাতু হতে এসেছে। এর আভিধানিক অর্থ হচ্ছে : নিকটবর্তী হওয়া। ইমাম রাগিব বলেন- “যে বস্তু দ্বারা আল্লাহর নৈকট্য লাভ করা যায়। চাই তা জবেহকৃত বা অন্যকোন দান খয়রাত হোক।” তাফসিরে মাযহারির বর্ণনা মতে- “আল্লাহর নৈকট্

বিবেকের প্রতি

তুমি ই স্বামী তুমিই পিতা তুমিই দামাল ছেলে তোমার নামে বিশ্ব এদেশ চিনলো দুচোখ মেলে এদেশ নাকি অসভ্যদের নেটিভ নাকি তারা তুমি তাদের ভাঙালে ভুল পুতলে সবুজ চারা এ চারা গাছ চির সবুজ সবুজ পাতায় ভরা তারই ছায়ায় জাগে জীর্ন জেগে ওঠেন জরা তোমার কথায় জাগে তরুণ বাঁচে নতুন আশায় স্বপ্নপুরী হবেই দেশ আজ চষবে জমি চাষায় স্বপ্ন ছিল তোমার এদেশ হবে তোমার আমার মুচি-মেথর মিলবে সাথে জাগবে চাষী-চামার আরও যেসব স্বপ্ন তোমার ছিল মনের কোনে সেসব এখন শুধুই স্বপ্ন হল, ভস্ম গহীনবনে মুচি ও মেথর ভাত পায়না দলিত শিক্ষার আলো সংখ্যালঘু আর যারা সব দেখছে রাতের কালো লাভকে নাকি জেহাদ বলে বাসলে ভালো মানুষ জীবের প্রতি প্রেম হবেনা উড়বে প্রেমের ফানুস এসব কথা তুমি কি বন্ধু কোথাও বলেছিলে? জানেনা কেউ, তবুও তারা জেহাদ বলে দিলে হিন্দুকে তুমি জাতি বললে এরা বলছে ধর্ম এটা মানলেই বাঁচবে মানুষ এটাই বাঁচার বর্ম তুমি বলেছিলে, ঈশ্বর নেই মানুষ ছাড়া আর তার সেবাতেই ঈশ্বর সেবা আমি তো কোন ছার কিন্তু দেখ দেশজুড়ে আজ করছে হুড়োহুড়ি তোমাকে আজ ঈশ্বর বলে করছে কাড়াকাড়ি জানি আমি তুমিও জানো এসব যারা ক

মন কি বাত

রেকর্ড গড়ছি আমি যাবৎ কালে টাকার মূল্য সবচেয়ে নিম্ন গামী রেকর্ড ভাঙছি আমি মানুষের চে' দেখো এখন গরুর জীবন দামী রেকর্ড গড়ছি আমি দেশ নয় দেশবাসীর মূল্য অনেক গেছে নামি রেকর্ড ভাঙছি আমি দেশের টাকা বিদেশ যাওয়া অনুপাত হল দামি রেকর্ড গড়ছি আমি অপবিজ্ঞানের প্রচার দেখে বিজ্ঞান গেছে থামি রেকর্ড গড়ছি আমি যুক্তিতে নয় ভক্তিতে জয় এই মন্ত্রই দামি রেকর্ড গড়ছি আমি বেকার যুবক শিক্ষা ছেড়ে খেলছে দেখো রামি রেকর্ড ভাঙছি আমি স্কুল তুলে শিক্ষার মূলে আঘাত হানছি মামী রেকর্ড গড়ছি আমি জাতি নয় জাত-ধর্ম বড় বলছে দেশের স্বামী

