সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

পাপ মোচন

পাপ করেছো ভয় পেওনা এসো আমার দলে আমার আছে পাপ মোছানো কল যে করতলে এক ছোঁয়াতে পাপ মোছাবো আর এক ছোঁয়ায় খুন জয় সিহিরাম বললে মুখে ঘুষ নেওয়া হয় গুণ ঘুষ নিয়েছো বেশ করেছ এবার কাছে এসো ই-ডি সি-বি-আই জানো তো আমার বড় মেসো মেসোর আমার অনেক গুণ বললে শোনে কথা কথা আমার না শুনলে সে পায় যে ভীষণ ব্যাথা যা ইচ্ছা তাই করো এসো আমার পদতলে আমার হাতের জাদুতে পাপ নিত্য মোছা চলে। হাসছো বুঝি বুজঝো না তো খুঁজছো বুঝি বেসিন? জানোনা বুঝি কিনেছি কবেই পাপ মোছানো মেশিন!

মুষ্টি ওঠাও

কৃষক, ও কৃষি আন্দোলন ২০২০ সংক্রান্ত ছড়া। লিখেছেন জনপ্রিয় রাজনৈতিক ছড়াকার আলী হোসেন। কৃষক তুমি মুষ্টি ওঠাও সঙ্গে আছি আমরা তুমি আমার অন্নদাতা তুমিই জীবন ভোমরা কৃষক তুমি মুষ্টি ওঠাও সঙ্গে সারা দেশ তোমার মুঠো-শক্তি বোঝে পুঁজির ছদ্মবেশ কৃষক তুমি মুষ্টি ওঠাও বলছে মাঝিমাল্লা পুঁজির ফোঁড়ে হারবে ভারী হবে তোমার পাল্লা কৃষক তুমি মুষ্টি ওঠাও সঙ্গে শ্রমিক সেনা পুঁজির ফড়ে বুঝুক তোমায় যায়না কেন কেনা কৃষক তুমি মুষ্টি ওঠাও সঙ্গে ছাত্র-যুব তারাও বোঝে শাসক-পুঁজির সঙ্গ হয়না শুভ কৃষক তুমি মুষ্টি ওঠাও আমরা আছি সঙ্গে তোমার যারা শত্রু তারা বিফল হবে বঙ্গে। কৃষক তুমি মুষ্টি ওঠাও জয়ী হবে তুমি তোমার সঙ্গে সবাই আছে গড়তে স্বপ্ন ভূমি কৃষক আন্দোলন বিষয়ক ছড়া আরও ছড়া : ঘামের গাথা ঘাম কথা মুষ্টি ওঠাও

ঘামকথা

ঘামকথা : আলী হোসেন আলী হোসেনের কৃষক আন্দোলন বিষয়ক ছড়া খাওয়াও তুমি পাওনা খেতে, এটাই তোমার দেশ তোমার আকাশ তোমার ভুবাস তোমার ঘামের গন্ধ-সুবাস নেয় শুষে যার ঝরে না ঘাম রোদে পোড়ার দেয় না যে দাম রক্ত শুষতে বানায় কানুন, তারা ধরেন ছদ্মবেশ। এই কানুন কী মানবে তুমি, মুষ্টি ওঠাও গুনতে তোমার ঘামের মূল্য যত শুধতে হবে এ ঋণ তত বানিয়ে তোমায় দাবার বোড়ে ভাগ না বসায় পুঁজির ফড়ে বিক্রি হয় না ঘামকথা, তা বাধ্য করো শুনতে। দেখুন ফেসবুকে। এখানে ক্লিক করুন দেখুন YourQute এ। কৃষক আন্দোলন বিষয়ক ছড়া আরও ছড়া : ঘামের গাথা ঘাম কথা মুষ্টি ওঠাও

