সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

করোনা ও হাসি

Sandip Chatterjee  করোনার যেদিন করুণা হবে ততদিন হাসি ছবিতে রবে। পাশাপাশি বসে হাসাহাসি তাই এই মুহূর্তে তার অনুমতি নাই।

করোনা : শাসক-শাসিত কথা

করোনার কারণেই, শাসকের পৌষ-মাস মাস আসে মাস যায় কাজিতে না কাজ পায় হাভাতের হাঁড়িতেই ঘন কালো কালিতেই লেখে রাজা কপালে শাসিতের সর্বনাশ। শাসকের শাসনে, পুঁজি ভাসে ভাষণে কাঙালের শ্বাস বেঁধে রাজা যায় নাকী কেঁদে কাঙালের নামা গায় পুঁজি-সেবায় বসে যায় কৃষকের ঘামে ভেজা পাঁজরের আসনে। দেখুন ফেসবুকে

ভুলের মাসুল

সকাল থেকে সন্ধ্যে কাটছে ভালো-মন্দে শ্যাম রাখি না কুল করে ফেলি ভুল ভুলের মাশুল দিতে কাঁপছি কঠিন শীতে ভুলের মাশুল দিতে আমার সকাল হল সন্ধ্যে কলকাতার পরেরদিন সকাল 

এদেশ ভরা মানুষ চাই

◾এদেশ ভরা মানুষ চাই ◾ আলী হোসেন একশ বছর আয়ু দেবে? সোনায় মোড়া ভাগ্য তাও! এসব আমার চাইনা কিছু, এদেশ ভরা মানুষ চাই, তুমি আছো, ব'লে সবাই তিলক টুপি মাথায় নেয় আমি শুধু বলি তোমায়, মানুষ ছাড়া চাওয়ার নাই। সন্ধ্যা নামে আজান শাঁখে জোনাক জ্বলে আঁধার ছায় আমি শুধু বাজাই বাঁশি, মানুষ পাওয়ার আশায় তাই, ডাকলে পাবো হুরী পরী? অপ্সরা বা যা চাই তাই! বেহেস্ত-স্বর্গে চাইনা এসব, এদেশ ভরা মানুষ চাই। আমায় দেবে শোনার হরিণ? আসমানী চাঁদ হাতে তাই! এসব আমার চাইনা কিছুই, মানুষ গড়ার মন্ত্র চাই, মুখে নিয়ে বেহেস্ত-বাঁশি শোনাও আমায় স্বর্গসুর স্বর্গ আমার এদেশ ভূমি, এদেশেতেই বাঁচতে চাই। এই বাংলাই স্বর্গ আমার এদেশ আমার বেহেস্ত তাই এদেশ ছেড়ে চাইনা যেতে, এদেশেতেই মরতে চাই, পারবে তুমি এ অধিকার সর্বজনীন করতে সাঁই? তবেই জেনো বলবে সবাই, তুমি ছাড়া মাবুদ নাই। -----------xx--------- ১৪/০৮/২০২০

বসন্ত সংলাপ

আসুক এদিন ঘুরে ঘুরে সময় কাটুক সুরে সুরে।           হৃদয়ের ছন্দপুরে                           আসুক বসন্ত।                             হৃদয়ের ছন্দে সুরে দোলা দিক হৃদয়পুরে           ভালোবাসায় উঠুক ভরে                           সময় অনন্ত Happy Birthday 🎁🎉🎂 সোমা।

ইদের খুশি

ইদের সকাল রোদ ঝলমল খুশির হাওয়া বইছে ইদের খুশি তার সাথে তাই দারুণ বেগে বইছে... --- এই খুশি আপনাকেও / তোমাকেও ছুঁয়ে যাক। ২৯/০৭/২০১৪

