ঝন্টের ঝামেলা আলী হোসেন ছড়া : ঝন্টের ঝামেলা - আলী হোসেন এই ব্যাটা ঝণ্টে, তোর স্লেট কোনটে ধর কষে বাগিয়ে লেখ ‘ক’, খুব মন লাগিয়ে। ‘ক’ লিখতে ‘ব’ লিখে, হল সে হাজির হতভাগা এত বড়, পা-ঝাড়া পাজির। রেগে গিয়ে শিক্ষক, বলে কেশে খক খক এই তোর ‘ক’! দেখাচ্ছি মজা, এই বেলা চ’। উত্তরে ঝন্টে, বলে বা! ভুল হল কোনটে? ‘ক’ লিখতে ভুলে গেছি ‘ব’এ দিতে আঁকড়া রাগ যদি না করেন, খেতে দেব কাঁকড়া। রেগে-গিয়ে শিক্ষক, মাথায় দিল গাঁট্টা চোখ মোটা করে বলে, মোর সাথে ঠাট্টা! --------xx------ রচনাকাল : ১৭/০৩/১৯৯৪ প্রকাশকাল ও পত্রিকা : ‘বোধন’ সাহিত্য পত্রিকা ২৭/০২/১৯৯৮
সাগরের জল শুকায় না তাই দিলে কয়েক ফোঁটা তাতেই আঁচল ভরলো মায়ের হল সূর্য শুরু ওঠা সেই জলেতেই ভিজলো কুঁড়ি ফুটলো মুখে কথা সেই কথাতেই লিখি এখন সকাল-সাঁঝের গাথা গাথার পাহাড় তোমায় নিয়ে তুমি প্রাণের নাগর তোমার জলেই সিক্ত মধু সেচেন সিন্ধু সাগর সেই সাগরের মুক্ত এখন জ্বালায় দেখি আলো সেই আলোতে রাঙিয়ে ওঠে মায়ের সিঁথির লালও তোমার জলের জোয়ার যখন গর্জায় বারংবার সেই জোয়ারে গুঁড়িয়ে যে যায় সাদার অহংকার সে অহংকার তোমার সাজে গর্জে ওঠে স্বর মায়ের ডাকে শুকায় দেখি মাতাল দামোদর সাগর জলেই মেশে যেমন ময়লা জলের ধারা তারই বুকে আছড়ে পড়ে হয় সে বাঁধন হারা তেমন করেই তোমার বুকের ঠিকরে এলো আলো তোমার জন্য আঁধার গুলোও আলোয় ধুঁয়ে গেলো সেই আলো আজ নিভুনিভু আঁধার ঢাকছে ঘর সেই আঁধারের গেরুয়া বাতি করছে আপন পর এসব তুমি দেখছো কি আজ বলো উচ্চ করে শির যে-শির তোমার চেনায় আজও তুমি বিদ্যাসাগর বীর ------- দেখুন ফেসবুকে : এখানে ক্লিক করুন