ইদের গান - ১

ইদের গান - ১, - আলী হোসেন  শিমুল তলার ছোট্ট শিমুল গান ধরেছে আজ ঈদের দিনে খেলবো শুধু রাখবো নাতো কাজ আমার সাথে খেলবে খেলা দেখবে ঘুরে ঈদের মেলা ঠাকুর বাড়ির তপন তরুণ পণ করেছে আজ পাল্লা দিয়ে সিমাই খাবে, হালিম খাবে রাজ। ধূপ-ধুনোরই পুজোর বাতাস আতর মেখে আজ নাচছে দেখ মিলন মেলায়, গাইছে গলায় নাজ এসব দেখে ময়না পাখি বলছে বসে কেমনে থাকি দোয়েল কোয়েল আয় আয়েশা সাজাই নতুন সাজ মিলনগীতির তফান তুলে বানাই মহল তাজ। দেখুন ফেসবুক এ এখানে ক্লিক করে  দেখুন YourQuate এ এখানে ক্লিক করে  দেখুন ফেসবুক এ : এখানে ক্লিক করুন 

মোদিরায় মজে মন। আলী হোসেন

আলী হোসেনের কবিতা - মদিরায় মজে মন কালোবাজারি রুখবো বলে গদির দখল নিলে গদি পেয়েই সব চাবি আজ তাদের হাতেই দিলে               মজায় আছো বেশ। এসব তুমি করছো যা তা বুঝছে না এই ভক্ত বেচছো জমি এবং জোয়াল রাখছো চোয়াল শক্ত                দেখছে সবই দেশ। তুমি ধর্মাফিম মাথায় ঢেলে ছাড়ছো সকাল সাঁঝে বিভেদ বাঁশি বাজিয়ে ভক্ত থাকছে তোমার পাশে                 আহ্লাদীতো বেশ। মিথ্যা তোমার প্রাণের দোসর পুঁজির হাতের ফুল তোমার মাথার মুকুট রাজা ঢাকছে তোমার ভুল              মানুষ দেখছে শেষ। সময় কারও বাপের তো নয় করবে তালায় বন্দি সময় ঝড়ে উড়বে তোমার মানুষ মারার ফন্দি               জাগছে দেখো দেশ। আছে যারা আফিম-মোডে মোদিরায় মজে মন জাগবে তারা অগ্নি-মোডে বলছি রাজা শোন                 হবেই রাতের শেষ। দেখুন ফেসবুকের পাতায় : এখানে ক্লিক করুন

কোন ঈশ্বরের নির্দেশ?

মানুষে মানুষে বিদ্বেষ কোন ঈশ্বরের নির্দেশ?

অলীক স্বর্ণকার

মনের ঘরে আলো আসুক মানুষ শুধু ভালোবাসুক চাই, আলোর মেলায় মুছুক অন্ধকার খুশির বন্যা ভাসিয়ে ঠিক মনের যত মলিন দিক জানি, ভাঙবে দেওয়াল অলীক স্বর্ণকার প্রসঙ্গ জানতে এখানে ক্লিক করুন

খুব, লাগছে চেনা চেনা

খুব, লাগছে চেনা চেনা ভাবছি সঠিক কিনা হাবড়ার ভিতর ধর্ম-পুরে থাকছো যেন দূরে দূরে! সেকি, শুধুই চোখের ভুলে? চেষ্টা করছি পারছিনা সংশয় দূরে সরছে না যায় কি বলা খুলে ভাবনা ভরা ভুলে নাকি, আছি সঠিক কুলে? উৎস দেখুন এখানে ক্লিক করে

রাজা রানির গোপন বাণী

বলছি আমি মনের কথা জানি বন্ধু জানি একজন হল মগের রাজা অন্যজন তার রানি। রাজার হাতে রাজদণ্ড রানির হাতে ফুল, ধান্দায় কেউ কম যায় না আমরা করি ভুল। উৎস জানতে এখানে ক্লিক করুন