গণতন্ত্র বনাম ধনতন্ত্র

গণতন্ত্র : জনপ্রিয় রাজনৈতিক ছড়াকার আলী হোসেনের একটি অনবদ্য রাজনৈতিক ছড়া।  ধনিকের মন্ত্র নাম ধনতন্ত্র। নতুন পোশাক পরে পথে পথে ফেরি করে            সে ধর্মের নামাবলি গায়, কাছে এসে পাশে বসে স্বর্গের তারা এসে           হাভাতের হাতে দিয়ে যায়। ধনিকের যন্ত্র নাম গণতন্ত্র। নতুন পোশাক পরে আমার মনের দোরে             কড়া নেড়ে যায়, ধণতন্ত্রই এসে গণতন্ত্রের বেশে             ধোঁকা দিয়ে যায় ধনিকের তন্ত্র নাম ধনতন্ত্র। আমি ভাবি সুখে আছি স্বর্গের কাছাকাছি             ধর্মের আফিমেই খুঁজি, রোদে জলে ঘেমে-নেয়ে আফিমের বুটি খেয়ে              ধনিকের তন্ত্রেই পুজি       ----------–#----------

রাজনীতির রোজনামচা

সকাল বিকাল সন্ধ্যে, কেন থাকবে মন ধন্দে দেশের মাথা হবে নিচু বললে প্রজা এমন কিছু জেলের ঘানি টানবে নিয়ম তারা নেতায় যদি করবে এমন শুনবে প্রজা যেমন তেমন বলবেই না কোনো কথা, দেশের ভালো মন্দে দেশের ভালো মন্দ, কেন থাকবে মনে দ্বন্দ্ব দেশের ক্ষতি হবে কোন করলে কাজ এমন কোন জামিন পেতেই জীবন যাবে মারা নেতায় যদি করে এমন কেঁদে ভাসায় মায়ে যেমন তেমন করে কাঁদবে প্রজা, থাকবে কেন সন্দ কাঁদবে প্রজা কাঁদবে, কেন থাকবে তাতে সন্দ নেতার জন্য জীবন দিয়ে ফাঁসির দড়ি গলায় নিয়ে দেখি নেতার গদি পাক্কা করে যারা পথের ধারে শহিদ-স্মৃতি পিছিয়ে পড়া মানুষ-কৃতী হবেই হবে জানবে মানুষ, বলবে কেন মন্দ উৎস জানতে এখানে ক্লিক করুন

পেটের পাঁচালি

আলী হোসেন : পেটের পাঁচালী  মন ভালো নেই, নেই ভালো কেউ যেমন ছিলাম আগে, এমন ভাবে ভাবতে এখন ভীষণ একা লাগে। আমের চেয়ে কাঠাল ভালো স্বাদে দারুণ মিষ্টি, মন ভরে যেই খেলাম অনেক পেট বলে অনাসৃষ্টি। মনের টানে টান পড়েছে পেট বলে আর না, চোখের খিদেয় স্বাদ মেটেনা পেট বলে তার না। দাদার চেয়ে দিদি ভালো মন বলেছে ভাই, দিদির কোলে বিষম খেয়ে গান ধরেছি তাই। মনের সাথে মন মেলে না পেটের কথা বাদ, দিদির কোলে দু-হাত তুলে প্রাণ ভরে তাই কাঁদ। উৎস জানতে এখানে ক্লিক করুন

আঁট জুব্বার

◾আঁট জুব্বার ◾আলী হোসেন ছিঁচকে চোরে সিদ কেটেছে আমায় বেঁধে রেখে ছাপোষা তাই ভয় পেয়েছি সেই চোরকে দেখে আঁট-জুব্বার মালকোঁচা দেয় ঝাঁপায় যেন বাঘ একবার কেন বললি না তুই আমায় চিনে রাখ ভয় কেন পাস আমি আছি বনের সিংহ রাজ কোন দিকে সে গেলো এখন দেখেই নেবো আজ এদিক থেকে ওদিকে মাপ ছাতিতে ছাপ্পান্ন ইঞ্চি দেখে কাঁপবে ডাকাত পাক চিনাদের সৈন্য ভাবছি আমি ভাবছে সবাই ভুল করেছি বটে ভয় পেয়েছি বৃথাই আমি বুদ্ধি নেই যে ঘটে এখন সময় হুলো বিড়াল মিয়াও করল যেই এদিক-ওদিক তাকিয়ে দেখি আঁট-জুব্বার নেই এদিক খুঁজি ওদিক খুঁজি এখন করি কি যে! আঁট-জুব্বার লুকিয়ে দেখি আছে খাটের নিচে ---------////------- ফেসবুক দেখুন

