সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

আঁট জুব্বার

◾আঁট জুব্বার ◾আলী হোসেন ছিঁচকে চোরে সিদ কেটেছে আমায় বেঁধে রেখে ছাপোষা তাই ভয় পেয়েছি সেই চোরকে দেখে আঁট-জুব্বার মালকোঁচা দেয় ঝাঁপায় যেন বাঘ একবার কেন বললি না তুই আমায় চিনে রাখ ভয় কেন পাস আমি আছি বনের সিংহ রাজ কোন দিকে সে গেলো এখন দেখেই নেবো আজ এদিক থেকে ওদিকে মাপ ছাতিতে ছাপ্পান্ন ইঞ্চি দেখে কাঁপবে ডাকাত পাক চিনাদের সৈন্য ভাবছি আমি ভাবছে সবাই ভুল করেছি বটে ভয় পেয়েছি বৃথাই আমি বুদ্ধি নেই যে ঘটে এখন সময় হুলো বিড়াল মিয়াও করল যেই এদিক-ওদিক তাকিয়ে দেখি আঁট-জুব্বার নেই এদিক খুঁজি ওদিক খুঁজি এখন করি কি যে! আঁট-জুব্বার লুকিয়ে দেখি আছে খাটের নিচে ---------////------- ফেসবুক দেখুন

ইদ করোনা

ইদের সকাল আজ এসেছে আঁধার নিয়ে মাঝে অন্য সুখে, ইদগাহ আজ থাকবে ফাঁকা সকাল থেকে সাঁঝে শুন্য বুকে। শুন্য বুকে টান ধরেছে দেখি সময় ক'রে মান শূন্য মনে, গোদের ওপর বিষফোঁড়া সে করোনা আমফান এ দুর্জনে। কোলাকুলি নয় খোলাখুলি সময় বলছে আজ শোনো ভাই, মনে সবার মন মিশিয়ে দাঁড়া শিকেয় তুলে সাজ এটাই চাই। মন দিয়ে মন কাছে এসো তুমি দুহাত দূরে তাদের পাশাপাশি, হাত সরিয়ে ঈদের খুশির ভাগ বিলিয়ে হও ওদের মুখের হাসি। বুকে বুকে বুক মেলানোর খুশি বিলিয়ে দিয়ে সুখ ওদের ঘরে কাছে আসি তুমি এবং আমি বাঁধতে ভাঙা বুক নিঃস্ব ক'রে। দেখুন ফেসবুকে এখানে ক্লিক করে

কোলের গন্ধ

মা-কে নিয়ে ছড়া : কোলের গন্ধ  তুমি যখন ভয় পেয়ে যাও আর বুঝি বাঁচবে না কষ্টে আমার এ মন ভাসে দু'চোখ ভরে শ্রাবণ আসে বুঝতে পারি তোমার বুকের বেড়ে ওঠা সবুজ সুখের কোলের গন্ধে এ মন বুঝি আর কখনো নাচবে না এ মন তোমার প্রাণের কোঠর আগলে রাখো কেন? সাগর মাঝে ঝিনুক যেমন আগলে রাখে মুক্ত তেমন তেমন করে স্মৃতির পাতায় আগলে রাখো হলুদ খাতায় দাগ রেখে যাও ভালোবাসার ক্ষয় ধরে না যেন। হাসো আকাশ গাঙে এ দাগ রেখে হয়ে অণিমা তোমার হাসির অসীম সুরে বাঁচছি আমি অচিনপুরে সুর তুলে যাই তোমার মাঝে স্বপ্ন দেখি সকাল সাঁঝে তোমার কোলের গন্ধ আছে ভয় কী আমার মা?               ------------------ 'অণিমা' কথার অর্থ এখানে