ক্ষুদিরাম

আঠারো আসে মশাল হাতে তার আলোতে আঁধার রাতে দেখছে যেন কেউ কষ্টে আছেন মা যে আমার মুক্তি দিতে উঠিয়ে হ্যামার জাগছে না-যে কেউ মা তোর জন্য জাগছি আমি মা তোর চেয়ে নেই যে দামি এই জগতের কেউ ভাঙতে তোর পায়ের শিকল করবো রথের চাকা বিকল যতই লাগুক ফেউ আঠারোর প্রাণ কষ্টে আছে কষ্টের অনেক কারণ আছে বলছে না-তো কেউ মা তোর চোখের একটু জল বাড়ায় বুকের অনেক বল বলছে না তো কেউ বলছে নিজের দুচোখ মুদে জাগছে তোমার ছোট্ট ক্ষুদে সে ছাড়া নেই কেউ? দেখছে তোমার ছোট্ট ক্ষুদে বাড়ছে যে ঋণ মূলে সুদে তা মেটাচ্ছে না কেউ যে যার মতই খাচ্ছে করে ভাগছে বিদেশ সুযোগ ধরে বলার যে নেই কেউ দেশের জন্য ফাঁসির ফাঁসে দিচ্ছে না প্রাণ দশের আশে ক্ষুদের মতন কেউ বলছে তারাই হাসির ছলে বার খেয়ে রাম ক্ষুদে হলে দেখবে না তো কেউ ক্ষুদের কাছে ক্ষুদ্র এ প্রাণ তার চে বড় দেশের এ মান বলছে না আর কেউ! একোন স্বপ্ন দেখলে তুমি ভুলছে তোমায় ভারত ভূমি দেখছে না তা কেউ মর্ত লোকের ওপার থেকে একবার এসো ভীষন বেগে তুলতে তুফান ঢেউ -------------

অলীক সুখ

মুখের আড়ালে অন্য মুখ তাতেই দেখাও অলীক সুখ মুখোশ পরে বাসছো ভালো মাখিয়ে মুখে চাঁদের আলো আড়াল থেকে মারছো ছুরি করছো আমার পুকুর চুরি তাতেই নাকি পালটে দেশে আসবে সে এক নতুন যুগ! দেখাও, এযুগেরই নায়ক তুমি স্বপ্নপুরির সোনার মুখ বলছো তুমি রাজার মত সারিয়ে নাকি বুকের ক্ষত রথ ছুটিয়ে আসছো তুমি গড়তে নতুন ভারত ভূমি যাতে, ভোগ করবে এদেশবাসি মর্ত্যে বসেই স্বর্গসুখ! উৎস : YourQuote   দেখুন ফেসবুকে। এখানে ক্লিক করুন

চকলেট ও খোকা

চকোলেট খেলেই জেনো, দাঁতে ধরবে পোকা শুনে কথা মনের ব্যথা ভীষণ গেল বেড়ে মায়ের উপর ভীষণ রেগে কাঁদলো গলা ছেড়ে ভাবলো খোকন বোঝেনা মা, এক্কেবারে বোকা। চকলেটে মা কী আছে গুন, বোঝেনা কেউ যেন সেকেলে সব ভাবনা ভেবে শুধুই চলে বকে গুণের খবর রাখেনা তাই মরছি আমি শোকে মায়ের প্রশ্ন বোঝাই তবু, বোঝেনা খোকা কেন? উৎস : ড্রাইভ , YourQuote 24/10/2017

সাগরের জল

সাগরের জল শুকায় না তাই দিলে কয়েক ফোঁটা তাতেই আঁচল ভরলো মায়ের হল সূর্য শুরু ওঠা সেই জলেতেই ভিজলো কুঁড়ি ফুটলো মুখে কথা সেই কথাতেই লিখি এখন সকাল-সাঁঝের গাথা গাথার পাহাড় তোমায় নিয়ে তুমি প্রাণের নাগর তোমার জলেই সিক্ত মধু সেচেন সিন্ধু সাগর সেই সাগরের মুক্ত এখন জ্বালায় দেখি আলো সেই আলোতে রাঙিয়ে ওঠে মায়ের সিঁথির লালও তোমার জলের জোয়ার যখন গর্জায় বারংবার সেই জোয়ারে গুঁড়িয়ে যে যায় সাদার অহংকার সে অহংকার তোমার সাজে গর্জে ওঠে স্বর মায়ের ডাকে শুকায় দেখি মাতাল দামোদর সাগর জলেই মেশে যেমন ময়লা জলের ধারা তারই বুকে আছড়ে পড়ে হয় সে বাঁধন হারা তেমন করেই তোমার বুকের ঠিকরে এলো আলো তোমার জন্য আঁধার গুলোও আলোয় ধুঁয়ে গেলো সেই আলো আজ নিভুনিভু আঁধার ঢাকছে ঘর সেই আঁধারের গেরুয়া বাতি করছে আপন পর এসব তুমি দেখছো কি আজ বলো উচ্চ করে শির যে-শির তোমার চেনায় আজও তুমি বিদ্যাসাগর বীর ------- দেখুন ফেসবুকে : এখানে ক্লিক করুন