ইদ করোনা

ইদের সকাল আজ এসেছে আঁধার নিয়ে মাঝে অন্য সুখে, ইদগাহ আজ থাকবে ফাঁকা সকাল থেকে সাঁঝে শুন্য বুকে। শুন্য বুকে টান ধরেছে দেখি সময় ক'রে মান শূন্য মনে, গোদের ওপর বিষফোঁড়া সে করোনা আমফান এ দুর্জনে। কোলাকুলি নয় খোলাখুলি সময় বলছে আজ শোনো ভাই, মনে সবার মন মিশিয়ে দাঁড়া শিকেয় তুলে সাজ এটাই চাই। মন দিয়ে মন কাছে এসো তুমি দুহাত দূরে তাদের পাশাপাশি, হাত সরিয়ে ঈদের খুশির ভাগ বিলিয়ে হও ওদের মুখের হাসি। বুকে বুকে বুক মেলানোর খুশি বিলিয়ে দিয়ে সুখ ওদের ঘরে কাছে আসি তুমি এবং আমি বাঁধতে ভাঙা বুক নিঃস্ব ক'রে। দেখুন ফেসবুকে এখানে ক্লিক করে

কোলের গন্ধ

মা-কে নিয়ে ছড়া : কোলের গন্ধ  তুমি যখন ভয় পেয়ে যাও আর বুঝি বাঁচবে না কষ্টে আমার এ মন ভাসে দু'চোখ ভরে শ্রাবণ আসে বুঝতে পারি তোমার বুকের বেড়ে ওঠা সবুজ সুখের কোলের গন্ধে এ মন বুঝি আর কখনো নাচবে না এ মন তোমার প্রাণের কোঠর আগলে রাখো কেন? সাগর মাঝে ঝিনুক যেমন আগলে রাখে মুক্ত তেমন তেমন করে স্মৃতির পাতায় আগলে রাখো হলুদ খাতায় দাগ রেখে যাও ভালোবাসার ক্ষয় ধরে না যেন। হাসো আকাশ গাঙে এ দাগ রেখে হয়ে অণিমা তোমার হাসির অসীম সুরে বাঁচছি আমি অচিনপুরে সুর তুলে যাই তোমার মাঝে স্বপ্ন দেখি সকাল সাঁঝে তোমার কোলের গন্ধ আছে ভয় কী আমার মা?               ------------------ 'অণিমা' কথার অর্থ এখানে

পারের কড়ি

পারের কড়ি লিখেছেন ছড়াকার আলী হোসেন ছড়া : পারের কড়ি। ছড়াকার - আলী হোসেন  রবি মনের আকাশ গাঙে ঠাকুর সবার কাছে রবির কিরণ ছাড়া কি কেউ এক মুহূর্তও বাঁচে? রবির কিরণ ছাড়া যেমন শূন্য জীবন ধারা রবির কলম বিনা তেমন বিশ্ব বাংলা ছাড়া সবার জীবন বোধের গায়ে রবির কিরণ লেগে কাঙাল হল বিশ্ব বাঙাল উঠল জগৎ জেগে সকাল সাঝে নিত্য-কাজে সংশয়ে সংকটে প্রেম বিরহেও ভরসা রবি পারের কড়িও বটে। -------- ৩) পাঠকের মতাম : দেখুন ফেসবুক এ এখানে ক্লিক করুন ২) দেখুন Your Quote -এ এখানে ক্লিক করুন ১) পাঠকের মতামত : দেখুন ফেসবুকের পাতায় রবীন্দ্রনাথ সংক্রান্ত অরও লেখা : 📖 পারের কড়ি 👈 আপনি এখন এখানে 📖  নতুন পথের বাঁকে 📖  বাইশে শ্রাবণ রবীন্দ্রনাথের একশো পঁয়তাল্লিশ-তম জন্ম-উৎসব উপলক্ষ্যে রচনা। 16-Apr-09 Ali Hossain H/O : Asraf Ali Naskar Brahmapur, Battala Bazar, (Near Post Office) Kolkata 700096