পারের কড়ি

পারের কড়ি লিখেছেন ছড়াকার আলী হোসেন ছড়া : পারের কড়ি। ছড়াকার - আলী হোসেন  রবি মনের আকাশ গাঙে ঠাকুর সবার কাছে রবির কিরণ ছাড়া কি কেউ এক মুহূর্তও বাঁচে? রবির কিরণ ছাড়া যেমন শূন্য জীবন ধারা রবির কলম বিনা তেমন বিশ্ব বাংলা ছাড়া সবার জীবন বোধের গায়ে রবির কিরণ লেগে কাঙাল হল বিশ্ব বাঙাল উঠল জগৎ জেগে সকাল সাঝে নিত্য-কাজে সংশয়ে সংকটে প্রেম বিরহেও ভরসা রবি পারের কড়িও বটে। -------- ৩) পাঠকের মতাম : দেখুন ফেসবুক এ এখানে ক্লিক করুন ২) দেখুন Your Quote -এ এখানে ক্লিক করুন ১) পাঠকের মতামত : দেখুন ফেসবুকের পাতায় রবীন্দ্রনাথ সংক্রান্ত অরও লেখা : 📖 পারের কড়ি 👈 আপনি এখন এখানে 📖  নতুন পথের বাঁকে 📖  বাইশে শ্রাবণ রবীন্দ্রনাথের একশো পঁয়তাল্লিশ-তম জন্ম-উৎসব উপলক্ষ্যে রচনা। 16-Apr-09 Ali Hossain H/O : Asraf Ali Naskar Brahmapur, Battala Bazar, (Near Post Office) Kolkata 700096

ঘামের গাথা

ঘামের গাথা : আলী হোসেন একটি রাজনৈতিক ছড়া  ঘামের স্রোতে কাটছি সাঁতার সকাল থেকে সন্ধ্যা স্রোতের বাজার মন্দা হলেই সভ্যতা হয় বন্ধ্যা সেই বাজারে খাটছি আমি খাটায় তোমার মানা তবু, তোমার চেয়ে দামি আমি মানতে তোমার মানা এমন কেন দেশের আইন বলতে পারো কেউ এর প্রতিবাদ করলে কেন পিছনে পায় ফেউ ফেউয়ের ডাকে শোষক জাগে শ্রমের সর্বনাশ বুক ফেটে যায় ভীষণ গ্রীষ্মে শ্বাস করে হাসফাঁস জানি জানি সবই জানি সবারই সব জানা হলুদ পাতার শিক্ষা শেখায় সত্য বলতে মানা জানাজানি ভালো কিন্তু বুঝতে গেলেই দোষ  বুঝলে সঠিক চাইবো পাওনা তাতেই তোমার রোষ ! জানবে বেশি বুঝবে কম সঙ্গে লাগাও গাঁজার দম দুঃখ ভুলে স্বপ্ন সুখে খাটবে বেশি চাইবে কম মনে রেখো তাতেই তোমার পরকালে ঘুচবে দুখ অল্প খেয়ে অসময়ে মরলেই পাবে স্বর্গ-সুখ তাইতো আমরা বেশি খাই স্বর্গ-সুখের চিন্তা নাই তোদের ঘামের গন্ধ শুষে স্বর্গে গিয়ে দুঃখ চাই  এবং বলি খাটার সময় ন্যায্য পাওনা ভুলে যাও পয়লা মে'র শপথ ভুলে ঘামের গাথা গুটিয়ে নাও         -------------------- দেখুন ফেসবুকের পাতায় এধরনের আরও ছড়া পড়ুন : ঘামের গাথা ঘাম কথা মুষ্টি ওঠাও

আমি দামি

মাথা বলে আমি দামি, হাত বলে আমি তাই দেখে পা'য়ে বলে তেল ছাড়া গাড়ি চলে? আমি ছাড়া তোমরা যে পাখা ছাড়া ভোমরা সে তোদের আমি বই বলে নই বুঝি দামি? আমি মনে মানি তাই তোরা হলি রাজা দুই বেলা খেটে যাই ঘাড়ে বসে খাস তাই ভুলে গিয়ে সেই কথা যদি দিস প্রাণে ব্যাথা বসে যাবো হাটু মুড়ে হয়ে যাবি বাঁজা।