করোনা ও হাসি

Sandip Chatterjee  করোনার যেদিন করুণা হবে ততদিন হাসি ছবিতে রবে। পাশাপাশি বসে হাসাহাসি তাই এই মুহূর্তে তার অনুমতি নাই।

করোনা : শাসক-শাসিত কথা

করোনার কারণেই, শাসকের পৌষ-মাস মাস আসে মাস যায় কাজিতে না কাজ পায় হাভাতের হাঁড়িতেই ঘন কালো কালিতেই লেখে রাজা কপালে শাসিতের সর্বনাশ। শাসকের শাসনে, পুঁজি ভাসে ভাষণে কাঙালের শ্বাস বেঁধে রাজা যায় নাকী কেঁদে কাঙালের নামা গায় পুঁজি-সেবায় বসে যায় কৃষকের ঘামে ভেজা পাঁজরের আসনে। দেখুন ফেসবুকে

ভুলের মাসুল

সকাল থেকে সন্ধ্যে কাটছে ভালো-মন্দে শ্যাম রাখি না কুল করে ফেলি ভুল ভুলের মাশুল দিতে কাঁপছি কঠিন শীতে ভুলের মাশুল দিতে আমার সকাল হল সন্ধ্যে কলকাতার পরেরদিন সকাল 

এদেশ ভরা মানুষ চাই

◾এদেশ ভরা মানুষ চাই ◾ আলী হোসেন একশ বছর আয়ু দেবে? সোনায় মোড়া ভাগ্য তাও! এসব আমার চাইনা কিছু, এদেশ ভরা মানুষ চাই, তুমি আছো, ব'লে সবাই তিলক টুপি মাথায় নেয় আমি শুধু বলি তোমায়, মানুষ ছাড়া চাওয়ার নাই। সন্ধ্যা নামে আজান শাঁখে জোনাক জ্বলে আঁধার ছায় আমি শুধু বাজাই বাঁশি, মানুষ পাওয়ার আশায় তাই, ডাকলে পাবো হুরী পরী? অপ্সরা বা যা চাই তাই! বেহেস্ত-স্বর্গে চাইনা এসব, এদেশ ভরা মানুষ চাই। আমায় দেবে শোনার হরিণ? আসমানী চাঁদ হাতে তাই! এসব আমার চাইনা কিছুই, মানুষ গড়ার মন্ত্র চাই, মুখে নিয়ে বেহেস্ত-বাঁশি শোনাও আমায় স্বর্গসুর স্বর্গ আমার এদেশ ভূমি, এদেশেতেই বাঁচতে চাই। এই বাংলাই স্বর্গ আমার এদেশ আমার বেহেস্ত তাই এদেশ ছেড়ে চাইনা যেতে, এদেশেতেই মরতে চাই, পারবে তুমি এ অধিকার সর্বজনীন করতে সাঁই? তবেই জেনো বলবে সবাই, তুমি ছাড়া মাবুদ নাই। -----------xx--------- ১৪/০৮/২০২০

বসন্ত সংলাপ

আসুক এদিন ঘুরে ঘুরে সময় কাটুক সুরে সুরে।           হৃদয়ের ছন্দপুরে                           আসুক বসন্ত।                             হৃদয়ের ছন্দে সুরে দোলা দিক হৃদয়পুরে           ভালোবাসায় উঠুক ভরে                           সময় অনন্ত Happy Birthday 🎁🎉🎂 সোমা।

ইদের খুশি

ইদের সকাল রোদ ঝলমল খুশির হাওয়া বইছে ইদের খুশি তার সাথে তাই দারুণ বেগে বইছে... --- এই খুশি আপনাকেও / তোমাকেও ছুঁয়ে যাক। ২৯/০৭/২০১৪ ◾উৎস দেখুন এখানে ক্লিক করুন