ঘামের গাথা

ঘামের গাথা : আলী হোসেন একটি রাজনৈতিক ছড়া  ঘামের স্রোতে কাটছি সাঁতার সকাল থেকে সন্ধ্যা স্রোতের বাজার মন্দা হলেই সভ্যতা হয় বন্ধ্যা সেই বাজারে খাটছি আমি খাটায় তোমার মানা তবু, তোমার চেয়ে দামি আমি মানতে তোমার মানা এমন কেন দেশের আইন বলতে পারো কেউ এর প্রতিবাদ করলে কেন পিছনে পায় ফেউ ফেউয়ের ডাকে শোষক জাগে শ্রমের সর্বনাশ বুক ফেটে যায় ভীষণ গ্রীষ্মে শ্বাস করে হাসফাঁস জানি জানি সবই জানি সবারই সব জানা হলুদ পাতার শিক্ষা শেখায় সত্য বলতে মানা জানাজানি ভালো কিন্তু বুঝতে গেলেই দোষ  বুঝলে সঠিক চাইবো পাওনা তাতেই তোমার রোষ ! জানবে বেশি বুঝবে কম সঙ্গে লাগাও গাঁজার দম দুঃখ ভুলে স্বপ্ন সুখে খাটবে বেশি চাইবে কম মনে রেখো তাতেই তোমার পরকালে ঘুচবে দুখ অল্প খেয়ে অসময়ে মরলেই পাবে স্বর্গ-সুখ তাইতো আমরা বেশি খাই স্বর্গ-সুখের চিন্তা নাই তোদের ঘামের গন্ধ শুষে স্বর্গে গিয়ে দুঃখ চাই  এবং বলি খাটার সময় ন্যায্য পাওনা ভুলে যাও পয়লা মে'র শপথ ভুলে ঘামের গাথা গুটিয়ে নাও         -------------------- দেখুন ফেসবুকের পাতায় এধরনের আরও ছড়া পড়ুন : ঘামের গাথা ঘাম কথা মুষ্টি ওঠাও

আমি দামি

মাথা বলে আমি দামি, হাত বলে আমি তাই দেখে পা'য়ে বলে তেল ছাড়া গাড়ি চলে? আমি ছাড়া তোমরা যে পাখা ছাড়া ভোমরা সে তোদের আমি বই বলে নই বুঝি দামি? আমি মনে মানি তাই তোরা হলি রাজা দুই বেলা খেটে যাই ঘাড়ে বসে খাস তাই ভুলে গিয়ে সেই কথা যদি দিস প্রাণে ব্যাথা বসে যাবো হাটু মুড়ে হয়ে যাবি বাঁজা।

আলী হোসেনের জনপ্রিয় ছড়াগুলো পড়ুন

সাগরের জল

সাগরের জল শুকায় না তাই দিলে কয়েক ফোঁটা তাতেই আঁচল ভরলো মায়ের হল সূর্য শুরু ওঠা সেই জলেতেই ভিজলো কুঁড়ি ফুটলো মুখে কথা সেই কথাতেই লিখি এখন সকাল-সাঁঝের গাথা গাথার পাহাড় তোমায় নিয়ে তুমি প্রাণের নাগর তোমার জলেই সিক্ত মধু সেচেন সিন্ধু সাগর সেই সাগরের মুক্ত এখন জ্বালায় দেখি আলো সেই আলোতে রাঙিয়ে ওঠে মায়ের সিঁথির লালও তোমার জলের জোয়ার যখন গর্জায় বারংবার সেই জোয়ারে গুঁড়িয়ে যে যায় সাদার অহংকার সে অহংকার তোমার সাজে গর্জে ওঠে স্বর মায়ের ডাকে শুকায় দেখি মাতাল দামোদর সাগর জলেই মেশে যেমন ময়লা জলের ধারা তারই বুকে আছড়ে পড়ে হয় সে বাঁধন হারা তেমন করেই তোমার বুকের ঠিকরে এলো আলো তোমার জন্য আঁধার গুলোও আলোয় ধুঁয়ে গেলো সেই আলো আজ নিভুনিভু আঁধার ঢাকছে ঘর সেই আঁধারের গেরুয়া বাতি করছে আপন পর এসব তুমি দেখছো কি আজ বলো উচ্চ করে শির যে-শির তোমার চেনায় আজও তুমি বিদ্যাসাগর বীর ------- দেখুন ফেসবুকে : এখানে ক্লিক করুন