না খাওয়ার গান

করোনার কারণে খেলাধুলা মাটি বসে বসে ঘরে সারাদিন ধরে খাচ্ছি-দাচ্ছি আর খুনসুটি খাঁটি ফুল-পাখি চুপচাপ শূন্যতার সাজ ভাবি জানলায় বসে নিরালায় বস্তির শিশুটিরও নেই বুঝি কাজ খেলার সময় তার অনেকটাই আছে খেলতে সে চায় অথবা সে যায় ছুটে গিয়ে শুনি গান পাখিটির কাছে হঠাৎ মোচড় দিয়ে পেট গান গায় জানালায় বসে খোকা ডাকে হেসে শুনবি কি গান তবে এইখানে আয় তোর আজ ছুটি আমারও তো তাই নেই কোনো কাজ শোন বলি আজ গিটারে গাইবো গান তোর শোনা চাই বস্তির শিশুটি বলে নিয়ে অভিমান এইদিকে চাও শুনতে কি পাও পেটের সেতারে বাজে না খাওয়ার গান? ----------/---------

ভালোবাসার রোদ

ঝড় উঠুক ঝড় উঠুক তবে - প্রেমের ছড়া। লিখেছেন - ছড়াকার আলী হোসেন।  ঝড় উঠুক ঝড় উঠুক তবে রক্ত চোখের বনে সেই ঝড়, যা জ্বালবে আলো অন্ধ মনের কোণে ঝড় উঠুক ঝড় উঠুক তবে অন্ধ মনের দ্বারে সেই ঝড়, যা ভাঙবে বেড়া ভেদ-ভাবনায় বাড়ে ঝড় উঠুক ঝড় উঠুক তবে রৌদ্র-ভেজা দোরে সেই ঝড়, যা ভাঙবে আঁধার নতুন দিনের ভোরে ঝড় উঠুক ঝড় উঠুক বলে করোনা এলো দিলে টিকি টুপির বাসভূমি তাই শূন্যতা নিলো গিলে। টিকি-টুপির বিভেদ মেলায় কোভিড করে রাজ কাক-পক্ষীর নেই দেখা তাই শূন্য বুকের মাঝ। শূন্যতার এই নিশূত বেলায় চাতক চেয়ে বলে ভালোবাসার রোদ পোহালে শঙ্কা যাবে চলে। দেখুন ফেসবুকে এখানে ক্লিক করুন 

নতুন বছর

আজ, নতুন বছর তোমার জন্য হাঁটছি একা একা ভয়ের কাছে জীবন বাজি রাখছি দেখে নতুন পাঁজি লড়ছি সবাই একলা বসে লিপিড লেয়ার পড়বে খসে কাল, করোনার ভয় কাটিয়ে তুমি দেবেই দেবে দেখা। নতুন বছর নতুন আশা, মনের আকাশ জুড়ে ঘন মেঘের আড়াল থেকে নতুন আলো পড়ুক ঝেঁকে সেই আলোতে নাচুক রাধা করোনার চোখ পড়ুক বাঁধা নতুন আলোয় মুক্তি আসুক কৃষ্ণপ্রেমে মুড়ে। উৎস : ফেসবুক

দেশ গড়া

ভাবতে থাকুন এবং আসুন সঙ্গে থাকুন সাথি পরস্পরের হাত বাড়িয়েই দেশ গড়াতে মাতি। উৎস

পীরের পীড়া

পীরকে আমরা মানবো কেন পীড়ার কারণ হলে যার সাহায্য নিচ্ছেন তিনি তার বিরুদ্ধেই বোঝান যিনি এমন হলে বলবে সবাই মানবো কেন দোয়া-দাওয়াই যখন, নিজের প্রয়োজনে পড়েন বিজ্ঞানেতে ঢলে উৎস আপনি কি অবাক হচ্ছেন লেখাটা পড়ে? অথবা রেগে যাচ্ছেন? যাই করুন, সঙ্গে একটু ভাবুন। বিশেষ করে, আপনি যদি শিক্ষিত মুসলিম ছাত্র-যুব হন। ভাবুন, আমরা যাদেরকে সমাজের, বিশেষ করে ধর্মীয় জীবনের পরিচালক ও পরামর্শদাতা করে রেখেছি, তারা কি আমাদের সঠিক পথ দেখাচ্ছেন? যদি না দেখান তবে তাদের আমরা মানব কেন? ভাবার সময় এসেছে। অনুগ্রহ করে ভাবুন। একবার নিচের ভিডিওটি দেখুন । এরা কারা? শিক্ষাদীক্ষাহীন অসহায় গরিব বা নিম্নমধ্যবিত্ত মানুষ। বিপদে পড়লে, যারা হাতের কাছে পান সেই মানুষকে, যিনি নিজেকে প্রকৃত ধার্মিক ও আল্লাওয়ালা বলে দাবি করেন। তাই তার কাছেই ছুটে যান পরামর্শ নিতে। এই বিপদে তাদের কি করা উচিত তা জানতে। কিন্তু দুঃখের হলেও এটা জলের মত পরিষ্কার যে, এই অসহায়তার সুযোগ নেন কিছু বকধার্মিক। এখানে পীর হচ্ছেন তিনিই। তিনি (পীর) রোগাক্রান্ত হলেই ভক্তের কষ্টার্জিত পয়সায় (নজরানা) চলে যান বড় বড় ডাক্তারের কাছে। আর একজন ধর্মপ্রাণ মানুষ যখন কোনো উপ