আলী হোসেনের জনপ্রিয় ছড়াগুলো পড়ুন

সাগরের জল

সাগরের জল শুকায় না তাই দিলে কয়েক ফোঁটা তাতেই আঁচল ভরলো মায়ের হল সূর্য শুরু ওঠা সেই জলেতেই ভিজলো কুঁড়ি ফুটলো মুখে কথা সেই কথাতেই লিখি এখন সকাল-সাঁঝের গাথা গাথার পাহাড় তোমায় নিয়ে তুমি প্রাণের নাগর তোমার জলেই সিক্ত মধু সেচেন সিন্ধু সাগর সেই সাগরের মুক্ত এখন জ্বালায় দেখি আলো সেই আলোতে রাঙিয়ে ওঠে মায়ের সিঁথির লালও তোমার জলের জোয়ার যখন গর্জায় বারংবার সেই জোয়ারে গুঁড়িয়ে যে যায় সাদার অহংকার সে অহংকার তোমার সাজে গর্জে ওঠে স্বর মায়ের ডাকে শুকায় দেখি মাতাল দামোদর সাগর জলেই মেশে যেমন ময়লা জলের ধারা তারই বুকে আছড়ে পড়ে হয় সে বাঁধন হারা তেমন করেই তোমার বুকের ঠিকরে এলো আলো তোমার জন্য আঁধার গুলোও আলোয় ধুঁয়ে গেলো সেই আলো আজ নিভুনিভু আঁধার ঢাকছে ঘর সেই আঁধারের গেরুয়া বাতি করছে আপন পর এসব তুমি দেখছো কি আজ বলো উচ্চ করে শির যে-শির তোমার চেনায় আজও তুমি বিদ্যাসাগর বীর ------- দেখুন ফেসবুকে : এখানে ক্লিক করুন

শরৎ গাথা

শরৎগাথা: ছড়াকার আলী হোসেনের দুই বাংলার জনপ্রিয় ছড়া  ্র আকাশ কালো মেঘের ভেলা সকাল কিম্বা সন্ধ্যাবেলা চলছে দেখ বকের পাখায় ভেসে, দিচ্ছে পাড়ি               এদেশ ছাড়ি অচিন দেশে মামার বাড়ি যেই-খানেতে, আকাশ মাটি মেশে। আকাশ মাটির মনের কথা জল করেছে বুকের ব্যথা মুখের কালো দূর করেছে বেশ, ভাদ্র এসে                 ভদ্র বেশে আশ্বিন তার সঙ্গে মেশে শিউলি-কাশে ভরিয়ে দিল দেশ। শরৎ এলো হাওয়ায় ভেসে শিশির তারই সঙ্গে মেশে ঘাসের ডগায় রুপোর নাকের ফুল শরৎ আনে                    নতুন মানে দোয়েল শ্যামার নতুন গানে বাবুই বোনে নতুন কানের দুল কমতে থাকা বিলের জলে ডাকপাখিরা হেঁটে চলে পানকৌড়ি ডুবমারে মাছ ধরতে, এমন মাসে                 দুর্গা আসে লক্ষ্য থাকে অসুর নাশে মুর্খ চোরা মর্তে আসে মরতে। উৎস : বাংলা সাহিত্য উৎস : বাংলা সাহিত্য