শরৎ গাথা

শরৎগাথা: ছড়াকার আলী হোসেনের দুই বাংলার জনপ্রিয় ছড়া  ্র আকাশ কালো মেঘের ভেলা সকাল কিম্বা সন্ধ্যাবেলা চলছে দেখ বকের পাখায় ভেসে, দিচ্ছে পাড়ি               এদেশ ছাড়ি অচিন দেশে মামার বাড়ি যেই-খানেতে, আকাশ মাটি মেশে। আকাশ মাটির মনের কথা জল করেছে বুকের ব্যথা মুখের কালো দূর করেছে বেশ, ভাদ্র এসে                 ভদ্র বেশে আশ্বিন তার সঙ্গে মেশে শিউলি-কাশে ভরিয়ে দিল দেশ। শরৎ এলো হাওয়ায় ভেসে শিশির তারই সঙ্গে মেশে ঘাসের ডগায় রুপোর নাকের ফুল শরৎ আনে                    নতুন মানে দোয়েল শ্যামার নতুন গানে বাবুই বোনে নতুন কানের দুল কমতে থাকা বিলের জলে ডাকপাখিরা হেঁটে চলে পানকৌড়ি ডুবমারে মাছ ধরতে, এমন মাসে                 দুর্গা আসে লক্ষ্য থাকে অসুর নাশে মুর্খ চোরা মর্তে আসে মরতে। উৎস : বাংলা সাহিত্য উৎস : বাংলা সাহিত্য

চোখ-কান-মন শোনে তিনজন

চোখ-কান-মন শোনে তিনজন : জনপ্রিয় ছড়াকার আলী হোসেনের একটি জনপ্রিয় ছড়া।  দেখছো তুমি, দেখছি আমি, দেখছি সকল সময় দেখছে সবাই, যা হয় তা-ই কেবল, আমিই দেখছি নাই কারণ কী তা খুঁজতে গিয়ে হোঁচট শুধুই খাই কী তার কারণ, অবশেষে বললে খাদেম ভাই চোখের সাথে কান ছিল না সঙ্গে ভোলা মন ছিল না চোখ-কান-মন দেখে তিন-জন মানছি না সব-সময়। শুনছো তুমি, শুনছি আমি,  শুনতে কান তো চাই-ই আমার সাথে শোনে খাদেম সঙ্গে শোনায় ন-ভাই হাতেম সে গজল মাঝে গাইলো খেয়াল খেয়াল করি নাই কারণ কী তা খুঁজতে গিয়ে আবার হোঁচট খাই কী তার কারণ, নেই যে বারণ খাদেম শোনায় গহীন কারণ চোখ-কান-মন শোনে তিন-জন, মোটেও মানো নাই। চোখ ছিল ঠিক, কান ছিল তাও, তবুও বুঝি নাই বোঝার জন্য মন দিয়েছি সঙ্গে শোনার ভান করেছি সবাই বুঝলো, মেঘ করলেও বৃষ্টি কেন নাই আমি কেন বুঝতে  কেবল শুধুই হোঁচট খাই খাদেম বলে শুনতে চাও মনের সাথে কানকে নাও চোখ-কান-মন বোঝে তিনজন, মোটেও ভুলতে নাই। ---------x---------- 📖 এবিষয়ে আরও পড়ুন : চোখ কান মন দেখে তিনজন পাঠকের প্রতিক্রিয়া ফেসবুকে দেখুন 👉👉দুই বাংলার জনপ্রিয় ছড়াকার আলী হোসেনের আরও ছড়া পড়ার জন্য নিচের লিঙ্কে ক্লিক করুন। ১)  প্রকৃ

চকলেট ও খোকা

চকোলেট খেলেই জেনো, দাঁতে ধরবে পোকা শুনে কথা মনের ব্যথা ভীষণ গেল বেড়ে মায়ের উপর ভীষণ রেগে কাঁদলো গলা ছেড়ে ভাবলো খোকন বোঝেনা মা, এক্কেবারে বোকা। চকলেটে মা কী আছে গুন, বোঝেনা কেউ যেন সেকেলে সব ভাবনা ভেবে শুধুই চলে বকে গুণের খবর রাখেনা তাই মরছি আমি শোকে মায়ের প্রশ্ন বোঝাই তবু, বোঝেনা খোকা কেন? উৎস : ড্রাইভ , YourQuote 24/10/2017