জোড়া ঢেউ

জোড়া ঢেউ আলী হোসেন  জোড়া ঢেউ - আলী হোসেন   লিখেছেন ছড়াকার আলী হোসেন ভয় পেয়ো না, জাগছে জগৎ বলছে সময় একটু শোনো তোমার সাথে আমার আড়ি, বলছে সময় একটু গোনো। বুকের আগুন নেভার আগে, বুকের প্রদীপ একটু জ্বালো আড়ির কারণ আড়ায় তুলে, ঘরটা গড়ে তোলাই ভালো। এঘর আমার এঘর তোমার, এঘর যদি জ্বালায় কেউ এর কানে ওর বিষের বাঁশি শোনায় যদি বাজিয়ে ফেউ তার বাঁশিতে শান্তি-সেনার, সুর লাগানোর সাহস কেউ আজ দেখতে মুষ্টি ওঠাও, রাম-রহিমের জোড়া ঢেউ। পাঠকের মতামত দেখুন ফেসবুকে

বাচাল বলছি

বাপের আমি বাপ্ কথায় ধরে হাঁফ এমন ছেলের জেরায় পড়লে সাত-খুনী পাবে মাপ কথার পর কথা বলছি যথাতথা সর্ব বিষয়ে বোদ্ধা আমি কেউ খুলো না খাপ একের পর এক বলছি কথা দেখ খই ফুটছে মুখের ওপর কেউ পাবে না মাপ ইচ্ছে হলে পড়বো যেমন খুশি বলবো মুখের ওপর ভয় দেখালে বাড়বে ভীষন চাপ পুলিশ ডেকে ফোনে বলবো প্রাণে মনে দেখবে মজা বকলে বেশি কেউ পাবে না মাপ বই খাতা না খুলে রাখলে তাকে তুলে কেবল তখন মুক্তি পাবে এবং পাবে মাপ ভয় পেলে না বুঝি? তাকাও সোজাসুজি নিচেই আছি সশরীরে এড়ালেই হবে পাপ ============== https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=2515398718581772&id=100003350041426

সবুজ রোদের টিয়া

প্রকৃতি-বিষয়ক-ছড়া : ছড়াকার আলী হোসেন  ছোট্টবেলার ছোট্ট কুড়ি, ফুলের মতই ভাসে তার ওপরে একফোঁটা জল মিঠেল রোদে হাসে তাইনা দেখে ছোট্ট টিয়া ভাবছে যাবো উড়াল দিয়া শঙ্খচিলের ডানায় ভেসে সবুজ রোদের পাশে ছোট্ট টিয়া বেড়ায় উড়ি সবুজ রোদের আশায় স্বপ্নের রঙ দেয়না উকি তার সে ছোট্ট বাসায় কী তার কারণ বলা বারন বলছি না তাই আসল কারণ ছোট্ট টিয়ার ভোরের আলোয় আঁধার কেন শাসায় -------x--------