চোখ-কান-মন শোনে তিনজন

চোখ-কান-মন শোনে তিনজন : জনপ্রিয় ছড়াকার আলী হোসেনের একটি জনপ্রিয় ছড়া।  দেখছো তুমি, দেখছি আমি, দেখছি সকল সময় দেখছে সবাই, যা হয় তা-ই কেবল, আমিই দেখছি নাই কারণ কী তা খুঁজতে গিয়ে হোঁচট শুধুই খাই কী তার কারণ, অবশেষে বললে খাদেম ভাই চোখের সাথে কান ছিল না সঙ্গে ভোলা মন ছিল না চোখ-কান-মন দেখে তিন-জন মানছি না সব-সময়। শুনছো তুমি, শুনছি আমি,  শুনতে কান তো চাই-ই আমার সাথে শোনে খাদেম সঙ্গে শোনায় ন-ভাই হাতেম সে গজল মাঝে গাইলো খেয়াল খেয়াল করি নাই কারণ কী তা খুঁজতে গিয়ে আবার হোঁচট খাই কী তার কারণ, নেই যে বারণ খাদেম শোনায় গহীন কারণ চোখ-কান-মন শোনে তিন-জন, মোটেও মানো নাই। চোখ ছিল ঠিক, কান ছিল তাও, তবুও বুঝি নাই বোঝার জন্য মন দিয়েছি সঙ্গে শোনার ভান করেছি সবাই বুঝলো, মেঘ করলেও বৃষ্টি কেন নাই আমি কেন বুঝতে  কেবল শুধুই হোঁচট খাই খাদেম বলে শুনতে চাও মনের সাথে কানকে নাও চোখ-কান-মন বোঝে তিনজন, মোটেও ভুলতে নাই। ---------x---------- 📖 এবিষয়ে আরও পড়ুন : চোখ কান মন দেখে তিনজন পাঠকের প্রতিক্রিয়া ফেসবুকে দেখুন 👉👉দুই বাংলার জনপ্রিয় ছড়াকার আলী হোসেনের আরও ছড়া পড়ার জন্য নিচের লিঙ্কে ক্লিক করুন। ১)  প্রকৃ

চকলেট ও খোকা

চকোলেট খেলেই জেনো, দাঁতে ধরবে পোকা শুনে কথা মনের ব্যথা ভীষণ গেল বেড়ে মায়ের উপর ভীষণ রেগে কাঁদলো গলা ছেড়ে ভাবলো খোকন বোঝেনা মা, এক্কেবারে বোকা। চকলেটে মা কী আছে গুন, বোঝেনা কেউ যেন সেকেলে সব ভাবনা ভেবে শুধুই চলে বকে গুণের খবর রাখেনা তাই মরছি আমি শোকে মায়ের প্রশ্ন বোঝাই তবু, বোঝেনা খোকা কেন? উৎস : ড্রাইভ , YourQuote 24/10/2017

মজার মানুষ

মজার মানুষ :  ছড়াকার আলী হোসেনের একটি অনবদ্য রাজনৈতিক ছড়া।  মজার দেশে আছি আমি ভাবতে মজা লাগে হাভাতেরা ফসল ফলায় লুটেরা নিয়ে ভাগে ফলায় যারা পায়না তারা পেট ভরেনা তাদের আমরা খেয়ে উদর ভরি যোগ্যতা নেই যাদের  ওদের আছে গতর কিন্তু বুদ্ধি ভীষণ মোটা ভাই ভাইয়ের মাথা ফাটায় নিয়ে লাঠিসোটা আমি যখন হেঁকে বলি, কান নিয়ে গেল চিলে কানে হাত না দিয়েই বেটা ভাইটাকে খায় গিলে  মধু খাবো বলে যখন ঢিল ছুড়ি মৌচাকে বোকার বেটা লাফ দিয়ে খায় মাছির কামড়টাকে বাজি রেখে বউটাকে সে ধর্ম রক্ষায় ছোটে দুবেলা ভাত জোটেনা কেন ভুলেই খাটে ভোটে ধর্মের নামে যমের দড়ি গলায় পরে তাই আমিই শত্রু ভুলে গিয়ে ভাইকে মারে ভাই  -----------##---------- প্রকাশিত, বাংলাদেশ থেকে। 07/04/2018  4:35 পিএম