মজার মানুষ

মজার মানুষ :  ছড়াকার আলী হোসেনের একটি অনবদ্য রাজনৈতিক ছড়া।  মজার দেশে আছি আমি ভাবতে মজা লাগে হাভাতেরা ফসল ফলায় লুটেরা নিয়ে ভাগে ফলায় যারা পায়না তারা পেট ভরেনা তাদের আমরা খেয়ে উদর ভরি যোগ্যতা নেই যাদের  ওদের আছে গতর কিন্তু বুদ্ধি ভীষণ মোটা ভাই ভাইয়ের মাথা ফাটায় নিয়ে লাঠিসোটা আমি যখন হেঁকে বলি, কান নিয়ে গেল চিলে কানে হাত না দিয়েই বেটা ভাইটাকে খায় গিলে  মধু খাবো বলে যখন ঢিল ছুড়ি মৌচাকে বোকার বেটা লাফ দিয়ে খায় মাছির কামড়টাকে বাজি রেখে বউটাকে সে ধর্ম রক্ষায় ছোটে দুবেলা ভাত জোটেনা কেন ভুলেই খাটে ভোটে ধর্মের নামে যমের দড়ি গলায় পরে তাই আমিই শত্রু ভুলে গিয়ে ভাইকে মারে ভাই  -----------##---------- প্রকাশিত, বাংলাদেশ থেকে। 07/04/2018  4:35 পিএম

নারী

নারী আলী হোসেন নানান রূপে দেখাও দেখি চিনতে তবু পারি রংধনু রং মেখে তুমি স্বপ্ন দেখাও ভারী নানান রূপে সামনে এসে আগলে রাখো যেই ভাবতে পারি মায়ের এরূপ তুলনা যার নেই দুঃখ সুখের ঘরে যখন বিষম বাতাস বায় পালের মত হালের পাশে প্রিয় তোমায় পায় নানান রূপে যখন দেখি মায়ের মত মুখে দু’গাল ভরে সোহাগ ছাপো কন্যা হয়ে বুকে কিশোর কালে কিশোরী হও বন্ধুর বেশে এসে ফাগুন মাসে আগুন হয়ে পোড়াও ভালোবেসে পোড়াও পোড় ভাঙো গড় সঙ্গী যখন আমি দু’য়ের মধ্যে এক'কে বলা যায় না মোটেও দামি দু'হাত ছাড়া কেউ যেহেতু কিচ্ছুটি নাই পারি এক হাত তার পুরুষ হলে অন্যটা ঠিক নারী।

বাবার বাবা

আলী হোসেনের ছড়া - বাবার বাবা এ সবই তার রেশ তোমার কাছে চাইবো কিছু এত সাহস কোথায় তবু তুমি বুঝতে পারতে চেয়ে চোখের তারায় চাইছি আমি কী তোমার বুকে বুক রাখলে বুকটা উঠতো ফুলে সব সংশয় শুকিয়ে যেত ঠোঁটটা ঠোঁটে ছুঁলে ভয়টা আবার কী! ফিরতে তোমার দেরি হলেই, বুকটা হত ভারী এপাশ ওপাশ ফিরেই শুধু নিদ্রা যেতো ছাড়ি বুঝতে পারি আজ তোমার বুকে পা তুলে দে জড়িয়ে তোমার গলা তোমার বুকে মুখটা গুঁজে ভয়কে ঝেড়ে ফেলা কত সহজ কাজ আমি এখন বুঝি সবই বোঝাই তাকে কত ছেলে আমার বলে এসব ছেলে-মানসি যত বুঝতে পারি বেশ আমার যখন বয়স ছিল আমার ছেলের মত এসব শুনে মন বলত দুর, 'আদিখ্যেতা যত' এ সবই তার রেশ ----------xx---------