মণিকানা

মণিকানা : লিখেছেন দুই বাংলার জনপ্রিয় ছড়াকার আলী হোসেন।  ভর-দুপুরে ছোটকা ছুটে বললো এসে, জানিস পুটে পণ করেছেন পরমহংস মরবে মাথাকূটে। ছোটকা বলে ছোট্ট করে ‘শোন কথা তোর মনটি ভরে পাঁচ শতকের দুঃখ এবার যাবেই বুঝি টুটে’ অবাক চোখে তাকায় পুটে কাক ঘুম তার গেল ছুটে প্রশ্ন করে ছোট্ট মুখেঃ ‘মসজিদ নয় মন্দির হলে দুঃখ মোদের যাবে টুটে? কেমন করে হয়? শুনে তোমার এসব কথা লাগছে আমার প্রাণে ব্যাথা এবং একটু ভয়। মন্দির বা মসজিদ হলে চটকল কি যাবে খুলে কাজ পাবেকি আমার ছোটমামা? ফুটপাতের ঐ ছোট্ট ছেলে শিদ কেটে যে গেল জেলে স্কুলে কি পারবে যেতে পরে রঙিন জামা? ছোটকা ফেলে ছোট্ট শ্বাস পালিয়ে যায় কাটিয়ে পাশ উত্তর এর নেই তো কিছু জানা বুঝতে পারে ছোটকা এবার ভুল ছিল তার ভাবায় সেবার চোখ থাকতে ছিলেন মণিকানা। ------------- ০৭/১০/২০০২ # পরমহংস দাস। ইনি রামমন্দির নির্মাণের দাবিতে আন্দোলনকারী তপস্বী ছাউনির মহন্ত। রামমন্দিরের দাবিতে আমরণ অনশনে বসেছিলেন।

আলী হোসেনের জনপ্রিয় ছড়াগুলো পড়ুন

সাগরের জল

সাগরের জল শুকায় না তাই দিলে কয়েক ফোঁটা তাতেই আঁচল ভরলো মায়ের হল সূর্য শুরু ওঠা সেই জলেতেই ভিজলো কুঁড়ি ফুটলো মুখে কথা সেই কথাতেই লিখি এখন সকাল-সাঁঝের গাথা গাথার পাহাড় তোমায় নিয়ে তুমি প্রাণের নাগর তোমার জলেই সিক্ত মধু সেচেন সিন্ধু সাগর সেই সাগরের মুক্ত এখন জ্বালায় দেখি আলো সেই আলোতে রাঙিয়ে ওঠে মায়ের সিঁথির লালও তোমার জলের জোয়ার যখন গর্জায় বারংবার সেই জোয়ারে গুঁড়িয়ে যে যায় সাদার অহংকার সে অহংকার তোমার সাজে গর্জে ওঠে স্বর মায়ের ডাকে শুকায় দেখি মাতাল দামোদর সাগর জলেই মেশে যেমন ময়লা জলের ধারা তারই বুকে আছড়ে পড়ে হয় সে বাঁধন হারা তেমন করেই তোমার বুকের ঠিকরে এলো আলো তোমার জন্য আঁধার গুলোও আলোয় ধুঁয়ে গেলো সেই আলো আজ নিভুনিভু আঁধার ঢাকছে ঘর সেই আঁধারের গেরুয়া বাতি করছে আপন পর এসব তুমি দেখছো কি আজ বলো উচ্চ করে শির যে-শির তোমার চেনায় আজও তুমি বিদ্যাসাগর বীর ------- দেখুন ফেসবুকে : এখানে ক্লিক করুন

শরৎ গাথা

শরৎগাথা: ছড়াকার আলী হোসেনের দুই বাংলার জনপ্রিয় ছড়া  ্র আকাশ কালো মেঘের ভেলা সকাল কিম্বা সন্ধ্যাবেলা চলছে দেখ বকের পাখায় ভেসে, দিচ্ছে পাড়ি               এদেশ ছাড়ি অচিন দেশে মামার বাড়ি যেই-খানেতে, আকাশ মাটি মেশে। আকাশ মাটির মনের কথা জল করেছে বুকের ব্যথা মুখের কালো দূর করেছে বেশ, ভাদ্র এসে                 ভদ্র বেশে আশ্বিন তার সঙ্গে মেশে শিউলি-কাশে ভরিয়ে দিল দেশ। শরৎ এলো হাওয়ায় ভেসে শিশির তারই সঙ্গে মেশে ঘাসের ডগায় রুপোর নাকের ফুল শরৎ আনে                    নতুন মানে দোয়েল শ্যামার নতুন গানে বাবুই বোনে নতুন কানের দুল কমতে থাকা বিলের জলে ডাকপাখিরা হেঁটে চলে পানকৌড়ি ডুবমারে মাছ ধরতে, এমন মাসে                 দুর্গা আসে লক্ষ্য থাকে অসুর নাশে মুর্খ চোরা মর্তে আসে মরতে। উৎস : বাংলা সাহিত্য উৎস : বাংলা সাহিত্য