নারী

নারী আলী হোসেন নানান রূপে দেখাও দেখি চিনতে তবু পারি রংধনু রং মেখে তুমি স্বপ্ন দেখাও ভারী নানান রূপে সামনে এসে আগলে রাখো যেই ভাবতে পারি মায়ের এরূপ তুলনা যার নেই দুঃখ সুখের ঘরে যখন বিষম বাতাস বায় পালের মত হালের পাশে প্রিয় তোমায় পায় নানান রূপে যখন দেখি মায়ের মত মুখে দু’গাল ভরে সোহাগ ছাপো কন্যা হয়ে বুকে কিশোর কালে কিশোরী হও বন্ধুর বেশে এসে ফাগুন মাসে আগুন হয়ে পোড়াও ভালোবেসে পোড়াও পোড় ভাঙো গড় সঙ্গী যখন আমি দু’য়ের মধ্যে এক'কে বলা যায় না মোটেও দামি দু'হাত ছাড়া কেউ যেহেতু কিচ্ছুটি নাই পারি এক হাত তার পুরুষ হলে অন্যটা ঠিক নারী।

বাবার বাবা

আলী হোসেনের ছড়া - বাবার বাবা এ সবই তার রেশ তোমার কাছে চাইবো কিছু এত সাহস কোথায় তবু তুমি বুঝতে পারতে চেয়ে চোখের তারায় চাইছি আমি কী তোমার বুকে বুক রাখলে বুকটা উঠতো ফুলে সব সংশয় শুকিয়ে যেত ঠোঁটটা ঠোঁটে ছুঁলে ভয়টা আবার কী! ফিরতে তোমার দেরি হলেই, বুকটা হত ভারী এপাশ ওপাশ ফিরেই শুধু নিদ্রা যেতো ছাড়ি বুঝতে পারি আজ তোমার বুকে পা তুলে দে জড়িয়ে তোমার গলা তোমার বুকে মুখটা গুঁজে ভয়কে ঝেড়ে ফেলা কত সহজ কাজ আমি এখন বুঝি সবই বোঝাই তাকে কত ছেলে আমার বলে এসব ছেলে-মানসি যত বুঝতে পারি বেশ আমার যখন বয়স ছিল আমার ছেলের মত এসব শুনে মন বলত দুর, 'আদিখ্যেতা যত' এ সবই তার রেশ ----------xx---------

হিমুর সহজপাঠ

হিমুর সহজপাঠ আলী হোসেনের ছড়া : হিমুর সহজপাঠ  অ  অমল বানায় নতুন বাড়ি, আজিজ গাঁথে ইট সেই বাড়িতে কে উঁকি দেয়, সুতোয় দিতে গিঁট আ  আকাশ বলে হেসে হেসে, শোনরে বোকা আলী মশলায় রাজা মেশায় জানিস দ্বেষ মেশানো বালি ই ইদের সিমাই যখন নিমাই মনের সুখে খায় বুক ভরে যায় কাসেম শেখের রাজায় আঁড়ে চায় ঈ ঈশ্বর হাসে এসব দেখে মানুষ বেজায় বোকা বোঝে না সে আমার নামে শয়তানে দেয় ধোঁকা উ উড়ে এসে বিভেদ বাড়ায় সব শোষকের ভাই মানুষ কবে বুঝবি তোদের পৃথক করি নাই ঊ ঊনিশ বিশে ধানের শীষে মোহর ধরায় যারা ধর্মের ষাঁড় গোলায় ভরে, পায় না খাটে যারা ঋ ঋষি মশাই শোনায় শমন, ধর্মেতে নেই মতি জাহান্নাম আর নরক যে তোর করবে ভীষণ ক্ষতি এ এক্কা গাড়ি দেবে ছাড়ি চড়বে হওয়াই গাড়ি ধর্ম রক্ষায় ক্ষুদ্র জীবন যারাই দেবেন ছাড়ি ঐ ঐ দেখা যায় শত্রু তোমার, খড়গ তুলে ধরো জীবন যদি যায় তবে যাক, ধর্ম রক্ষা করো ও ওই দেখা যায় স্বর্গ তোমার বৃথাই খোঁজো সুখ ধর্ম শত্রুই আসল শত্রু, মারলেই ঘোঁচে দুখ  ঔ ঔষধ পত্র ছেলের শিক্ষা কিম্বা মেয়ের বিয়ে এসব কিছুই তুচ্ছ দেখো ধর্মেতে মন দিয়ে ক কমল কাকুর মন ভরে যায়, গোলাম আলীর গানে বোঝায় রাজা জাত যাব