ঈদের শুভেচ্ছা

ঈদের সকাল রোদ ঝলমল খুশির হাওয়া বইছে ঈদের খুশি তার সাথে তাই দারুণ বেগে বইছে... --- এই খুশি আপনাকেও / তোমাকেও ছুঁয়ে যাক। উৎস : ফেসবুক 29 জুলাই 2014

স্বপ্নপুরীর রাণী

রাত / স্বপ্নপুরীর রাণী আলী হোসেন  আমি যদি রাত্রি হতাম, ঘুমের দেশে এসে তোমার চোখের পাতা ছুঁয়ে মাতাল চাঁদের আলোয় ধুঁয়ে ঘুম পাড়ানি গানের টানে পাল্টে দিতাম ঘুমের মানে স্বপ্নপুরীর রাণীর মতো শুধুই ভালোবেসে উৎস : YourQuote  ,  দেখুন ফেসবুকে

নিত্য মাঝি সাজি

জীবন নদীর জোয়ার-ভাটায়, আমরা হলাম মাঝি জোয়ার আসে রাত্রিদিন ভাটাও দেখি নিত্যদিন ভয় পাওয়া তাই ফালতু তেমন মরুর মরীচিকা যেমন জীবন নদীর নৌকা বাইতে, তাই নিত্য মাঝি সাজি

বই দিয়ে যায় চেনা

বইয়ের আমি বইয়ের তুমি বই দিয়ে যায় চেনা বই না পড়ে কেমন করে জানবে জীবন যাচ্ছে ঝরে? এসব কথা শুনে শুনে গাঁটের পয়সা গুনে গুনে বইয়ের নেশায় পড়ে দেখো বই হয়ে যায় কেনা বই অনেকে কেনে কিন্তু পড়ে ক'জন শুনি কেউ কেনে বই সাজিয়ে রাখতে কেউ কেনে বই শখে কেউ কেনে বই লোক দেখাতে কেউবা কেবল বকে এসব ছেড়ে বই যে পড়ে সে-ই কিন্তু গুণী

যোগী দাদুর বাড়ি

হারাধনের দশটি ছেলে হারিয়ে গেল কোথায় জানতে হলে খুঁজতে হবে খুঁজতে হলে যেতেই হবে যোগী দাদুর বাড়ি! জানি জানি, শুধু বলো সেটা যেন কোথায়? ঐ যেখানে মজার দেশ মজার কোন নেইকো শেষ শোকের মুল্লুক ছাড়ি! জানি জানি, শুধু বলো ন্যাতড়া যেন কোথায়? ঐ যেখানে সকালবেলায় চাঁদ হেসে দেয় হেলাফেলায় পুবের আকাশ পাড়ি! জানি জানি, আমি জানি তুমিও জানো বোধহয় ঐ যেখানে তোতাপাখি করতে দেখি ডাকাডাকি ছুটতে জলে গাড়ি! ____________ 22/11/2017 সন্ধ্যা 6 টা 25 মিনিট ব্রহ্মপুর, কলকাতা 700096