চোখ-কান-মন শোনে তিনজন

চোখ-কান-মন শোনে তিনজন : জনপ্রিয় ছড়াকার আলী হোসেনের একটি জনপ্রিয় ছড়া।  দেখছো তুমি, দেখছি আমি, দেখছি সকল সময় দেখছে সবাই, যা হয় তা-ই কেবল, আমিই দেখছি নাই কারণ কী তা খুঁজতে গিয়ে হোঁচট শুধুই খাই কী তার কারণ, অবশেষে বললে খাদেম ভাই চোখের সাথে কান ছিল না সঙ্গে ভোলা মন ছিল না চোখ-কান-মন দেখে তিন-জন মানছি না সব-সময়। শুনছো তুমি, শুনছি আমি,  শুনতে কান তো চাই-ই আমার সাথে শোনে খাদেম সঙ্গে শোনায় ন-ভাই হাতেম সে গজল মাঝে গাইলো খেয়াল খেয়াল করি নাই কারণ কী তা খুঁজতে গিয়ে আবার হোঁচট খাই কী তার কারণ, নেই যে বারণ খাদেম শোনায় গহীন কারণ চোখ-কান-মন শোনে তিন-জন, মোটেও মানো নাই। চোখ ছিল ঠিক, কান ছিল তাও, তবুও বুঝি নাই বোঝার জন্য মন দিয়েছি সঙ্গে শোনার ভান করেছি সবাই বুঝলো, মেঘ করলেও বৃষ্টি কেন নাই আমি কেন বুঝতে  কেবল শুধুই হোঁচট খাই খাদেম বলে শুনতে চাও মনের সাথে কানকে নাও চোখ-কান-মন বোঝে তিনজন, মোটেও ভুলতে নাই। ---------x---------- 📖 এবিষয়ে আরও পড়ুন : চোখ কান মন দেখে তিনজন পাঠকের প্রতিক্রিয়া ফেসবুকে দেখুন 👉👉দুই বাংলার জনপ্রিয় ছড়াকার আলী হোসেনের আরও ছড়া পড়ার জন্য নিচের লিঙ্কে ক্লিক করুন। ১)  প্রকৃ

চকলেট ও খোকা

চকোলেট খেলেই জেনো, দাঁতে ধরবে পোকা শুনে কথা মনের ব্যথা ভীষণ গেল বেড়ে মায়ের উপর ভীষণ রেগে কাঁদলো গলা ছেড়ে ভাবলো খোকন বোঝেনা মা, এক্কেবারে বোকা। চকলেটে মা কী আছে গুন, বোঝেনা কেউ যেন সেকেলে সব ভাবনা ভেবে শুধুই চলে বকে গুণের খবর রাখেনা তাই মরছি আমি শোকে মায়ের প্রশ্ন বোঝাই তবু, বোঝেনা খোকা কেন? উৎস : ড্রাইভ , YourQuote 24/10/2017