মণিকানা

মণিকানা : লিখেছেন দুই বাংলার জনপ্রিয় ছড়াকার আলী হোসেন।  ভর-দুপুরে ছোটকা ছুটে বললো এসে, জানিস পুটে পণ করেছেন পরমহংস মরবে মাথাকূটে। ছোটকা বলে ছোট্ট করে ‘শোন কথা তোর মনটি ভরে পাঁচ শতকের দুঃখ এবার যাবেই বুঝি টুটে’ অবাক চোখে তাকায় পুটে কাক ঘুম তার গেল ছুটে প্রশ্ন করে ছোট্ট মুখেঃ ‘মসজিদ নয় মন্দির হলে দুঃখ মোদের যাবে টুটে? কেমন করে হয়? শুনে তোমার এসব কথা লাগছে আমার প্রাণে ব্যাথা এবং একটু ভয়। মন্দির বা মসজিদ হলে চটকল কি যাবে খুলে কাজ পাবেকি আমার ছোটমামা? ফুটপাতের ঐ ছোট্ট ছেলে শিদ কেটে যে গেল জেলে স্কুলে কি পারবে যেতে পরে রঙিন জামা? ছোটকা ফেলে ছোট্ট শ্বাস পালিয়ে যায় কাটিয়ে পাশ উত্তর এর নেই তো কিছু জানা বুঝতে পারে ছোটকা এবার ভুল ছিল তার ভাবায় সেবার চোখ থাকতে ছিলেন মণিকানা। ------------- ০৭/১০/২০০২ # পরমহংস দাস। ইনি রামমন্দির নির্মাণের দাবিতে আন্দোলনকারী তপস্বী ছাউনির মহন্ত। রামমন্দিরের দাবিতে আমরণ অনশনে বসেছিলেন।

কাশির বাঁশি

কাশির বাঁশি - আলী হোসেন কাশির শব্দ হাঁচির মত বাজছে সকাল সন্ধ্যা দক্ষিণ হওয়ায় ঠান্ডা ফেঁসে হঠাৎ হল বন্ধ্যা ঠান্ডা ছুটছে এলোমেলো ফেলছে গরম শ্বাস উচ্চ গলায় বলছে হেঁকে  লোভেই সর্বনাশ  মাথা এখন কাজ করেনা এদিক ওদিক চাই ডাইনে যেতে যেতেই আবার বাঁদিক চলে যাই  বন্ধু আমার বৃক্ষ দাদার শাসন ছিল চড়া যখন তখন বার হওয়াতে নিষেধ ছিল কড়া কিন্তু দেখো একটু ভেবে আমার কী দোষ ছিল নরবানর দাঁত খিঁচিয়ে ঘাড়টা মটকে দিল বৃক্ষ দাদার মাথায় ফেলে উন্নয়নের বাজ আমায় পঙ্গু করে দিল কঠিন হল কাজ ঠান্ডা আমি গরম হওয়ায়  পান পেয়ালা সাজাই আর হঠাৎ আমি গরম হলে কাশির বাঁশি বাজাই ------X------- পাঠকের মতামত দেখুন ফেসবুকে : এখানে ক্লিক করুন  👁️‍🗨️ লেখাটি প্রকাশিত হয়েছে (২৯/০১/২০২৩) দীনদর্পণ দৈনিকের সাহিত্যের পাতা ‘সাহিত্য দর্পণ’- এ। সরাসরি পত্রিকা পড়তে এখানে ক্লিক করুন

একলা হলে

একলা হলে - আলী হোসেন একলা হলে : আলী হোসেন  তুমি কি দেখবে খুলে ইমেল গেলে তোমার নামে তাতে কী শিশির ভেজা সুবাস আছে পাতায় মুড়ে ভেবো, একটু একলা হলে তুমি কি দেখবে খুলে দুচোখ মেলে তার বুকেতে লুকিয়ে রাখা সোহাগ মাখা টুকরো কথা  বুকটা জুড়ে ভেবো, একটু একলা হলে তুমি কি দেখবে খুলে মনের ভুলে তোমার নামে একমুঠো রোদ পাঠিয়ে ছিলাম সংগোপনে মাখবে বলে ভেবো, একটু একলা হলে তুমি কি অচিনপুরে ভর দুপুরে একলা থাকো আমায় ভেবে আজও কি আগুন রাঙা পলাশ ফোটে মন চাতালে  একলা হলে বোলো, একটু সময় পেলে তুমি কি সেই চাতালে মন মাতালে জলের মত আমায় ভেবে তুমি কি লিখবে ভুলে ইমেল খুলে সে সব কথা সময় পেলে ভেবো, একটু একলা হলে আমি তো বেশ ভাবতে পারি জাগতে পারি তোমায় ভেবে রাত্রি যেই পেখম মেলে নিশুতি হয় আগের মত  একলা হলে ভেবো, তুমিও সময় পেলে আমি তো বেশ থাকতে পারি চোখ ডুবিয়ে তোমার মেলে তুমি ঠিক লিখছো কিছু হাঁটছো পিছু আমায় ভেবে একলা হলে ভেবো, একটু সময় পেলে। ------------xx-----------