বাবার বাবা

আলী হোসেনের ছড়া - বাবার বাবা এ সবই তার রেশ তোমার কাছে চাইবো কিছু এত সাহস কোথায় তবু তুমি বুঝতে পারতে চেয়ে চোখের তারায় চাইছি আমি কী তোমার বুকে বুক রাখলে বুকটা উঠতো ফুলে সব সংশয় শুকিয়ে যেত ঠোঁটটা ঠোঁটে ছুঁলে ভয়টা আবার কী! ফিরতে তোমার দেরি হলেই, বুকটা হত ভারী এপাশ ওপাশ ফিরেই শুধু নিদ্রা যেতো ছাড়ি বুঝতে পারি আজ তোমার বুকে পা তুলে দে জড়িয়ে তোমার গলা তোমার বুকে মুখটা গুঁজে ভয়কে ঝেড়ে ফেলা কত সহজ কাজ আমি এখন বুঝি সবই বোঝাই তাকে কত ছেলে আমার বলে এসব ছেলে-মানসি যত বুঝতে পারি বেশ আমার যখন বয়স ছিল আমার ছেলের মত এসব শুনে মন বলত দুর, 'আদিখ্যেতা যত' এ সবই তার রেশ ----------xx---------

হাঁটি হাঁটি পা পা

হাঁটি হাঁটি পা পা সোনা হাঁটে ছোটে না এরপর জানে না কোথা যাবে কেন বা তাও তার হাঁটা চাই কোন বাধা মানা নাই মানা নাই মানা নাই মানার মানে জানা নাই সোনা তাই যেতে চায় যত দূর মন চায়। যেতে যেতে ভাবে ছাই কোথা যাবো মনে নাই অবশেষে সোনা তাই বলে ফিরে যেতে চাই মামনির কোল ছাড়া আর কিছু চেনা নাই। ** শ্যামাশ্রীর মেয়ের হাঁটার ছবি দিয়ে লেখা। উৎস জানতে এখানে ক্লিক করুন

মজার মানুষ

মজার মানুষ :  ছড়াকার আলী হোসেনের একটি অনবদ্য রাজনৈতিক ছড়া।  মজার দেশে আছি আমি ভাবতে মজা লাগে হাভাতেরা ফসল ফলায় লুটেরা নিয়ে ভাগে ফলায় যারা পায়না তারা পেট ভরেনা তাদের আমরা খেয়ে উদর ভরি যোগ্যতা নেই যাদের  ওদের আছে গতর কিন্তু বুদ্ধি ভীষণ মোটা ভাই ভাইয়ের মাথা ফাটায় নিয়ে লাঠিসোটা আমি যখন হেঁকে বলি, কান নিয়ে গেল চিলে কানে হাত না দিয়েই বেটা ভাইটাকে খায় গিলে  মধু খাবো বলে যখন ঢিল ছুড়ি মৌচাকে বোকার বেটা লাফ দিয়ে খায় মাছির কামড়টাকে বাজি রেখে বউটাকে সে ধর্ম রক্ষায় ছোটে দুবেলা ভাত জোটেনা কেন ভুলেই খাটে ভোটে ধর্মের নামে যমের দড়ি গলায় পরে তাই আমিই শত্রু ভুলে গিয়ে ভাইকে মারে ভাই  -----------##---------- প্রকাশিত, বাংলাদেশ থেকে। 07/04/2018  4:35 পিএম