মজার মানুষ

মজার মানুষ :  ছড়াকার আলী হোসেনের একটি অনবদ্য রাজনৈতিক ছড়া।  মজার দেশে আছি আমি ভাবতে মজা লাগে হাভাতেরা ফসল ফলায় লুটেরা নিয়ে ভাগে ফলায় যারা পায়না তারা পেট ভরেনা তাদের আমরা খেয়ে উদর ভরি যোগ্যতা নেই যাদের  ওদের আছে গতর কিন্তু বুদ্ধি ভীষণ মোটা ভাই ভাইয়ের মাথা ফাটায় নিয়ে লাঠিসোটা আমি যখন হেঁকে বলি, কান নিয়ে গেল চিলে কানে হাত না দিয়েই বেটা ভাইটাকে খায় গিলে  মধু খাবো বলে যখন ঢিল ছুড়ি মৌচাকে বোকার বেটা লাফ দিয়ে খায় মাছির কামড়টাকে বাজি রেখে বউটাকে সে ধর্ম রক্ষায় ছোটে দুবেলা ভাত জোটেনা কেন ভুলেই খাটে ভোটে ধর্মের নামে যমের দড়ি গলায় পরে তাই আমিই শত্রু ভুলে গিয়ে ভাইকে মারে ভাই  -----------##---------- প্রকাশিত, বাংলাদেশ থেকে। 07/04/2018  4:35 পিএম

নারী

নারী আলী হোসেন নানান রূপে দেখাও দেখি চিনতে তবু পারি রংধনু রং মেখে তুমি স্বপ্ন দেখাও ভারী নানান রূপে সামনে এসে আগলে রাখো যেই ভাবতে পারি মায়ের এরূপ তুলনা যার নেই দুঃখ সুখের ঘরে যখন বিষম বাতাস বায় পালের মত হালের পাশে প্রিয় তোমায় পায় নানান রূপে যখন দেখি মায়ের মত মুখে দু’গাল ভরে সোহাগ ছাপো কন্যা হয়ে বুকে কিশোর কালে কিশোরী হও বন্ধুর বেশে এসে ফাগুন মাসে আগুন হয়ে পোড়াও ভালোবেসে পোড়াও পোড় ভাঙো গড় সঙ্গী যখন আমি দু’য়ের মধ্যে এক'কে বলা যায় না মোটেও দামি দু'হাত ছাড়া কেউ যেহেতু কিচ্ছুটি নাই পারি এক হাত তার পুরুষ হলে অন্যটা ঠিক নারী।

বাবার বাবা

আলী হোসেনের ছড়া - বাবার বাবা এ সবই তার রেশ তোমার কাছে চাইবো কিছু এত সাহস কোথায় তবু তুমি বুঝতে পারতে চেয়ে চোখের তারায় চাইছি আমি কী তোমার বুকে বুক রাখলে বুকটা উঠতো ফুলে সব সংশয় শুকিয়ে যেত ঠোঁটটা ঠোঁটে ছুঁলে ভয়টা আবার কী! ফিরতে তোমার দেরি হলেই, বুকটা হত ভারী এপাশ ওপাশ ফিরেই শুধু নিদ্রা যেতো ছাড়ি বুঝতে পারি আজ তোমার বুকে পা তুলে দে জড়িয়ে তোমার গলা তোমার বুকে মুখটা গুঁজে ভয়কে ঝেড়ে ফেলা কত সহজ কাজ আমি এখন বুঝি সবই বোঝাই তাকে কত ছেলে আমার বলে এসব ছেলে-মানসি যত বুঝতে পারি বেশ আমার যখন বয়স ছিল আমার ছেলের মত এসব শুনে মন বলত দুর, 'আদিখ্যেতা যত' এ সবই তার রেশ ----------xx---------

মণিকানা

মণিকানা : লিখেছেন দুই বাংলার জনপ্রিয় ছড়াকার আলী হোসেন।  ভর-দুপুরে ছোটকা ছুটে বললো এসে, জানিস পুটে পণ করেছেন পরমহংস মরবে মাথাকূটে। ছোটকা বলে ছোট্ট করে ‘শোন কথা তোর মনটি ভরে পাঁচ শতকের দুঃখ এবার যাবেই বুঝি টুটে’ অবাক চোখে তাকায় পুটে কাক ঘুম তার গেল ছুটে প্রশ্ন করে ছোট্ট মুখেঃ ‘মসজিদ নয় মন্দির হলে দুঃখ মোদের যাবে টুটে? কেমন করে হয়? শুনে তোমার এসব কথা লাগছে আমার প্রাণে ব্যাথা এবং একটু ভয়। মন্দির বা মসজিদ হলে চটকল কি যাবে খুলে কাজ পাবেকি আমার ছোটমামা? ফুটপাতের ঐ ছোট্ট ছেলে শিদ কেটে যে গেল জেলে স্কুলে কি পারবে যেতে পরে রঙিন জামা? ছোটকা ফেলে ছোট্ট শ্বাস পালিয়ে যায় কাটিয়ে পাশ উত্তর এর নেই তো কিছু জানা বুঝতে পারে ছোটকা এবার ভুল ছিল তার ভাবায় সেবার চোখ থাকতে ছিলেন মণিকানা। ------------- ০৭/১০/২০০২ # পরমহংস দাস। ইনি রামমন্দির নির্মাণের দাবিতে আন্দোলনকারী তপস্বী ছাউনির মহন্ত। রামমন্দিরের দাবিতে আমরণ অনশনে বসেছিলেন।