মণিকানা

মণিকানা : লিখেছেন দুই বাংলার জনপ্রিয় ছড়াকার আলী হোসেন।  ভর-দুপুরে ছোটকা ছুটে বললো এসে, জানিস পুটে পণ করেছেন পরমহংস মরবে মাথাকূটে। ছোটকা বলে ছোট্ট করে ‘শোন কথা তোর মনটি ভরে পাঁচ শতকের দুঃখ এবার যাবেই বুঝি টুটে’ অবাক চোখে তাকায় পুটে কাক ঘুম তার গেল ছুটে প্রশ্ন করে ছোট্ট মুখেঃ ‘মসজিদ নয় মন্দির হলে দুঃখ মোদের যাবে টুটে? কেমন করে হয়? শুনে তোমার এসব কথা লাগছে আমার প্রাণে ব্যাথা এবং একটু ভয়। মন্দির বা মসজিদ হলে চটকল কি যাবে খুলে কাজ পাবেকি আমার ছোটমামা? ফুটপাতের ঐ ছোট্ট ছেলে শিদ কেটে যে গেল জেলে স্কুলে কি পারবে যেতে পরে রঙিন জামা? ছোটকা ফেলে ছোট্ট শ্বাস পালিয়ে যায় কাটিয়ে পাশ উত্তর এর নেই তো কিছু জানা বুঝতে পারে ছোটকা এবার ভুল ছিল তার ভাবায় সেবার চোখ থাকতে ছিলেন মণিকানা। ------------- ০৭/১০/২০০২ # পরমহংস দাস। ইনি রামমন্দির নির্মাণের দাবিতে আন্দোলনকারী তপস্বী ছাউনির মহন্ত। রামমন্দিরের দাবিতে আমরণ অনশনে বসেছিলেন।

কাশির বাঁশি

কাশির বাঁশি - আলী হোসেন কাশির শব্দ হাঁচির মত বাজছে সকাল সন্ধ্যা দক্ষিণ হওয়ায় ঠান্ডা ফেঁসে হঠাৎ হল বন্ধ্যা ঠান্ডা ছুটছে এলোমেলো ফেলছে গরম শ্বাস উচ্চ গলায় বলছে হেঁকে  লোভেই সর্বনাশ  মাথা এখন কাজ করেনা এদিক ওদিক চাই ডাইনে যেতে যেতেই আবার বাঁদিক চলে যাই  বন্ধু আমার বৃক্ষ দাদার শাসন ছিল চড়া যখন তখন বার হওয়াতে নিষেধ ছিল কড়া কিন্তু দেখো একটু ভেবে আমার কী দোষ ছিল নরবানর দাঁত খিঁচিয়ে ঘাড়টা মটকে দিল বৃক্ষ দাদার মাথায় ফেলে উন্নয়নের বাজ আমায় পঙ্গু করে দিল কঠিন হল কাজ ঠান্ডা আমি গরম হওয়ায়  পান পেয়ালা সাজাই আর হঠাৎ আমি গরম হলে কাশির বাঁশি বাজাই ------X------- পাঠকের মতামত দেখুন ফেসবুকে : এখানে ক্লিক করুন  👁️‍🗨️ লেখাটি প্রকাশিত হয়েছে (২৯/০১/২০২৩) দীনদর্পণ দৈনিকের সাহিত্যের পাতা ‘সাহিত্য দর্পণ’- এ। সরাসরি পত্রিকা পড়তে এখানে ক্লিক করুন