স্টিফেনস হকিং

স্টিফেনস হকিং স্টিফেনস হকিংকে নিয়ে আলী হোসেনের ছড়া তোমার জন্য মুক্ত মনের নিশান দেখি উড়তে তোমার জন্য অন্ধকারে সাহস করি ঘুরতে তোমার জন্য ভন্ড যারা মুন্ডু করে নিচু তোমার জন্য পঙ্গু দাঁড়ায় করে মাথা উঁচু তোমার জন্য নতুন আকাশ রঙিন রূপে এলো তোমার চোখে কৃষ্ণ গহবর আলোয় ভরে গেল তোমার চোখে দেখল আলো কৃষ্ণ কিরণ রোখে আলো খেয়ে বেড়ায় বেটা ধরা না দেয় চোখে তোমার চোখে বিশ্ব দেখে কৃষ্ণ কণার শেষ কোয়ান্টাম বল উছিয়ে আছে অস্ত্র হতে বেশ কোয়ান্টাম বলে, শূন্য দেখো, শূন্য তো নয় কিছু আয়ান সাথে রাধা ঘরে বেড়ায় পিছু পিছু কৃষ্ণ কিরণ দেখে রাধার নজর যখন লাগে কৃষ্ণ বেটায় জোড় ভাঙতে দিবারাত্রি জাগে সুযোগ বুঝে জোড়া ভাঙে রাধার প্রেমে পড়ে আয়ানকে দেয় দূরে ঠেলে কৃষ্ণ প্রেমের তোড়ে  আয়ান রাধা ভার্চুয়াল কণা কণায় কণা মেশে কৃষ্ণ কিরণ কোয়ান্টাম বল খাটায় অবশেষে রাধার থেকে আয়াণ ঠেলতে যতই লাগায় বল কৃষ্ণ কিরণ শক্তি হারায়, খোয়ায় যা ছিল সম্বল বললে তুমি এ প্রেম কথা সহজ সরল ঢঙে  সাদাকালো মনের ময়লা রাঙিয়ে দিলে রঙে এ রঙ তুলি তোমার হাতে সরলো মরু ধুধু দেখে তোমার বিনা বিশ্ববাসী কৃষ্ণ কালো শুধু

আলী হোসেনের জনপ্রিয় ছড়াগুলো পড়ুন

সাগরের জল

সাগরের জল শুকায় না তাই দিলে কয়েক ফোঁটা তাতেই আঁচল ভরলো মায়ের হল সূর্য শুরু ওঠা সেই জলেতেই ভিজলো কুঁড়ি ফুটলো মুখে কথা সেই কথাতেই লিখি এখন সকাল-সাঁঝের গাথা গাথার পাহাড় তোমায় নিয়ে তুমি প্রাণের নাগর তোমার জলেই সিক্ত মধু সেচেন সিন্ধু সাগর সেই সাগরের মুক্ত এখন জ্বালায় দেখি আলো সেই আলোতে রাঙিয়ে ওঠে মায়ের সিঁথির লালও তোমার জলের জোয়ার যখন গর্জায় বারংবার সেই জোয়ারে গুঁড়িয়ে যে যায় সাদার অহংকার সে অহংকার তোমার সাজে গর্জে ওঠে স্বর মায়ের ডাকে শুকায় দেখি মাতাল দামোদর সাগর জলেই মেশে যেমন ময়লা জলের ধারা তারই বুকে আছড়ে পড়ে হয় সে বাঁধন হারা তেমন করেই তোমার বুকের ঠিকরে এলো আলো তোমার জন্য আঁধার গুলোও আলোয় ধুঁয়ে গেলো সেই আলো আজ নিভুনিভু আঁধার ঢাকছে ঘর সেই আঁধারের গেরুয়া বাতি করছে আপন পর এসব তুমি দেখছো কি আজ বলো উচ্চ করে শির যে-শির তোমার চেনায় আজও তুমি বিদ্যাসাগর বীর ------- দেখুন ফেসবুকে : এখানে ক্লিক করুন

শরৎ গাথা

শরৎগাথা: ছড়াকার আলী হোসেনের দুই বাংলার জনপ্রিয় ছড়া  ্র আকাশ কালো মেঘের ভেলা সকাল কিম্বা সন্ধ্যাবেলা চলছে দেখ বকের পাখায় ভেসে, দিচ্ছে পাড়ি               এদেশ ছাড়ি অচিন দেশে মামার বাড়ি যেই-খানেতে, আকাশ মাটি মেশে। আকাশ মাটির মনের কথা জল করেছে বুকের ব্যথা মুখের কালো দূর করেছে বেশ, ভাদ্র এসে                 ভদ্র বেশে আশ্বিন তার সঙ্গে মেশে শিউলি-কাশে ভরিয়ে দিল দেশ। শরৎ এলো হাওয়ায় ভেসে শিশির তারই সঙ্গে মেশে ঘাসের ডগায় রুপোর নাকের ফুল শরৎ আনে                    নতুন মানে দোয়েল শ্যামার নতুন গানে বাবুই বোনে নতুন কানের দুল কমতে থাকা বিলের জলে ডাকপাখিরা হেঁটে চলে পানকৌড়ি ডুবমারে মাছ ধরতে, এমন মাসে                 দুর্গা আসে লক্ষ্য থাকে অসুর নাশে মুর্খ চোরা মর্তে আসে মরতে। উৎস : বাংলা সাহিত্য উৎস : বাংলা সাহিত্য