কাশির বাঁশি

কাশির বাঁশি - আলী হোসেন কাশির শব্দ হাঁচির মত বাজছে সকাল সন্ধ্যা দক্ষিণ হওয়ায় ঠান্ডা ফেঁসে হঠাৎ হল বন্ধ্যা ঠান্ডা ছুটছে এলোমেলো ফেলছে গরম শ্বাস উচ্চ গলায় বলছে হেঁকে  লোভেই সর্বনাশ  মাথা এখন কাজ করেনা এদিক ওদিক চাই ডাইনে যেতে যেতেই আবার বাঁদিক চলে যাই  বন্ধু আমার বৃক্ষ দাদার শাসন ছিল চড়া যখন তখন বার হওয়াতে নিষেধ ছিল কড়া কিন্তু দেখো একটু ভেবে আমার কী দোষ ছিল নরবানর দাঁত খিঁচিয়ে ঘাড়টা মটকে দিল বৃক্ষ দাদার মাথায় ফেলে উন্নয়নের বাজ আমায় পঙ্গু করে দিল কঠিন হল কাজ ঠান্ডা আমি গরম হওয়ায়  পান পেয়ালা সাজাই আর হঠাৎ আমি গরম হলে কাশির বাঁশি বাজাই ------X------- পাঠকের মতামত দেখুন ফেসবুকে : এখানে ক্লিক করুন  👁️‍🗨️ লেখাটি প্রকাশিত হয়েছে (২৯/০১/২০২৩) দীনদর্পণ দৈনিকের সাহিত্যের পাতা ‘সাহিত্য দর্পণ’- এ। সরাসরি পত্রিকা পড়তে এখানে ক্লিক করুন

একলা হলে

একলা হলে - আলী হোসেন একলা হলে : আলী হোসেন  তুমি কি দেখবে খুলে ইমেল গেলে তোমার নামে তাতে কী শিশির ভেজা সুবাস আছে পাতায় মুড়ে ভেবো, একটু একলা হলে তুমি কি দেখবে খুলে দুচোখ মেলে তার বুকেতে লুকিয়ে রাখা সোহাগ মাখা টুকরো কথা  বুকটা জুড়ে ভেবো, একটু একলা হলে তুমি কি দেখবে খুলে মনের ভুলে তোমার নামে একমুঠো রোদ পাঠিয়ে ছিলাম সংগোপনে মাখবে বলে ভেবো, একটু একলা হলে তুমি কি অচিনপুরে ভর দুপুরে একলা থাকো আমায় ভেবে আজও কি আগুন রাঙা পলাশ ফোটে মন চাতালে  একলা হলে বোলো, একটু সময় পেলে তুমি কি সেই চাতালে মন মাতালে জলের মত আমায় ভেবে তুমি কি লিখবে ভুলে ইমেল খুলে সে সব কথা সময় পেলে ভেবো, একটু একলা হলে আমি তো বেশ ভাবতে পারি জাগতে পারি তোমায় ভেবে রাত্রি যেই পেখম মেলে নিশুতি হয় আগের মত  একলা হলে ভেবো, তুমিও সময় পেলে আমি তো বেশ থাকতে পারি চোখ ডুবিয়ে তোমার মেলে তুমি ঠিক লিখছো কিছু হাঁটছো পিছু আমায় ভেবে একলা হলে ভেবো, একটু সময় পেলে। ------------xx-----------