চোখ-কান-মন শোনে তিনজন

চোখ-কান-মন শোনে তিনজন : জনপ্রিয় ছড়াকার আলী হোসেনের একটি জনপ্রিয় ছড়া।  দেখছো তুমি, দেখছি আমি, দেখছি সকল সময় দেখছে সবাই, যা হয় তা-ই কেবল, আমিই দেখছি নাই কারণ কী তা খুঁজতে গিয়ে হোঁচট শুধুই খাই কী তার কারণ, অবশেষে বললে খাদেম ভাই চোখের সাথে কান ছিল না সঙ্গে ভোলা মন ছিল না চোখ-কান-মন দেখে তিন-জন মানছি না সব-সময়। শুনছো তুমি, শুনছি আমি,  শুনতে কান তো চাই-ই আমার সাথে শোনে খাদেম সঙ্গে শোনায় ন-ভাই হাতেম সে গজল মাঝে গাইলো খেয়াল খেয়াল করি নাই কারণ কী তা খুঁজতে গিয়ে আবার হোঁচট খাই কী তার কারণ, নেই যে বারণ খাদেম শোনায় গহীন কারণ চোখ-কান-মন শোনে তিন-জন, মোটেও মানো নাই। চোখ ছিল ঠিক, কান ছিল তাও, তবুও বুঝি নাই বোঝার জন্য মন দিয়েছি সঙ্গে শোনার ভান করেছি সবাই বুঝলো, মেঘ করলেও বৃষ্টি কেন নাই আমি কেন বুঝতে  কেবল শুধুই হোঁচট খাই খাদেম বলে শুনতে চাও মনের সাথে কানকে নাও চোখ-কান-মন বোঝে তিনজন, মোটেও ভুলতে নাই। ---------x---------- 📖 এবিষয়ে আরও পড়ুন : চোখ কান মন দেখে তিনজন পাঠকের প্রতিক্রিয়া ফেসবুকে দেখুন 👉👉দুই বাংলার জনপ্রিয় ছড়াকার আলী হোসেনের আরও ছড়া পড়ার জন্য নিচের লিঙ্কে ক্লিক করুন। ১)  প্রকৃ

চকলেট ও খোকা

চকোলেট খেলেই জেনো, দাঁতে ধরবে পোকা শুনে কথা মনের ব্যথা ভীষণ গেল বেড়ে মায়ের উপর ভীষণ রেগে কাঁদলো গলা ছেড়ে ভাবলো খোকন বোঝেনা মা, এক্কেবারে বোকা। চকলেটে মা কী আছে গুন, বোঝেনা কেউ যেন সেকেলে সব ভাবনা ভেবে শুধুই চলে বকে গুণের খবর রাখেনা তাই মরছি আমি শোকে মায়ের প্রশ্ন বোঝাই তবু, বোঝেনা খোকা কেন? উৎস : ড্রাইভ , YourQuote 24/10/2017

মজার মানুষ

মজার মানুষ :  ছড়াকার আলী হোসেনের একটি অনবদ্য রাজনৈতিক ছড়া।  মজার দেশে আছি আমি ভাবতে মজা লাগে হাভাতেরা ফসল ফলায় লুটেরা নিয়ে ভাগে ফলায় যারা পায়না তারা পেট ভরেনা তাদের আমরা খেয়ে উদর ভরি যোগ্যতা নেই যাদের  ওদের আছে গতর কিন্তু বুদ্ধি ভীষণ মোটা ভাই ভাইয়ের মাথা ফাটায় নিয়ে লাঠিসোটা আমি যখন হেঁকে বলি, কান নিয়ে গেল চিলে কানে হাত না দিয়েই বেটা ভাইটাকে খায় গিলে  মধু খাবো বলে যখন ঢিল ছুড়ি মৌচাকে বোকার বেটা লাফ দিয়ে খায় মাছির কামড়টাকে বাজি রেখে বউটাকে সে ধর্ম রক্ষায় ছোটে দুবেলা ভাত জোটেনা কেন ভুলেই খাটে ভোটে ধর্মের নামে যমের দড়ি গলায় পরে তাই আমিই শত্রু ভুলে গিয়ে ভাইকে মারে ভাই  -----------##---------- প্রকাশিত, বাংলাদেশ থেকে। 07/04/2018  4:35 পিএম

নারী

নারী আলী হোসেন নানান রূপে দেখাও দেখি চিনতে তবু পারি রংধনু রং মেখে তুমি স্বপ্ন দেখাও ভারী নানান রূপে সামনে এসে আগলে রাখো যেই ভাবতে পারি মায়ের এরূপ তুলনা যার নেই দুঃখ সুখের ঘরে যখন বিষম বাতাস বায় পালের মত হালের পাশে প্রিয় তোমায় পায় নানান রূপে যখন দেখি মায়ের মত মুখে দু’গাল ভরে সোহাগ ছাপো কন্যা হয়ে বুকে কিশোর কালে কিশোরী হও বন্ধুর বেশে এসে ফাগুন মাসে আগুন হয়ে পোড়াও ভালোবেসে পোড়াও পোড় ভাঙো গড় সঙ্গী যখন আমি দু’য়ের মধ্যে এক'কে বলা যায় না মোটেও দামি দু'হাত ছাড়া কেউ যেহেতু কিচ্ছুটি নাই পারি এক হাত তার পুরুষ হলে অন্যটা ঠিক নারী।

বাবার বাবা

আলী হোসেনের ছড়া - বাবার বাবা এ সবই তার রেশ তোমার কাছে চাইবো কিছু এত সাহস কোথায় তবু তুমি বুঝতে পারতে চেয়ে চোখের তারায় চাইছি আমি কী তোমার বুকে বুক রাখলে বুকটা উঠতো ফুলে সব সংশয় শুকিয়ে যেত ঠোঁটটা ঠোঁটে ছুঁলে ভয়টা আবার কী! ফিরতে তোমার দেরি হলেই, বুকটা হত ভারী এপাশ ওপাশ ফিরেই শুধু নিদ্রা যেতো ছাড়ি বুঝতে পারি আজ তোমার বুকে পা তুলে দে জড়িয়ে তোমার গলা তোমার বুকে মুখটা গুঁজে ভয়কে ঝেড়ে ফেলা কত সহজ কাজ আমি এখন বুঝি সবই বোঝাই তাকে কত ছেলে আমার বলে এসব ছেলে-মানসি যত বুঝতে পারি বেশ আমার যখন বয়স ছিল আমার ছেলের মত এসব শুনে মন বলত দুর, 'আদিখ্যেতা যত' এ সবই তার রেশ ----------xx---------

মণিকানা

মণিকানা : লিখেছেন দুই বাংলার জনপ্রিয় ছড়াকার আলী হোসেন।  ভর-দুপুরে ছোটকা ছুটে বললো এসে, জানিস পুটে পণ করেছেন পরমহংস মরবে মাথাকূটে। ছোটকা বলে ছোট্ট করে ‘শোন কথা তোর মনটি ভরে পাঁচ শতকের দুঃখ এবার যাবেই বুঝি টুটে’ অবাক চোখে তাকায় পুটে কাক ঘুম তার গেল ছুটে প্রশ্ন করে ছোট্ট মুখেঃ ‘মসজিদ নয় মন্দির হলে দুঃখ মোদের যাবে টুটে? কেমন করে হয়? শুনে তোমার এসব কথা লাগছে আমার প্রাণে ব্যাথা এবং একটু ভয়। মন্দির বা মসজিদ হলে চটকল কি যাবে খুলে কাজ পাবেকি আমার ছোটমামা? ফুটপাতের ঐ ছোট্ট ছেলে শিদ কেটে যে গেল জেলে স্কুলে কি পারবে যেতে পরে রঙিন জামা? ছোটকা ফেলে ছোট্ট শ্বাস পালিয়ে যায় কাটিয়ে পাশ উত্তর এর নেই তো কিছু জানা বুঝতে পারে ছোটকা এবার ভুল ছিল তার ভাবায় সেবার চোখ থাকতে ছিলেন মণিকানা। ------------- ০৭/১০/২০০২ # পরমহংস দাস। ইনি রামমন্দির নির্মাণের দাবিতে আন্দোলনকারী তপস্বী ছাউনির মহন্ত। রামমন্দিরের দাবিতে আমরণ অনশনে বসেছিলেন।

কাশির বাঁশি

কাশির বাঁশি - আলী হোসেন কাশির শব্দ হাঁচির মত বাজছে সকাল সন্ধ্যা দক্ষিণ হওয়ায় ঠান্ডা ফেঁসে হঠাৎ হল বন্ধ্যা ঠান্ডা ছুটছে এলোমেলো ফেলছে গরম শ্বাস উচ্চ গলায় বলছে হেঁকে  লোভেই সর্বনাশ  মাথা এখন কাজ করেনা এদিক ওদিক চাই ডাইনে যেতে যেতেই আবার বাঁদিক চলে যাই  বন্ধু আমার বৃক্ষ দাদার শাসন ছিল চড়া যখন তখন বার হওয়াতে নিষেধ ছিল কড়া কিন্তু দেখো একটু ভেবে আমার কী দোষ ছিল নরবানর দাঁত খিঁচিয়ে ঘাড়টা মটকে দিল বৃক্ষ দাদার মাথায় ফেলে উন্নয়নের বাজ আমায় পঙ্গু করে দিল কঠিন হল কাজ ঠান্ডা আমি গরম হওয়ায়  পান পেয়ালা সাজাই আর হঠাৎ আমি গরম হলে কাশির বাঁশি বাজাই ------X------- পাঠকের মতামত দেখুন ফেসবুকে : এখানে ক্লিক করুন  👁️‍🗨️ লেখাটি প্রকাশিত হয়েছে (২৯/০১/২০২৩) দীনদর্পণ দৈনিকের সাহিত্যের পাতা ‘সাহিত্য দর্পণ’- এ। সরাসরি পত্রিকা পড়তে এখানে ক্লিক করুন

একলা হলে

একলা হলে - আলী হোসেন একলা হলে : আলী হোসেন  তুমি কি দেখবে খুলে ইমেল গেলে তোমার নামে তাতে কী শিশির ভেজা সুবাস আছে পাতায় মুড়ে ভেবো, একটু একলা হলে তুমি কি দেখবে খুলে দুচোখ মেলে তার বুকেতে লুকিয়ে রাখা সোহাগ মাখা টুকরো কথা  বুকটা জুড়ে ভেবো, একটু একলা হলে তুমি কি দেখবে খুলে মনের ভুলে তোমার নামে একমুঠো রোদ পাঠিয়ে ছিলাম সংগোপনে মাখবে বলে ভেবো, একটু একলা হলে তুমি কি অচিনপুরে ভর দুপুরে একলা থাকো আমায় ভেবে আজও কি আগুন রাঙা পলাশ ফোটে মন চাতালে  একলা হলে বোলো, একটু সময় পেলে তুমি কি সেই চাতালে মন মাতালে জলের মত আমায় ভেবে তুমি কি লিখবে ভুলে ইমেল খুলে সে সব কথা সময় পেলে ভেবো, একটু একলা হলে আমি তো বেশ ভাবতে পারি জাগতে পারি তোমায় ভেবে রাত্রি যেই পেখম মেলে নিশুতি হয় আগের মত  একলা হলে ভেবো, তুমিও সময় পেলে আমি তো বেশ থাকতে পারি চোখ ডুবিয়ে তোমার মেলে তুমি ঠিক লিখছো কিছু হাঁটছো পিছু আমায় ভেবে একলা হলে ভেবো, একটু সময় পেলে। ------------xx-----------